somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বরফ গলা নদী

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১...
আজ সানিয়ার বিয়ে।
বাজারের রাস্তার শুরু থেকেই দুপাশে মরিচ বাতি লাগানো, শেষ হয়েছে ঠিক দুধেরচড় গ্রামের প্রথম বাড়িটায়। বাড়ি আলোয় ঝলমল করছে,ক্ষণেক্ষণে আতশবাজির জ্বলছে। উচ্চস্বরে বাজছে হিন্দি গান
"দিলবার দিলবার, হো দিলবার......"
কোন আশ্চর্য কারণে বাঙালী উৎসবে হিন্দি গানের উপর নির্ভরশীল। অথচ লোকজন চাইলেই হিপহপ বাংলা গান বাজাতে পারে। এই যেমন- মিলার গান!

বাড়িতে একটা অস্থির ভাব,কনের চাচা সাত্তার খান, বাবা সারোয়ার জাহান হুদাই লোকজনকে বকাবাদ্য করছেন, এটা ঠিক হয়নি, ওটা হয়নি, বরপক্ষ এলো বলে অথচ ডাইনিংএর ব্যবস্থা পুরোপুরি হয়নি; আরও কতকি!
কিছু লোকজন খুব বিরক্ত, ক্যামেরাওয়ালা তাদের ছবি তুলছে না।

বাড়ির পূবের ঘরটা, ওইতো যে ঘরটার পাশে একটা বকুল গাছ, সানিয়া সে ঘরে সাজছে। সবাই তার জন্য অপেক্ষা করছে, ও এলেই একটা ফ্যামিলি ফটো তোলা হবে।
একজন ছোটখাটো কিশোরী মতন মেয়ে ছটফট করছেন, একবার ওদিকে একবার এদিকে যাচ্ছেন। তিনি আবেদা সুলতানা, কনের মা।কোন বিস্ময়কর পদ্ধতিতে তিনি নিজের বয়স বেধে রেখেছেন। তিনি কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেন না, বুক ধরফর করছে, চোখ লাফাচ্ছে। উনার চোখ যতবার লাফিয়েছে ততবার কোন না কোন সমস্যা তৈরি হয়েছে।
তিনি বারবার মেয়েকে তাড়া দিচ্ছেন। মেয়ে দরজা বন্ধ করে আছে, আবেদা সুলতানা অত্যন্ত চিন্তিত! বন্ধ ঘর আর অন্ধকারে ভালো কাজ হয় না।অবশ্য মেয়ে করবেই কি?

নিহান আর সানিয়ার পোশাক একই! নিহান সানিয়ার সাজও একই হবে। নিহান এমনভাবে মেক-আপ নিবে যাতে ওকে সানিয়ার মতই দেখা যায়। বরকে চমকে দেয়ার বুদ্ধি আরকি!
অবশ্য বরের চেনার কথাও না। বর পেশায় ডাক্তার, চশমা ছাড়া চোখে প্রায় কিছুই দেখতে পারে না।

বিয়ে মানেই একশো ঝামেলা, এখানে প্রায় লাখ ঝামেলা! সানিয়ার ভাইয়া মেহরাব বিয়েতে আসে নাই।কারণ, ওর পছন্দের পাত্রের সাথে সারোয়ার জাহান মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন না। সানিয়া শুরুতে আপত্তি জানিয়েছিল, তা টেকেনি!
অনেক ঢুলির মধ্যে এক ঢুলিতে ভুলভাল বাজালেও তাল কাটে না, এই নিয়মে বিয়ে চলছে। বাড়ির ছোট ছেলে নাই, সানিয়ার ভাইয়া নাই, কেউ গুরুত্বই দিচ্ছে না। আবেদা সুলতানার অস্বস্তির এটাও একটা কারণ। সানিয়া একটা প্রজাপতি হলে, ওর দুই পাখা ওর দাদা মনিরুজ্জামান, আর ভাইয়া
মেহরাব। এক পাখা না থাকলে মেয়ে উড়বে কি করে?

নিহান আপুকে ডাকতে গেল।
"সাইনা আপু, এই সাইনা আপু!বের হও, আর কত!সবাই তোমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। তুমি আসলেই ছবি তোলা হবে।"
কোন সাড়া নেই।
নিহান চাবি দিয়ে দরজা খুললো।আশ্চর্য! ঘরে কেউ নেই।

একটা কথা প্রচলিত আছে "বিয়ে বাড়ি না চ্যাটের বাড়ি, আন্দাগুন্দা পাক পাড়ি"। কিছু লোক সত্যিই খুব ব্যস্ত, যেন খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। ওরা জানতেও পারেনি, কনে নেই, পালিয়ে গেছে!

