somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটা গোয়েন্দা কাহিনী

০৩ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১...
তিনটা প্যাঁচা, তিনটা প্রজাপতি, একটা হাতি, একটা ময়ূর, একজন মা আর একজন বোন একটা দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে আছে। থাকারই কথা, দেখার মত দৃশ্য! একজনের ভাই, একজনের ছেলে ফ্যান থেকে ঝুলছে।
বোন, মা একটা চিৎকার দিতে পারলেও প্যাঁচা, প্রজাপতি, হাতি আর ময়ূরটা কিছুই করছে না। অবশ্য ওরা চাইলেও চিৎকার করতে পারতো না, ওরা তো মাটির শোপিস!ঘরের বড় বিমটাতে তিনটা প্যাঁচার মুখোশ, উত্তরের দেয়ালে কোণায় প্রজাতিদের সংসার, হাতি আর ময়ূর টিভি ট্রলিতে এমনভাবে চুপচাপ, যেন কিছুই হয়নি।

ফাসিতে মরা সব লাশ বিভৎস হয়, এই ছেলেটার লাশও তেমন। ওর কালো জিহ্বা বাইরে বেরিয়ে আছে, কান টকটকে লাল, খোলা চোখে লাল শিরা-উপশিরা ভেসে আছে, ঠোঁটের একপাশ দিয়ে থকথকে লালা পরছে, লালার কিছু অংশ থুতনি বেয়ে বুক ভিজিয়েছে। ঝুলন্ত লাশের কোমড়ে লুঙ্গিটা কোনো রকমে আটকে আছে, শরীরটা এমন এলোমেলোভাবে ঝুলে আছে যেন দুনিয়ায় ওর কোন দায়িত্ব নেই, পিছুটান নেই, আর কিছুই বাকি নেই!
সত্যিই কি তাই?

ওর তো এই দুনিয়াকে, এই দুঃখ-অভাব জর্জরিত পরিবারকে অনেক কিছু দেবার ছিল।একটা পরিবারে ছোট ছেলেকে উচ্চ শিক্ষা দেবার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। আর ছেলেটা কোন প্রতিদান না দিয়েই চলে গেল!
আর দুনিয়া! মানুষ দুনিয়াতে আসেই নিজের চিহ্ন রেখে যাবার জন্য। একবার ভাবুন, দুনিয়ায় ৭০০ কোটি মানুষ, অথচ এই ছেলের একটা পুত্র বা একটা কন্যাও নেই!

আপাত দৃষ্টিতে এটা আত্মহত্যা মনে হচ্ছে তো? হবারই কথা। আচ্ছা, আসুন আমরা একটু পিছিয়ে যাই। ছেলেটার জীবনটাকে আলোচনা করি। নইলে গোয়েন্দা কাহিনী হবে কি করে?

২...
হাসান সদ্য পাস করা ছেলে। ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়েছে। সবার যে ধারণা, বেসরকারি পড়তে অনেক টাকা লাগে। ঠিক তা না, এখানেও মেধাবীদের জন্য অনেক সুবিধা। এই সুবিধাটাই ও নিয়েছে।

ওর পরিবারে এক ভাই, এক বোন, আর মা বাবা। বোন একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। টিউশনি করে নিজের খরচ চালায়, ভাই চাকরি করে, মা গার্মেন্টসে চাকরি করে, আর বাবাও কৃষি কাজ করে। অবশ্য বাবা আসলে কিছুই করে না। বসে থাকে, ঘুমায়,আর টাকা ধার করে। আর টাকা ধার করে কি করে? এটাতো গোয়েন্দারাই বের করুক!

ওদের পরিবারে সবাই ইনকাম করে। পড়াশোনার পাশাপাশি হাসানও টিউশনি করায়। জানা কথা, ঢাকায় পেশা হিসেবে এটা খারাপ না। যেহেতু পরিবারে সবাই ইনকাম করে, পরিবারে সুখ আর সুখ!

কিছুদিন আগে ওদের দাদাবাড়ী জমি ভাগাভাগি হয়েছে। দেখা গেল, সবাই ভালো জমি পেলেও হাসানের বাবা বাড়ি ভিটা ছাড়া কিছুই পেল না। পাবে কিভাবে? সে তো তার জমি আগেই বিক্রি করে ফেলেছে। বাড়িতে ওদের থাকার ঘর নেই।
ওরা মা, দুই ভাই মিলে জমানো টাকা দিয়ে বাড়িতে পাকা বারান্দা, পাকা ফ্লোর দিয়ে একটা টিনের ঘর দাড়া করালো। এখন ঘরতো আর ফাকা রাখা যায় না?আর ফাকা ঘরে থাকাও যায় না।

এই ব্যবস্থাও লোন নিয়ে করার চেষ্টা করছিল দুই ভাই।

৩...
হাসান সদ্য পাস করা যুবক, বিশ্ববিদ্যালয়ে ওর ফলাফলও দারুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার পদে আবেদন করে পরিক্ষা দিয়ে ভালোও করলো। ডেমো ক্লাস নিয়ে এলো। এখন শুধু ফলাফলের অপেক্ষা!

