কাঁধের কাছে কেউ একজন হাত রাখতে চমকে ফিরে তাকাই। 'কতবার নাম ধরে ডাকছি, ছাড়া সবাই দিচ্ছিস না যে বড়?' হাসান ডাকটা কয়েকবার শুনেছি, কিন্তু এটা খুব কমন নাম, তাছাড়া এই এলাকায় আমি নতুন, পরিচিত কেউ নেই, কাজেই মোটামুটি নিশ্চিতই ছিলাম এ ব্যাপারে যে আমাকে কেউ ডাকছিলনা।
আমার চোখে প্রশ্ন দেখে ওদিক থেকে জবাব, ' আমি পাপ্পান, তোদের পাপ্পু।' আমার চোখ ছোট হতে দেখে এবার অপরপক্ষের সংযোজন - 'ময়মনসিংহ জেলা স্কুল।' এতক্ষণে চিনতে পারি আমি। বলি, ' ও মোজো কাকুর ভাতিজা পাপ্পু!' 'মাইরি তুই এখনো ভুলে যাস নি।' দুজনেই হাসিতে ফেটে পড়ি ।
নিমেষেই ২৩ বছর পিছনে চলে যাই। ক্লাস ফোর। বাবার বদলির চাকরির কারণে আমি তখন ময়মনসিংহে। পাপ্পু ছিল ক্লাসের ফোর্থ বয়, কিন্তু আমার চোখে সবার সেরা। ক্লাসের অন্য ছেলেরা যখন পকেটে মার্বেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন পাপ্পুর পকেটে কিছুদিন দেখেছি একটা ম্যাগনেট থাকতো । ওর একটা খাতায় লিখে রাখতো ম্যাগনেট কোন কোন জিনিসকে কিরকম আকর্ষণ করছ কোনটাকে আকর্ষণ করছে না। একটা মেটাল ডিটেক্টর তৈরি করবে বলেছিল। ওর মুখেই মেটাল ডিটেক্টর শব্দটা প্রথম শুনি। বড় অদ্ভুত ছেলে ছিল। ওর বাবা পাশের থানার হাইস্কুলের শিক্ষক, কিন্তু লেখাপড়ার সুবিধার জন্য ও ওর খালার বাসায় থেকে পড়তো। তবে ম্যাগনেট না , ওর সঙ্গে আমার খাতির বইয়ের হাত ধরে। ওর ব্যাগে পাখির ছবিয়ালা একটা বইদেখে পড়তে চাওয়া থেকে শুরু। ওর খালার বাসায় দেওয়াল জোড়া এক বড় আলমারি ভর্তি বই ছিল আমার প্রথম আকর্ষন। তা থেকে ধীরে ধীরে ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব। ক্লাসের ছেলেরা অবশ্য খুব খ্যাপাতো ওকে ওর মোজো কাকুর জন্য। খ্যাপাবে নাই বা কেন? কারন ওর মুখে সবসময় খালি মোজো কাকু। মোজো কাকু এই করেছে, মোজো কাকু এই পারে, ওই পারে এর সমস্ত গল্প। মোজো কাকু কে বা কি করে জানতে চাইলে ধীরে ধীরে অনেক কিছু জেনেছিলাম । ওর কাছে জেনে ছিলাম যে ওর বাবার ছোট ভাই মোজো কাকু আমেরিকাতে কম্পিউটারে বড় গবেষণা করে। কম্পিউটার কি জিনিস ধারনা ছিল না। ওকে জিজ্ঞেস করলে অবাক হয়ে বলেছিল, ' কম্পিউটার কি জানিস না! এটা এমন একটা যন্ত্র তোর রসগোল্লা খাওয়ার ইচ্ছে হলে বলবি রসগোল্লা খাব; কম্পিউটার রসগোল্লা তৈরি করে দেবে। বিরিয়ানি খেতে চাইলে বিরিয়ানি তৈরি করে দেবে। সিনেমা দেখার ইচ্ছে হলে সিনেমা দেখাবে।' আরো বলতো ওর মোজো কাকু স্টিভ জবস এবং বিল গেটস নামের দুই জন লোকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মোজো কাকুর অনেক টাকা। বিল গেটস আর স্টিভ জবসের নাম শুনিনি । এরা কারা জানতে চাইলে ও বলেছিল এরা আগে মোজো কাকুর অ্যাসিসট্যান্ট ছিল এখন আলাদ হয়ে নতুন করে ব্যবসা করছে। মোজো কাকুই কিছু টাকা পয়সা দিয়ে ওদের সাহায্য করেছেন। মোজো কাকুর এত টাকার উৎস কি জানতে চাইলে বলেছিল পৃথিবীতে যত কম্পিউটার তৈরি হয়, তার সবগুলো হয় ছাই-সাদা রঙের হবে অথবা কালো রঙের হবে। এটা পেটেন্ট করে মোজো কাকু নির্ধারণ করে দিয়েছে। । কাজেই, পৃথিবীতে যারাই কম্পিউটার বানায়, তারা সবাই মোজো কাকুকে রয়ালটি দিতে বাধ্য। এছাড়া স্টিভ জবস এবং বিল গেটস এর কোম্পানিতে ওনার