২...
সরকারি ডাক্তারদের মন পড়ে থাকে ক্লিনিকে বা নিজের চেম্বারে। ডা. নাফির মন পরে থাকে বাসায় মেয়ে এলছা'র কাছে। উনি একটু পরপর মোবাইল দেখেন, কখন মেয়ে কল দেয়!ধরতে না পারলেই কাট্টি, বাসায় ফিরলে কথা বলবে না, দরজা বন্ধ করে বসে থাকবে। ডা. নাফির কষ্টে কান্না পায়,উনি মেয়ের অভিমান ভাঙাতে পারে না। মেয়ের মা সানিয়াও চাকরি করে, তাতে মেয়ের আপত্তি নাই। তবে মেয়ে বাবাকেই বেশি ভালোবাসে। ঘুমাতে যাবার আগে গালে চুমু খেয়ে স্পষ্ট করে বলে," I love you 3 thousands, baba." মাকে কখনো এটা বলে নাই! ডা. নাফি বেশ গর্ববোধ করেন।

লাঞ্চের পর ডা.নাফির রুগি দেখতে ইচ্ছে করে না। বাড়িতে মেয়ের সাথে থাকতে ইচ্ছে করে। উনি মোবাইল হাতে নিয়ে বসে থাকেন, উনার মা এলছাকে খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর আগে সানিয়া, নাফিকে ভিডিও কল দেন।
উনি একটা অপারেশন করবেন, পোশাক পরে যখন রেডি হচ্ছেন তখনি সানিয়া কল দিল।
কাঁদতে কাঁদতে বললো,"নাফি, বাবুকে সকাল থেকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তুমি, আমি অফিসে আসার পর থেকেই পাওয়া যাচ্ছে না। আম্মা ওকে রুমে রেখে ছাদে গিয়েছেন, এসে দেখেন এলছা নেই। নেই তো নেই!আমি বাসায় এসেছি, তুমি প্যানিক করবে দেখে আগে জানাইনি।আমি সব জায়গায় খুজেছি, কোথাও নেই।"

অপারেশন গাউন পড়া অবস্থাতেই নাফি দৌড়ে বেড়িয়ে এল। দ্রুত বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখল, উনার মা নাজমা বেগম, সানিয়া কাঁদছে। এলছার দুই মামা মেহরাব, মনিরুজ্জামান এসেছেন;তারা ওকে খুজতে বেড়িয়েছেন।
সানিয়া নাফিকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো।
"আমি আগেই বলেছিলাম, চল শহরে বাসা নিই।রাজি হলে না, পরে বললাম, তাহলে বাড়ির চারদিকে দেয়াল দিয়ে দাও।তাতেও রাজি হলে না। এখন আমার মেয়েকে এনে দাও।"
নাজমা বেগম আবার অজ্ঞান হয়ে পড়লেন।

চৌধুরী বাড়ির নাতনী নিখোঁজ, চর কালীবাড়ি গ্রামে এমন উত্তেজনা খুব বেশি তৈরি হয় না। চারদিকে হইহই রব পরে গেল। সবাই লাঠিসোঁটা নিয়ে এদিক-ওদিক ছুটছে।
ডা.নাফিও বসে রইলেন না। বাড়ির আশেপাশে খুজতে লাগলো। অপারেশন গাউন পড়া ডাক্তার জংগলে-ঝোপঝাড়ে,এদিক-ওদিক ঘুরছে; একই দিকে বারবার ঘুরছে, চোখ মুছছে।এটা মোটেই সুখকর দৃশ্য নয়!
গ্রামের লোকজনকে এই দৃশ্য বেশিক্ষণ দেখতে হল না। ডা.নাফি বাড়ির পিছনে পুকুর পাড়ে অজ্ঞান হয়ে পরলেন।

এলছাকে পাওয়া গেল বিকেলে।
ঐতো বেদেনীর দল বিন বাজাতে বাজাতে যাচ্ছিল, এলছা ওদের পিছনে পিছনে আসতে আসতে কখন কুড়পাড় পাড় হয়ে শম্ভূগঞ্জ চলে এসেছে, টেরই পায়নি!এলছার বড় মামা ওকে বাজার থেকে খুজে এনেছিলেন।

৩...
সারোয়ার সাহেব অত্যন্ত বিরক্তি নিয়ে মোনাজাত ধরে আছেন। ইমাম সাহেব কতক্ষণ দোয়া করবেন ঠিক বোঝা যায় না। তিনি শেষ করার আগে ৫ বার উচ্চস্বরে কেঁদে কেঁদে বলেন,"হে আল্লাহ, আমরা সবাই অত্যন্ত গুনাহগার।আমাদের ক্ষমা করুন!" তখন বোঝা যায় মোনাজাত শেষ হবে। আজ এখনো বলছেন না। সারোয়ার সাহেব বিরক্ত হচ্ছেন, আরে ব্যাটা তুই গোনাহগার, সবাইতো গুনাহগার না।তুই নিজের কথাই বল না!