ছেলেটার মাথাও একটু খারাপ! ঠিক খারাপ বললেও খারাপ শোনায়, আসলে একটু এলোমেলো আরকি।
যখন ছেলেপেলে পাস করেই চাকরি চাকরি করে, সে পণ করেছে ১০০ ছোট গল্প লিখার পর চাকরির চেষ্টা করবে। ওর চাকরির পড়ার অত ধৈর্য্য নেই।ব্যাংকে চাকরির এক পড়া, বিসিএসের এক পড়া, টিচার হবার এক পড়া, ম্যাজিস্ট্রেট হবার জন্য এক পড়া, কত ধরণের আলাদা আলাদা পড়াশোনারে বাবা!

একটা কলেজেও সে আবেদন করেছিল। ওরা ডেকেছিল, কিন্তু যে বেতন বলে তাতে ওর হাত খরচ চলে না। এরচেয়ে টিউশনি করিয়েও বেশি টাকা পাওয়া যায়।
আপনারা ভাবছেন, এত টাকার অভাব তো বোনকে বেসরকারি পড়াতে হয় কেন? একবার ভাবুন, একটা পরিবারে কেবল ভাইয়ের জন্য টাকা খরচ হয়। বোনটা নিশ্চয়ই কোন সময় আফসোস করবে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি, গুরুত্ব দেয়া হয়নি। যাতে বোন আক্ষেপ না করে, তাই।
ও তবুও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলেজে জয়েন করবে, টাকার চেয়ে কলেজ লেকচারার পরিচয়টার ওজন বেশি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সম্ভাবনায় সেটাও ছেড়ে দিয়েছে।

ওর প্রেমিকা শায়মারও পড়াশোনা প্রায় শেষ। মেয়েটার পরিবার বিয়ে নিয়ে তোরজোর করছে। করার কথাই। মাস্টার্স পড়ুয়া মেয়ের বয়স রইরই করে যতটা না বাড়ে, তারচেয়ে মুখে ছাপ পরে বেশি। শায়মা প্রতিদিন কল দিয়েই এটা নিয়ে ঝামেলা করে। "চাকরি কর, চাকরি কর।"
তাও যে সে চাকরি না, কোন প্রথম শ্রেনীর চাকরি। নইলে মান ইজ্জত যে থাকে না, ওর বাকি দুলাভাই সব প্রথম শ্রেণির অফিসার!

সব মিলিয়ে হাসান ছেলেটা এগিয়েই যাচ্ছিল,স্বপ্ন দেখছিল ভালোভাবে টিকে থাকার। বাধ সাধলো করোনা!

৪...
করোনার জন্য চট করে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেল। যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওর নিয়োগ হল না।
এদিকে স্কুলে বন্ধ, তো টিউশনিও বন্ধ। আর ভাইরাসের ভয়ে লোকজন জড়সড়, পড়াশোনা কি করবে?
যেহেতু গার্মেন্টস বন্ধ, ভাই মা দুজনেই বাসায়। বুঝতে পারছেন, পরিবারের ইনকাম পুরোপুরি বন্ধ। জমানো টাকাতো কিছুই অবশিষ্ট নাই, সব ঘর তৈরীতে চলে গেছে।

একমাস এই পরিবার টিকে থাকলো। আর তো দিন চলে না। ঘর ভাড়া তিন মাসের জমে গেল, ঘর ভাড়া না হয় বাদই দিলাম, খেয়েতো বেচে থাকতে হবে। সে টাকা কোথায়? ভাই, মায়ের অফিস তো বেতন না দিয়েই বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আর খুলছেই না। টিভিতে প্রতিনিয়ত প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে, কোন গার্মেন্টস খোলা যাবে না। ভয়ংকর বিপদ হয়ে যাবে।

আত্মীয় স্বজনের কথা ভাবছেন? কিছুদিন আগে যে পরিবারে সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়, সেখানে আর যাইহোক সৌহার্দ্য থাকেনা। আর ওর মায়ের পরিবার মানে মামা বাড়ি অনেক আগেই মায়ের ওয়ারিশ টুকলি করে লিখে নিয়েছে। মা টেরও পায়নি। মামারাও আর অত পাত্তা দেয় না। তো ঢাকার শহরে আর ধার দেবে কে? সবারই একই অবস্থা।