অনেক শেয়ার আছে যেখান থেকে বড় টাকা আসে। আমেরিকাতে নাকি সিলিকন ভ্যালি নামের কোন একটা বড় শহর আছে সেখান মোজো কাকুর বড় মূর্তি তৈরি করে তার গলায় মালা ঝোলানো আছে। মোজো কাকুর ছবিওয়ালা টি-শার্ট পড়ে নাকি ওখানকার ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা ঘুরে বেড়ায়। পাপ্পুর মুখে সব সময় মোজো কাকুকে নিয়ে নিয়ে এরকম আরো অসংখ্য গল্প। এসব গল্পের কতটা সত্য কতটা মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ আমাদের ছিল না, তবে লাভের লাভ এই যে ক্লাসের অনেকেই ওকে মোজো কাকুর নাম নিয়ে ক্ষেপাতো । তবে পাপ্পু এসব গায়ে লাগাতো না। পাপ্পুর বাসায় আমার আরও একটা বড় আকর্ষণ ছিল, সেটা হল ওর খালাতো ভাই মেহেদী। মেহেদী ভাই ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে পাশ করে তখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন । যদিও শহরেই কলেজ এবং শহরেই ওনাদের বাসা, পড়ার চাপের কারণে উনি বেশিরভাগ সময় হোস্টেলেই থাকতেন। ছুটির দিনগুলোতে মাঝে মাঝেই দেখা হয়ে যেত। উনি আমাদের পড়ার আগ্রহটা আরো বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেন। কি পড়তে হবে, কি পড়া দরকার খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতেন। ওনার কাছেই প্রথম আকাশ দেখা শিখি। কোথায় কোন তারা, কোন তারার কি নাম, উনি খুব সুন্দর করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে হাতেনাতে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। ওনার একটা প্রিয় খেলা ছিল প্রতিশব্দ বলার খেলা। কোন একটা শব্দ বলে আমাদেরকে তার প্রতিশব্দ বলতে বলতেন। যেহেতু আমাদের বয়স কম, আমরা দুইটা বললে উনি পাঁচটা বলতেন। ওনার কাছেই প্রথম শিখি আকাশের প্রতিশব্দ অভ্র । উনি প্রায়ই বলতেন মনটাকে আকাশের মত বড় করো। প্রতিদান পাবার আশা না রেখে মানুষের জন্য কিছু করে যাও, দেশের জন্য কিছু করে যাও।
ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় হঠাৎ ঘটে গেল এক বড় দুর্ঘটনা। স্ট্রোক করে আংশিক প্যারালাইজড হয়ে গেলেন পাপ্পুর বাবা। মেহেদী ভাই ছুটাছুটি করে অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গ্রাম থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত আসতে আসলে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। অকালে অবসর নিয়ে নিতে হয় পাপ্পুর বাবাকে এবং নির্ভর করতে হয় জমি জমার উপর। মোজো কাকু অবশ্য কয়েকটা বড় বড় প্রজেক্টে ব্যস্ত ছিলেন, যার কারণে সে সময় দেশে আসতে পারেন নি। তবে মোজো কাকুর দেখা পেতে খুব দেরি হয়নি। সে বছরই তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। এবং জমি জমার ফসলের হিসাব নেয়ার জন্য একবার গ্রামেও আসলেন। তার মুখে শুনেছিলাম ঢাকায় কে যেন ছাই-সাদা বা কালোর বদলে খযেরি রঙের কম্পিউটার তৈরি করেছে। তার পেটেন্ট ডিজাইন এর বাহিরে কম্পিউটার তৈরি করায় মোজো কাকু ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাছাড়া খয়েরি তো কালো এবং লাল রঙের মিশেল। কাজেই কালো রঙের ব্যবহার করলে তাকে রয়েলটি অবশ্যই দিতে হবে। একারণে নাকি মামলা করতে হয়েছে। তো পাপ্পুর লেখাপড়ার