মাগরিবের নামাজ শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।বাড়ির পিছনে লেবুঝোপের কাছে লাল জামা পড়া একটা বাচ্চা মেয়ে, লেবু তুলছে আর মাটিতে জমা করছে। তিনি ভাবলেন, ধমক দিবেন।
একটু দূরের চাঙে বসে আছেন একজন মেয়ে। হয়তো বাচ্চা মেয়েটির মা। বাড়ির মেহমান হবে, তিনি ধমক দিলেন না।
আবেদা সুলতানাকে ডাকলেন।
"রিংকু, এই রিংকু!সন্ধ্যাবেলা লেবু তুলে কে? জানো না, সন্ধ্যার পর গাছের ফল তুলা নিষেধ।
এত লেবু দিয়ে কি হবে? আর মেয়েটাই বা কে? এই বাড়িতে কখন কি হয়, আমিতো কিছুই জানি না।"
"তুমি নিজেই জিজ্ঞেস কর না কেন?"
এই বলে আবেদা সুলতানা রান্নায় মনোযোগ দিলেন।

বসার ঘরে আলো জ্বলছে। মুখ ভার করে অতি সুদর্শন পুরুষ বসে আছে। সারোয়ার সাহেব আরও বিরক্ত হলেন, বাইরের লোকজন ভেতরে আনার কি দরকার?
আগে মেহরাব যখন বাড়ি ছিল তখন ভেতরে বাড়িতে লোকজন অবাধে আসতো। এখন সবাই বাংলা ঘরেই বসে। গুরুত্বপূর্ণ মেহমান ভেতর বাড়িতে আসে। এই লোকটা ভেতর বাড়িতে বসে আছে কেন?
আর একাই বা বসে আছে কেন? গুরুত্বপূর্ণ মেহমান হলে একা থাকার কথা না।
সারোয়ার জাহান বারান্দায় বসলেন, যাতে লোকটাকে দেখা যায়!

নিহান রান্নাঘরে মার কাছে গেল।
"আম্মু, আমি কি নাফি ভাইয়ার কাছে গিয়ে বসবো?"
"না, দরকার নাই।"
"তাহলে বাড়ির পিছনে সাইনা আপুর কাছে যাই?"
"না, তোমার আব্বু রাগ করবেন।"
"আব্বু তো সব কিছুতেই রাগ করেন। আম্মু,দেখেছ আপুর কি সুন্দর একটা মেয়ে হয়েছে! আমি কি ওকে একটু আদর করে আসবো?"
"নিহান চুপ কর, যাও এখান থেকে।"

নিহান রাজউক কলেজে পড়ে। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরা পথে প্রায়ই সানিয়া-নাফিদের বাড়ি যায়। আজকে এই অভিনয় করলো যাতে কেউ সন্দেহ না করে!

সানিয়া বসার ঘরে ঢুকলো। এলছা নাফির হাত ধরে টানছে।
"বাবা, বাইরে এতগুলো ফায়ার ফ্লাই! চল, আমরা গিয়ে ধরি।"
ডা. নাফি কিছুই বলছে না,কাঁদছে। এলছা বাবার চোখ মুছে দিল।
"বাবা, তুমি কাঁদছ কেন? নানা ভাই তোমাকে কিছু বলেছে? চল, আমরা চলে যাই।
বাবা জানো, খালামণিও আমার সাথে কথা বলছে না? তুমি বলেছ, আমি যদি আবার না বলে কোথাও যাই তবেই আমার সাথে কথা বলবে না। আমিতো কোথাও যাইনি, আম্মুর কাছেই আছি। তবে এবাড়ির কেই আমার সাথে কথা বলছে না কেন?
বড় মামা, ছোট মামা কোথায়?"

সারোয়ার জাহান সানিয়াকে দেখে উত্তেজিত হয়ে পরলেন। চিৎকার জুড়ে দিলেন।
"রিংকু, এই রিংকু! এরা আমার বাড়ি কেন আসছে? কেন আসছে? আমি এদের চেহারাও দেখতে চাই না, আগেই বলেছি!এখনি চলে যেতে বল, এক্ষুনি!"
"তুমি আমার সাথে কেন চেচামেচি করছ? তুমি গিয়ে জিজ্ঞেস করে আস, তুমিই চলে যেতে বল।"

