মওকা চলিয়া গেল। অদ্য ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১৮ রানে নিউজিল্যান্ডের নিকট হারিয়া যাইবার পর এই বছরের মতো ভারতের বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন শেষ হইয়া গেল।
বাংলাদেশ দল আইসিসির পূর্নাঙ্গ মেম্বার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়। এর আগে পর্যন্ত ভারতীয় দলের একনিষ্ঠ সাপোর্টার ছিলাম। শৈশব হইতে প্রতিবারই শুনিয়াছি ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইনআপ বিশ্বসেরা। তবে ফাস্ট বোলিং এ মাঝে মাঝে কিছুটা হয়তো দুর্বলতা ছিল। ভারতীয় বিশ্লেষকেরা জানাইয়া ছিলেন ভারতের এযাবতকালের এটি সর্বশ্রেষ্ঠ দল। ব্যাটিঙে এর চাইতে ভাল অবস্থানে ভারত কখনো ছিল না। তবে আজ ধোনি ও জাদেজা কে বাদ দিলে ভারতীয় দলের বাকি নয় জন মিলিয়া রান করিয়াছে ৭৮। ছয় জন বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান আউট হইবার পর সাত নম্বরে নামিয়া জাদেজা একা করিয়াছে ৭৭। অতিরিক্ত রানা আসিয়াছে ১৬ টি যাহা ভারতীয় দলের সাতজন ব্যাটসম্যান এর সম্মিলিত রান এর চাইতে মাত্র ২ বেশি।
বলিঙে তো ভারত অপ্রতিরোধ্য বলিয়া বিশ্লেষকরা দাবি করিয়াছিলেন। ভারত দলের চার জন পেসারের মধ্যে ২ জন ঘন্টায় ৯০ মাইলের অধিক গতিতে বল করিতে পারে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবশ্য ঐ বোলিঙ ভারতের কাজে আসে নাই।
বাংলাদেশের মত দুর্বল দলের সহিত খেলিয়া ভারত কখনও তাহাদের এনার্জি নষ্ট করতে চায় না। বিশ্বের দুর্দান্ত দুর্দান্ত দলের বোলারদিগকে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা নাকানি-চুবানি খাওয়াইয়াছেন। ভারতীয় বোলাররা ভাল পিচ পাইলে মাঝে মাঝে বাউন্সার ও মারিতে ছিলেন। এই বছর ভারতের বড় মওকা ছিল। হারিয়া যাওয়ার পিছনে বাজে আপয়ারিঙ বা খারাপ পিচ বা আবহাওয়া দায়ি হইতে পারে। যড়যন্ত্রও হইতে পারে।
যাহা হউক খেলাধুলায় হার-জিত বড় কথা নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা। সু প্রতিবেশি হিসাবে চাহিয়াছিলাম ভারত মওকার সদ্ব্যবহার করুক, জিতিয়া যাউক। এই মওকাই শেষ মওকা নহে , ২০২৩ সালে আবার মওকা আসিবে। র্যামবো দাদা এবং তুষার (পুনে, মহারাষ্ট্র) এর জন্য বুক ভরা সমবেদনা রহিল
ছবিঃ আনন্দবাজার পত্রিকা হইতে টুকলি করা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩২