ভয়াল-উত্তাল বাহান্নোর দাবানলে লেলিহান-
আগ্নেয়গীরির সঞ্চিত লাভার উদগিরণ-দুর্বিনীত
গড়িয়ে-ছড়িয়ে-পুড়িয়ে একাকার পুরোবাংলা।
রক্তিম-টগবগে তারুণ্যের খুনঝরা সকাল-দুপুর-বিকেল,
পুরো নির্ঘুম রজনীতে রাজনীতির ব্যাকরণে আত্মস্থ-
তবুও মিলছেনা কোনো তত্ত্বের দেখা।
কেন এত জ্বালাতন! এত শত নিষ্পেষণ!
বাংলার ক্রন্দিত নয়ন মহাত্যাজে বরিষে এ লাভা উদগিরণ।
না না, মানি না - মানি না,
মাতৃধ্বণিতে গুঞ্জরণ ফাগুনের সমীরণ-
অগ্নিকণায় বাংলা বর্ণমালার আলিঙ্গন।
মিছিলের পর মিছিলে-
তেজোদৃপ্ত স্লোগানে কেঁপে কেঁপে উত্তপ্ত ঢাকার অঙ্গন।
হঠাৎ মুহুর্মুহু গুলি, রাউন্ডের পর রাউন্ড
তীব্র বেগে বিঁধে যায় - তবুও থামেনি মিছিল,
ঢলে পড়ে দেহ, প্রাণে চটপট।
কিন্তু প্লেকার্ডে প্লেকার্ডে কী অপরূপ বর্ণমালার বাঁধন!
নিথর দেহ পড়ে থাকে রাজপথে - দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে
তবুও কত সহজে হেসে হেসে আসে উচ্চারণ
‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’- একটুও কাঁপেনি, নত হয়নি
আকণ্ঠ মধুমাখা, মাতৃবাঁধনেই সার্থক প্রাণদান।
সালাম বরকত রফিক জব্বর - ভাষা শহীদ যত প্রাণ
রক্তধারায় ভেসেছে রাজপথ,
প্রাণে প্রাণে জোয়ার জাগিয়ে-
কাঁপন এনেছো থরথর, টুঁটে যায় জালিমের সব সাধ।
অতি আপন করে, বড় ভালোবেসে
তোমাদের সেই প্রাণদান - স্বপ্নচূড়ায় পতাকা উড়ায়ে
জাতিকে করেছে মহীয়ান।
(ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০৪