৪...
ডা. নাফি এই বাড়ি আজই প্রথম এসেছে, তা নয়।আগেও অনেকবার এসেছে। বাড়ির পিছনে বাগান, বসার চাঙ, চাঙে বসে দাবা খেলা, বকুল ফুলের ঘ্রাণ; সব ওর মনে আছে। এই এলাকার সবই ওর চেনা। ভাইয়ার সাথে কত এসেছে!
তবে এই বসার ঘরে শেষবার যখন বসেছে তখন পেছনে মেহরাব ভাইয়া দাঁড়িয়ে ছিল।
সেদিন ভাইয়া সানিয়ার সাথে তার বিয়ের কথা বলেছিল। সারোয়ার জাহান রাজি হননি। তিনি তাড়াহুড়ো করে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেললেন।বিয়ের দিন সানিয়া পালিয়ে গেল, নাফি-সানিয়া বিয়ে নেয়।

এরপর আর এবাড়ি আসা হয়নি।বাড়ির পরিবেশ আগের মতই আছে, তবে অচেনা লাগছে। আজকে ভাইয়াও নেই! ডা.নাফির একা একা লাগছে, ঠিক সাহস পাচ্ছে না। সে মেঝের দিকে তাকিয়ে আছে, মেয়ের কথারও জবাব দিচ্ছে না।
সানিয়া নাফির পাশে বসলো।

সাত্তার খান, সারোয়ার জাহান বসার ঘরে এলেন।
এলছা সানিয়ার গালে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,"আম্মু, দেখ দেখ দুইটা নানা ভাই!তুমি ছবি দেখিয়েছ না, ওমা! ওরাই তো।"
সাত্তার খান চুপ করে বসে রইলেন, সারোয়ার জাহান কথা বললেন।
"তোমরা কেন এসেছে, চলে যাও। আর কখনো এবাড়ি আসবে না।"

নাফি কাঁদছে।
"এটা আমার মেয়ে এলছা। বয়স মাত্র তিন বছর। এইতো সেদিন এতটুকু ছিল! সকালে যখন হাসপাতালে যেতাম দেখতাম ঘুমুচ্ছে, বাসায় ফিরেও দেখতাম ঘুমুচ্ছে। আমি কেবল ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম।
এলছা প্রথম অস্পষ্ট শব্দটা বললো "বাবা"।আমার যে কি আনন্দ হয়েছিল!
আস্তে আস্তে কথা বলা শিখলো, সারাদিন এটাসেটা প্রশ্ন করে।আমি কিছুই বুঝিয়ে বলতে পারি না, আমি চেষ্টা করেই যাই!আমার খুব ভালো লাগে।
গতকাল একটা অপারেশন করবো, সানিয়া কল দিয়ে বললো যে এলছাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আমার পুরো দুনিয়াই ওলটপালট হয়ে গেল,আমি কিভাবে বাড়ি ফিরেছি জানি না!
মেয়েকে তিন ঘন্টা খুঁজে পাওয়া যায়নি, আমি পাগলের মত এদিকওদিক খুজেছি, ওর দুই মামা খুজেছে। একসময় প্রেসার না নিতে পেরে আমি অজ্ঞান হয়ে গেছি!
ঐ সময়টা আমার যে কেমন গেছে!
মেয়েটা ফিরে এলে যেন সারা দুনিয়াটা হাতে পেয়ে ছিলাম।"

ডা. নাফি চোখ মুছলেন। সানিয়া নাফির হাত ধরে বসে আছে। এলছাও কাঁদছে।
"জানেন, গতকাল রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। সকালে মনোযোগ দিয়ে রোগী দেখতে পারিনি,আমার অস্বস্তি লাগছিল খুব। বাসায় ফিরে মেয়েকে নিয়ে বসে থেকেছি।
তবুও শান্তি লাগছিল না। আমার শান্তি নষ্ট হয়ে গেছে এই ভেবে, আমার এতটুকু মেয়ে!মাত্র তিনঘন্টা ছিল না, আমার দুনিয়ায় বদলে গিয়েছিল।
আর আপনি আপনার মেয়েকে ২২ বছর লালনপালন করেছেন। যেদিন সানিয়া আমার সাথে চলে গেল, সেদিন আপনার কেমন লেগেছিল! আজ ৫ বছর মেয়ের সাথে আপনার দেখা নেই, আপনার কেমন লাগছে!"

ডা. নাফি চোখ মুছে, উঠে গিয়ে সারোয়ার জাহানের হাত ধরল।
"আমাকে ক্ষমা করে দিন, আমি বুঝতে পারিনি।সানিয়ার সাথে কথা বলুন।আমাদের একবার সুযোগ দিন।"
বসার ঘরের সবাই কাঁদছে; নিহান, সারোয়ার জাহান, সাত্তার খান, নাফি, এলছা, সানিয়া সবাই!
কেবল আবেদা সুলতানা ব্যস্ত, উনার সময় নেই! নাফি জামাই হিসেবে প্রথম এ বাড়ি এসেছে, উনি বিরিয়ানি রান্না করছেন। নাফি বিরিয়ানি পছন্দ করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১০
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×