খবর নেওয়ার জন্য অবশ্য মোজো কাকু একদিন পাপ্পুর খালার বাসায় আসলেন। বিশেষ একটা কারণে মোজো কাকু ঐদিন খুব ক্ষেপে গিয়েছিলেন। কারণটা আর কিছুই না, পাপ্পুর কাছে একটা বই ছিল মানব দেহের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ছবিওয়ালা। মেহেদী ভাই বইটা দিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই মানব শরীরের প্রজনন অঙ্গের বিভিন্ন অংশের ছবি সহ বৈজ্ঞানিক নামও বইটিতে ছিল। এসব জিনিস পড়ে ছেলেপুলেরা খারাপ হয়ে যাচ্ছে এই সমস্ত কথা বলে পাপ্পুর খালাকে বেশ দু কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন। ভেবেছিলাম ব্যাপারটা ওখানেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু না, কদিন পরেই পাপ্পুকে জেলা স্কুল থেকে ছাড়িয়ে মোজো কাকু একটা স্থানীয় মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিলেন। পাপ্পুর বাবা অসুস্থ হওয়া মোজো কাকুই তখন বাড়ির কর্তা। কাজেই মেহেদী ভাই বা পাপ্পুর খালা প্রতিবাদ করে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি । তবে পাপ্পুর মাদ্রাসায় পড়াও খুব বেশি স্থায়ী হয় নি। মামলার কাজ উপলক্ষে মোজো কাকুকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দিন দেশে থাকতে হয়েছিল। তো তিনি একদিন মাদ্রাসায় যেয়ে দেখলেন সব পাপ্পু সুর করে পড়ছে - 'গোসল ফরজ হওয়ার কারণ ৬টি, গোসল ফরজ হওয়ার কারণ ৬টি, গোসল ফরজ হওয়ার কারণ ৬টি, ১ নম্বর কারন স্ত্রী...।' যেখানে এ সমস্ত অশালীন জিনিসপত্র শিক্ষা দেওয়া হয় সেখানে পাপ্পুর আর পড়া হয়নি। এরপর পাপ্পুর গন্তব্য গ্রামে, জমিজমা ইত্যাদি দেখভাল করা। আমার সঙ্গে দেখা খুব কম হয়েছে। শেষ যেবার দেখা হয়, শুনেছিলাম গাই গরু গরম হয়েছে পাল দিতে নিতে হবে এ কথা বলায় কাকু মহা গরম হয়েছিলেন। গ্রামের পরিবেশ পাপ্পুর খুব ক্ষতি করছে বলে ওকে শহরে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এরপর আমার বাবা ময়মনসিংহ থেকে বদলি হয়ে যাবার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্তেও আর যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয় নি।
বর্তমানে ফিরে আসি । 'চিনলি কি করে?' আমার প্রশ্ন। 'পত্রিকায় তোর ছবি দেখেছিলাম।' একটা সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর পুলিশ অ্যারেস্ট করেছিল। পত্রিকায় ছবিও এসেছিল। ভেবেছিলাম ছবিটা খুব পরিষ্কার আসেনি। দেখে কেউ চিনতে পারবে না।পরিচিত অনেকে একই কথা বলে সান্তনাও দিয়েছিল। কিন্তু বুঝলাম ভুল করেছিলাম। যাহোক জামিন পাওয়ার পর আগের বাড়িয়ালা নোটিশ দিয়ে দেওয়ায় নতুন বাসায় উঠতে হয়েছে। বউ এখনো বাপের বাড়ি, বাসায় নেই। বললাম চল, চা খাই। একটা দোকানের বারান্দার বেঞ্চে বসে চা -সিঙ্গারা- সমুচা-চপের অর্ডার দেই। খাবার আসতে আসতে কথা চলতে থাকলো। জানলাম গ্রাম থেকে মোজো কাকু পাপ্পুকে তার ঢাকার বাসায় নিয়ে আসে। কাকু বাইরে থাকায় এখানে অনেকটা কেয়ারটেকার হিসেবেই তার জীবন কেটেছে। মোজো কাকুর বাসার কম্পিউটার ঘাঁটতে ঘাঁটতে অবশ্য পাপ্পু কম্পিউটার সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে নিয়েছে। ওর মাথাটা বরাবরই পরিষ্কার