somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্জন স্বাক্ষর

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার রুমের বারান্দায় যতটা না বাতাস আসে তার চেয়ে বেশি আসে ঘ্রাণ, খাবারের ঘ্রাণ আর রজনীগন্ধা-হাসনাহেনার ঘ্রাণ । আর আসে ফুপিয়ে কান্নার আওয়াজ, খুব ভোরে, রাতে, শেষ বিকেলে।ছেলে মেয়েদের কান্নার আওয়াজ আলাদা করা যায় কি? আমি পারি না।তবে একটা ছেলে নিশ্চয়ই নিয়ম করে কাঁদবে না। মাঝেমধ্যে খিলখিলিয়ে হাসির আওয়াজ পাওয়া যায়, ছোট একটা ছেলে হাসে। এটা বোঝা যায়, কেউ একজন তাকে প্রশ্ন করে, ছড়া জিজ্ঞেস করে, সূরা শেখায়। সে উত্তর দেয়।না পারলে, পারিনা বলে খিলখিলিয়ে হাসে। শুনতে খুব ভালো লাগে।

প্রায়ই শোনা যায়,"বুবু, পা ব্যথা করে।আর কত কান ধরে ঊঠবস করবো? বুবু, হিসি পেয়েছে। বুবু, দুলাভাই আমাকে চড় দিয়েছে।বুবু, কাল রাতে আমি ভয় পেয়েছি, দুলা ভাই আমাকে টয়লেটে আটকে রেখেছে। বুবু, তুই দুলাভাইকে কিছু বলবি না?" এমন আরও অনেক কথা। এ থেকে বোঝা যায়, আমার পাশের ফ্ল্যাটে দম্পতি আর মেয়েটার ছোটভাই থাকে।

মাঝেমধ্যে ভদ্রলোকের চিৎকার চেচামেচি শোনা যায়।বেশির ভাগ সময় তিনি বলেন,"কাদবে না,কান্না বন্ধ!কথায় কথায় কান্না ভালো লাগে না।"
তখন আমি বারান্দায় অনুপম রয়'র গান বাজাই।হ্যা, যা ভেবেছেন তাই।আমি জানান দেই, আমি তাদের ঝগড়া শুনছি।চেচামেচি আর শোনা যায় না।অনেক বেশি পড়ালেখা জানা লোকের লজ্জা একটু বেশি। হয়তো ভদ্রলোক উচ্চশিক্ষিত!

আমি একাই থাকি। জিতুর মা দুপুরে এসে রান্না করে যায়, সকালে হোটেল থেকে খাবার আসে।কোন কাজ নেই, সারাদিন হয় টিভিতে সিরিয়াল দেখি নয়তো পেপার মুখস্থ করি।ইদানীং পেপারে খুন,ধর্ষণ,ডেঙ্গু জ্বরের খবর বাদ দিলে পড়ার কিছুই থাকে না।আজকাল একটা কাজ বেড়েছে, গাছে পানি দেয়া।বারান্দায় আমার প্রতিবেশীনীর দেখাদেখি বেলি,রজনীগন্ধা আর হাসনাহেনা লাগিয়েছি।কয়েকমাস ধরে পরিচর্যা করছি,কিন্তু ফুল পাচ্ছি না।জিতুর মাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে জানালো অতিযত্নে যেমন সন্তান নষ্ট হয়,তেমনি আমার গাছ নষ্ট হয়েগেছে!ফুল দিবে না।আশ্চর্য!