ছেলেটা নিজেকে দোষ দেয়া শুরু করলো। কি দরকার ছিল, ১০০ গল্প লিখার পণ করার? কি দরকার ছিল একটা বছর বসে থাকার? আগে চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই সে কোন একটা চাকরি জুটিয়ে ফেলতো। কিছুনা কিছু বেতন ঘরে বসেও পেত। তাতে সংসারটা চলে যেত।
বোনের বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস নেয়, অবশ্যই বেতন দিতে হবে। টাকা কোথায়?

মা প্যাচাল পেরে আফসোস আরও বাড়িয়ে দেন। "ইশ! যদি ছেলেটা একটু দায়িত্বশীল হত, একটা চাকরি করতো। এক বছরে অবশ্যই হাসান একটা না একটা চাকরি পেতই!"
এর উপরে আরও যোগ হয়েছে প্রেমিকার কথা, ম্যান্টাল পেইন। ওর নাকি এর মাঝেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে! পাত্র ভালো, সে কোন একটা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার।
হাসান ওকে একটুও ভালোবাসে না, তবে তো চাকরিই খুজে ওকে দ্রুত বিয়ে করতো। প্রতিদিন ফোনে শায়মা একই কথা বলে। আবার হাসান কল কেটেও দিতে পারে না, এখনতো কোন কাজ নেই, টিউশনি নেই। লক ডাউন চলছে! কল কেটে দিলে তো ভালোবাসাও প্রমাণ করা হয় না।

৫...
ঘরে আজব অবস্থা চলছে। ভাই সারাদিন ঘুমায় বা টিভি দেখে। তা সে করতেই পারে, ভাই সারাজীবন ছোটখাটো কাজ করে সংসারে টাকা দিয়েছে। এই লক ডাউনে সে একটু আরাম করতেই পারে। তবুও হাসানের রাগ হয়, আরে কার্ডে টাকা ভরে কারেন্ট কিনতে হয়। টাকা শেষ হয়ে গেলে কি হবে? কার্ডে ভরার টাকা কই!

মা সারাদিন এটাসেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করেন। বাসায় কোন চাল, তরকারি নেই।মা রান্না করবেন কি? তাই নিজেকে অকাজে ব্যস্ত রাখেন, একমনে কথা বলেন।

হাসানের সবচেয়ে রাগ হয় বাবার প্রতি।লোকটা সারাজীবন কোন কাজই করেননি, কখনো ইনকাম কি জিনিস করেননি; সে কখনো দেখেনি। জমি বিক্রি করেছেন, ধার করেছেন,জুয়া খেলেছেন আর টাকা উড়িয়েছেন।আসলে টাকা দিয়ে সে কি করেছেন, হাসান জানে না। তার ধারের টাকা দুই ভাই কিছুদিন আগেও শোধ করেছে। অথচ এখন সে কিছুতেই টাকা ধার করবে না, অথবা কেউ তাকে ধার দিচ্ছে না।
তবে ওর বাবা কিন্তু ঠিকই আগের মত সারাদিন ঘুমায়।আর খাবার নাই দেখে রাগারাগি করে। ঘরে খাবার নেই, টাকা নেই, এরা দুই ভাই ঘুমাতে পারে না। তো ওদের বাবা কিভাবে ঘুমিয়ে নাক ডাকে, আল্লাহ জানেন?

বেশি পড়াশোনা জানা, ফ্ল্যাটে থাকা লোকেদের আর যাই সাজে, লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নেয়া, ত্রাণ হাতে ছবির পোজ দেয়া, বা কারও কাছে ত্রাণ চাওয়ার মত দুঃসাহস সাজে না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বলেই হয়তো হাসান আর বোনের আত্মসম্মান বোধ একটু বেশি। তারা মাকে ত্রাণ আনতে যেতে দেয় না। মোবাইলে কল দিয়ে ত্রাণ চাইবে? কল দিয়ে কাউকে পাওয়া যায় না, রিং হয় কল ধরে না। যাও শেষে ধরল, দিয়ে যাবে বলে দুই দিন হয়ে গেল। আর কল করার টাকাও নেই!