ছিল। ওর কাছেই জানলাম মোজো কাকু এখন নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। বললো মোজো কাকুর নতুন প্রজেক্টের নাম আই স্কয়্যার বা ইন্টারনেট ফর ইনফ্যান্টস। প্রজেক্ট এর কাগজপত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জমা দেওয়া আছে। মোট ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প মোজো কাকুকে কথা দিয়েছে মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণ হয়ে গেলেই এই প্রজেক্ট এর কাজ শুরু হবে। মোজো কাকু অবশ্য পাপ্পুর কম্পিউটার প্রতিভার কথা জেনে গিয়েছিল । আই স্কোয়্যার প্রজেক্টের অনেক কাজ নাকি পাপ্পুর করা। টাকা পয়সা কিছু দিয়েছে কি না জানতে চাইলে পাপ্পু জানালো, 'না সেরকম কিছু দেয়নি। তবে একটা কাজ আমি করে রেখে এসেছি। আই স্কোয়্যার প্রজেক্ট এর লোগোতে ক্লিক করে কন্ট্রোল প্লাস সিফট প্লাস পি কি চাপ দিলে প্রজেক্টের মূল কর্মীদের নামটা স্ক্রিনে ভেসে ওঠে।' ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে পাপ্পু বলে, ' ঢাকায় আর মনে হয় থাকা হচ্ছে না। বাবা মারা গিয়েছেন অনেকদিন। মা বাসায় একা। বিয়ের জন্য অনেক দিন ধরেই চাপ দিচ্ছেন। বিয়ের ভদ্র বয়স প্রায় শেষের দিকে। গ্রামে জমিজমা গুলোর দায়িত্ব বুঝে নেওয়া দরকার। তাছাড়া ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাশ করে নিয়েছি। গ্রামের পাশের থানায় একটা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট খুলেছে। ওরা চাচ্ছে ওখানে কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর হিসেবে আমি জয়েন করি। সিলেবাস দেখেছি। পড়াতে খুব একটা সমস্যা হবে না। '
আমি মোজো কাকুর কথা ভাবি । চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসে আকাশের দিকে তাকাই। মেহেদী ভাইয়ের কথা মনে পড়ে। মোজো কাকুরা কী কখনও আকাশের দিকে তাকান?
পাপ্পুর নামটি বুয়েটের সিএসইর প্রাক্তন গ্রাজুয়েট মুনিরুল আবেদিন পাপ্পানের নাম থেকে নেয়া । তবে চরিত্রটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মুনিরুল আবেদিন এর সঙ্গে গল্পের পাপ্পুর চরিত্রটি নাম ছাড়া কোন মিল নেই। মেহেদী নামটি অভ্রর স্রষ্টা ডক্টর মাহদীর নাম থেকে নকল করেছি। এখানেও ডক্টর মেহদীর চরিত্রের সঙ্গে গল্পের মেহেদির কোন মিল নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বাস্তব চরিত্র এবং তার পাঁচ বিলিয়ন ডলারের দেওয়াল প্রজেক্টও একটি বাস্তব ঘটনা। তবে আই স্কোয়্যার প্রজেক্ট বাস্তব কিনা জানা নেই। মোজো কাকু একটি কাল্পনিক চরিত্র। আমার চেনা বা জানা কারো সঙ্গে তার নাম বা চরিত্রের মিল নেই। তবে খাজা নাজিম উদ্দিন বা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নাম শুনলে আমার মনের মধ্যে এরকম একটি চরিত্র ভেসে ওঠে। গত দু সপ্তাহ ধরে গল্পটির প্লট মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, আজ ভার নামালাম। পুরো গল্পটি কাল্পনিক তাই সবাইকে অনুরোধ করবো কোন বাস্তব কোন ঘটনার সঙ্গে এর মিল না খোঁজার। যেহেতু এটি গল্প, সবার কাছে অনুরোধ, বানান ভুল গুলো ধরিয়ে দিন, এডিট করে ঠিক করে নেব।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০১