আমি সারাদিন বারান্দাতেই থাকি, আগে রাতে ঘুমাতে বিছানায় যেতাম;এখন বারান্দাতেই ঘুমাই!আমার ফ্ল্যাটে ঘড়ি নেই।আমি সময় দেখি না।মনে হয়, দুনিয়ায় আমার জন্য বরাদ্দ সময় নষ্ট করছি।

সেদিন রাতে বারান্দায় দোলনায় ঘুমাচ্ছি।ছেলেটার কান্না শোনা গেল।
"বুবু, বুবুরে ভয় লাগে।বুবু, পানি খাবো।"
মায়া লাগলো।উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম, পারলাম না।বারান্দা দুটি সমান্তরালে, মাঝখানে ইটের দেয়াল।ওপাশে কিছু দেখা অসম্ভব। লাঠির মাথায় পানির বোতল বেধে এগিয়ে দিলাম।বললাম,"তোমার নাম কি বাবু? ভয় পেও না।দেখ, বোতল থেকে পানি খাও।"
কোন উত্তর নেই।কান্না থেমে গেল।আমি আবার বললাম,"ভয় নেই বাবু!আমি আছি, তুমি পানিটা নাও।"
ছেলেটা পানির বোতল নেয়ার চেষ্টা করছে।ধুপ করে নিচে শব্দ হল, ছেলেটা বোতল ফেলে দিয়েছে।আহারে!

তারপর কিছুদিন ছেলেটার কান্না, বা নিয়ম করে সকাল শেষ বিকেল বা রাতে কান্না শোনা গেল না।আমি অস্বস্তিবোধ করছিলাম। ভাবছি, নিজেই খোজ নিবো কিনা?জিতুর মাকে বলবো, সে সুযোগ নেই।সে ৩ দিন ধরে কাজে আসছে না।কয়েকবার দরজায় গিয়ে দাড়ালাম, নক করার সাহস হয়নি।যদি প্রশ্ন করে কি উত্তর দিব?সাতদিন কোন শব্দ শোনা যাচ্ছে না, তারমানে বাসায় নেই।অথচ ফুলের ঘ্রাণ ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে।আমি প্রতিদিন গাছের পরিচর্যা করছি কিন্তু ফুলের দেখা নেই, আশ্চর্য!

৯ম দিন বারান্দায় কথাবার্তা শুনে ঘুম ভেঙে গেল।ভদ্রলোক বলছেন,"ইলা, আমার কথা শোনো। এই যন্ত্রণা এখানেই ঘুমাক তুমি ঘরে এসো।"
"তুমি যাও আমি আসছি।"
"তুমি এখনি আসবে, এখনি আমি তোমায় বিছানায় চাই!"

"আমি বলছি, তুমি যাও।আমি রাঈদকে বিছানায় শুইয়ে আসছি।ঘুমিয়ে পরেছে, রাতে আর বিরক্ত করতে আসবে না।"
"আমি চলে গেলেইতো দরজা আটকে দেবে, তুমি আগেও এমন করেছ।"

"আজ করবো না।রাঈদ না খেয়ে ঘুমিয়েছে, কিছু একটা....."
ভদ্রলোক চিৎকার করে উঠলেন,"রাঈদ, রাঈদ, রাঈদ!ওকে নিয়ে থাকবে, আমাকে বিয়ে করেছ কেন?"

"মাসুদ, চিৎকার করো না।পাশের বারান্দায় একজন সবসময় থাকেন।"
"বাহ, পাশের বাসায় কে, কোথায় থাকে তাও জানো।বাহ!আফসোস, মানুষ বিয়েতে কত কিছু পায়।আমি পেলাম একটা হারামি শালা, যে কিনা বোন ছাড়া কিছুই বোঝে না।সে নাহয় শিশু, কিন্তু বোনের নিশ্চয়ই নিজের হাসব্যান্ডের চাহিদা বোঝা উচিত।"