ক্ষুধা, অভাব, মা আর প্রেমিকার গালমন্দ, প্রত্যাশার চাপ, নিজের উপর ঘৃণা, নিজের অক্ষমতার উপর জোর দেয়া, সব মিলিয়ে হাসান সিদ্ধান্ত নিল, সে আর পৃথিবীতে থাকবে না। তারপর কি হল, শুরুতেই বলেছি।

৬...
জানি, এখনো আপনারা হাসানের মরে যাওয়াকে আত্মহত্যা বলবেন। আসুন যুক্তি দিয়ে বিচার করি, এটা খুন। আর সন্দেহভাজন খুনি খুজে বের করি।

সন্দেহভাজন ১ঃ করোনাভাইরাস।
এই ভাইরাস যদি দুনিয়ায় না আসতো তবে মা, ভাই, হাসান কারও ইনকাম বন্ধ হয়ে যেত না। হাসান এত হতাশা, চাপও নিত না।

সন্দেহভাজন ২ঃ সরকার।
সরকার যদি ত্রাণ দেবার একটা অনলাইন নীতিমালা তৈরি করতো যাতে লোকজন আবেদন করতে পারতো। সরকার তাদের পেশা, ইনকাম বিবেচনা করে ত্রাণ ঘরে পৌঁছে দিত। তবে হাসানের উপর মানসিক চাপ পরতো না। ও ঠিকই বেচে থাকতো।

সন্দেহভাজন ৩ঃ হাসানের বাবা।
এই লোক যদি কিছু ইনকাম করতেন সেটা হয়তো জমা থাকতো, এখন কাজে লাগত।বা তিনি যদি আগে জমি বিক্রি করে জুয়া না খেলেতেন, তবে জমি থেকেও চাল, ফসল পাওয়া যেত; পরিবারটি খেয়ে বেচে থাকতো।তিনি এসময় কিছু ধারও করতে পারতেন, তাও করলেন না।তাতে হাসানের হতাশা কমতো।

সন্দেহভাজন ৪ঃ বাংলা সাহিত্য।
এই আজগুবি বাংলা সাহিত্য না থাকলে, হাসানের ১০০ ছোট গল্প লিখার পণ মাথায়ই আসতো না। সে দিব্যি চাকরি খুজে চাকরি করতো, বিয়ে করে ফেলত। তাকে মা, প্রেমিকার গালমন্দ শুনতে হত না।

সন্দেহভাজন ৫ঃ হাসানের প্রেমিকা শায়মা।
সে নিঃসন্দেহে ভালো পরিবারের মেয়ে। আর মেয়েদের তো কিছু না কিছু সেভিংস থাকে। সে হাসানকে ধার হিসেবেও কিছু টাকা দিতে পারতো, তাকে সাহস দিতে পারতো। তা না করে, সে হাসানের হতাশা বাড়িয়েছে।

সন্দেজভাজন ৬ঃ পয়সাওয়ালা আত্মীয়-স্বজন।
যাদের টাকা পয়সা ভালো আছে তারা অবশ্যই পারতেন এই পরিবারের খোজ নিতে, একটু সাহায্য করতে। তারা তা করেননি, হাসানের মা কারও কারও কাছে সাহায্য চেয়েও ছিলেন! তারা অবশ্যই দায় এড়াতে পারবে না।

সন্দেহভাজন ৭ঃ হাসানের বড় ভাই।
ইনি প্রতিদিন হাসানের সাথে একই বিছানা শেয়ার করতেন, এরা দুইভাই একই ঘরে থাকেন। অথচ তিনি হাসানের মনোভাব একটুও বুঝতে পারেননি, এটা অসম্ভব। ইনি ঠিকই বুঝতে পেরে এড়িয়ে গেছেন। ভাইয়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করেননি, অবহেলা-গাফিলতির সিংহভাগ দায় উনার উপরেও পরে।

সন্দেহভাজন ৮ঃ হাসানের মা।
ইনি যদি ছেলেকে প্রতিনিয়ত গালমন্দ না করতেন, আগে থেকেই খাবার কিছুটা কমিয়ে, একবেলা খাবার কম খেয়ে জমিয়ে রাখতেন; তবে এত খারাপ অবস্থা হত না। মেয়েদের গালমন্দ, আজাইরা প্যাচাল ছেলেদের হতাশা, আত্মহত্যার প্রতি ঝোক বাড়িয়ে দেয়।

এটা যে নিছক আত্মহত্যা নয়, দীর্ঘ দুইমাসে প্ল্যান করা একটা খুন;এটাতো প্রমাণ করা গেল। আটজন সন্দেহভাজন খুনিও পাওয়া গেল। এখন একজন দক্ষ গোয়েন্দার কাজ প্রকৃত খুনি কে বা কারা তা খুজে বের করা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:০৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×