"এমন করে কথা বলবে না।তুমি জানতে আমার একটা ছোট ভাই আছে।কই প্রেম করার সময়তো তোমার অসুবিধা হয়নি? খুউব তো বলতে,রাঈদকে আমি তোমার চেয়েই আদর করবো। দেখা যাচ্ছে আদরের নমুনা।"
"আমি কি জানতাম, আমার শালা বাসর ঘরেও বোনের আঁচল ধরে বসে থাকবে?রাতে বিছানায়....."
"চুপ কর, মাসুদ!তোমাদের বংশের মত তোমার মনটাও চামার।ভাগ্যিস পড়ালেখা শিখে বাইরের আচরণটা ভালো।"
"চুপ কর, ইলা।"
একটা চড়ের শব্দ পাওয়া গেল।যখন কোনভাবে তাকে বশে আনা যাচ্ছে না, এটা মনে হয় ছেলেদের মোক্ষম অস্ত্র।

রাঈদ বোধহয় চড়ের শব্দেই জেগে উঠলো। কয়েকবার বুবু বুবু ডাকলো, দরজা ধাক্কা দিলো।তারপর আশা ছেড়ে দিয়ে চুপ করে গেল, অনেক দিনেরমত আজও নিশ্চয়ই বুবু আসবে না।

"এই যে আংকেল?আছেন এখানে?এই যে আংকেল!"
গ্রিলের ফাক দিয়ে একটা ফরশা হাত দেখা যাচ্ছে, চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
"হ্যা, রাঈদ। আমি আছি।বল, ভয় লাগছে?"
"আমার খুব খিদে পেয়েছে।"

আমি দৌড়ে রান্না ঘরে গেলাম।খাবার কিছুই নেই। রুটি-ডিম ছিল,আমি ভেজে খেয়েছি।জিতুর মা আসছে না, আমিও নিচে যাই না;শুকনো খাবার নেই।নিজেকে ধিক্কার দিলাম!চিনি গুলিয়ে বোলতে ভরে নিয়ে এলাম।

"রাঈদ, এই পানিটা খাও।ভালো লাগবে।তুমি কাল আমায় ডেকো।আমি খাবার এনে রাখবো।"
"আর লাগবে না।দুলাভাই আমায় এতিমখানায় দিয়ে আসবে।"

"তুমি নিশ্চয়ই যেতে চাও না?"
"না গেলে আর কোথায় যাবো? এখানে দুলাভাই মারে, গ্রামে মামী মারে।কাপড় ধুতে হয়,বাসন মাজতে হয়, আর খেতেও দেয় না।"

"তাই?"
"জানেন, দুলাভাই এমন ছিল না।আমরা একসাথে বেড়াতে যেতাম, দুলাভাই আমার জন্য কিটক্যাট, ডেইরি মিল্ক আনতো।আমরা রেস্টুরেন্টে খেতে যেতাম, নুডলস, কাচ্চিবিরিয়ানি, পাস্তা খেতাম।দুলাভাই খুব আদর করতো। কিন্তু সেদিন রাতে বুবু লাল শাড়ি পরে খুব সাজলো।আমি আর বুবু গাড়ি করে দুলাভাইদের বাড়ি চলে এলাম।আমি আর বুবু একটা ফুল দিয়ে সাজানো বিছানায় বসে ছিলাম, দুলাভাই আমাকে একটা চড় দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিল। আমি সারারাত দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, বুবু ছাড়া খুব ভয় লাগে। আমি কি করবো, বুবু দূরে গেলেই কানি ভুত,পানিভূত,গেছো ভূত আমার দিকে আসে।"

আমি চুপ করে আছি।কি বলবো?
"আংকেল, সেদিন আপনি পানি দিয়েছেন, বুবুকে বলেছি।বুবু বলেছে, আপনি ভালোলোক।আপনাকে বিরক্ত না করতে, আপনি বিরক্ত হচ্ছেন?"
"না, আমি বিরক্ত হচ্ছি না।রাঈদ, একটা গল্প বলতো।আনন্দের গল্প।"

"আমিতো গল্প জানি না।বুবু জানে।মজার মজার গল্প।বুবুকে বলবো, আপনাকে কাকনমালা কাঞ্চনমালার গল্প শোনাবে।"
"রাঈদ, তুমি একটু অপেক্ষা কর।আমি নিচে গিয়ে তোমার জন্যে খাবার আনি।"

"না, আংকেল। আমার খিদে নেই।আপনি আমার হাত ধরুন। আমার ভয় লাগে।দেখুন, ঐ গেছো ভূত আমার দিকে আসছে।আপনি আমার হাত ধরুন।"

গ্রিলের ফাক গলে একটা হাত এল, চাঁদের আলোয় হাতটা আগের মতই চকচক করছে।আমি হাত ধরলাম।সর্বশেষ পিয়ার হাত ধরে কেদেছিলাম। পিয়ার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, আমার সাথে শেষবার দেখা করতে এসেছিল।

সকালে ঘুম থেকে জেগেছি, আমার হাত গ্রিলের বাইরেই, রাঈদের হাত নেই।কখন ঘুমিয়ে পরেছি, মনে নেই।

তারপর ২দিন কেটে গেল, বারান্দায় কোন শব্দ নেই।২ দিন, ৪ দিন করে এক সপ্তাহ কেটে গেল।কোন টু শব্দও নেই।জিতুর মাকে বললাম, সে খোজ নিয়ে জানালো বাসায় কেউ নাই।২ সপ্তাহ পর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না, নিজেই খোজ নিলাম।

নক করতেই একজন অত্যন্ত ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন।
"ইলা, রাঈদ আছে?"
"মানে? এখানে এই নামে কেউ থাকে না।"
আর কথা বাড়ানো যায় না।চলে এলাম।কিন্তু নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না।আবার গেলাম, ভদ্রলোক একটু বিরক্ত হলেন।আবার গেলাম, ভদ্রলোক রেগে গেলেন, চিৎকার চেচামেচি করলেন। আশ্চর্য ঠিক সেদিনের মত কণ্ঠ। সেদিন ইলাকে বকা দিচ্ছিলো না!

আমার প্রায় পাগল হবার জোগাড়, সারাদিন শান্তি পাইনা।শেষে আমার বন্ধু এস.আই সবুজের সাহায্য নিলাম। সে খুলনার এসআই, তবে তার ফোনকলেই কাজ হল।মাদার বাড়ি থানার ওসি এলেন।

আমি নিজেও পাশের ফ্ল্যাটে গেলাম। না, ইলা বা রাঈদ কেই নেই।তবে বারান্দায় বেলি, রজনীগন্ধা, হাসনাহেনা আছে।আমি Icy water বোতলে পানি দিয়েছিলাম, তাও আছে।স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে,রাঈদ পানি খেয়েছে। অথচ কেউ আমার কথা বিশ্বাস করলো না।

কিছুদিন আগে মাসুদ সাহেব বিয়ে করলেন। অত্যন্ত সজ্জন লোক, আমাকেও দাওয়াত দিয়েছেন। কৌতূহল বা সৌজন্যবোধেই হোক, আমি বিয়েতে গিয়েছিলাম।

গতকাল সন্ধ্যায় চন্দ্রিমা উদ্যান গিয়েছিলাম।ভেবেছি ইদে হয়তো ফাকা পাওয়া যাবে।মোটেই না, খুব ভীড়। তবে জায়গা সুন্দর!হতাশ হয়ে বাসায় ফিরছিলাম।বিকাশ বাস ফ্লাইওভারের উপর আটকে আছে। আমার সামনের সীটে একটা বাচ্চা ছেলে বলছে,"বুবু, দুলাভাই কি আমাদের এই বাসায় আসবে?এই বুবু কথা বল!"
ওর বুবু উত্তর দেয়ার আগেই আমি বললাম,"রাঈদ, ভালো আছো? মিস ইলা, আপনি কেমন আছেন?"

মেয়েটি বাচ্চা ছেলেসহ মহাখালী ফ্লাইওভারের উপরেই নেমে গেল। ছেলেটা বারবার পিছন ফিরে তাকাচ্ছে, কিছু বলছে।আমি শুনতে পাচ্ছিলাম না।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×