somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রবীন্দ্রনাথ কখনই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ কে ভালোবাসতেন না । মন্তব্য প্রতিবেদন

০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
প্রতি বছর ৮ মে ঘনিয়ে আসলেই আমাদের টিভি চ্যানেল গুলো ভ্যা...ভ্যা.......প্যা...........প্যা....শুরু করে দেয়। আর তখনই আমরা বুঝতে পারি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের জম্নদিন আসছে। টিভির পাশাপাশি পত্রিকাগুলো বিশেষ করে ভারতের দালাল প্রথম আলোর মত পত্রিকা গুলো দেশের খবর বাদদিয়ে কে কোথায় ভ্যা...ভ্যা.......প্যা...........প্যা..করছে, নাচোন কোদন দিছে, কে কতটা পাছা দুলাইছে তার খবরে ভর্তি থাকে।কিন্তু আমি গত বছর এবং এবছর ও রবীন্দ্রনাথের জম্নস্থান ভারতের টিভি গুলোর দিকে লক্ষ্য করে দেখেছি তারা রবীন্দ্রনাথের র ও দেখায় না। বাংলা চ্যানেল গলো খবরে অল্প দেখালেও কোন বিশেষ অনুস্ঠানের নামে আজাইরা প্যাচাল পারে না। হিন্দি গুলোতে শিলাকি জওয়ানি, মুন্নি বদনাম ছাড়া ঠাকুর কে দেখায় না। তাহলে আমরা এত লাফাই ক্যা। কারণ আমরা বাংলাদেশী বাঙালী।আমরা সবকিছুতেই একটু বেশি লাফাই।
রবীন্দ্রনাথ বিশ্বের প্রথম সারির কবি,সাহিত্যিক,ছড়াকার সোজা কথা যত প্রকার লেখার মেধা আছে তার সবটাই তারমধ্যে পরিপূর্ণ ছিলো।সাথে কিছু বদ বা কুট কৌশলেও পটু ছিলেন।বাংলাদেশের মানুষ কে তিনি ভাল চোখে দেখতেন না।বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল চাইতেন না। আমরা সবাই জানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সময় প্রথম বিরোধিতা করছেন রবীন্দ্রনাথ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাতে না হতে পারে সে জন্য সব চেস্টাই গুরূ করেছেন। না পেরে ঢাবির নাম দিয়েছেন মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়, কারণ এখানে মুসলমানেরা পরবে। বাংলাদেশের মানুষকে অন্ধকারে রাখাই ছিল তার উদ্দেশ্য। বলতে পারেণ সে তো বাংলাদেশে আসছিলেন। কি জন্য আসছিলেন তা আমরা সবাই জানি। তখনকার জমিদারদের কাজ ছিলো প্রজাদের উপর অত্যাচার করে খাজনা আদায় করা ,আর নিজেরা ভোগ বিলাশে জীবন যাপন করা।রবীন্দ্রনাথ সেই জমিদার গিড়ি ফলাতেই এই দেশে আগমন করে। কুষ্টিয়ার কুটিবাড়ি সহ বাংলাদেশের যেসব জায়গায় এসে ঘাটি স্থপন করেছিলেন সেগুলো ছিল টর্চার শেল ও রঙ্গমঞ্চ।
রবীন্দ্রণাথ কখনই আন্যের ভাল দেখতে পারতোনা। তাই তো আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যাকে বঙ্গবন্ধু দেশে এনে সম্মানিত করেছিলেন তার পিছনে মেয়ে লাগিয়ে দিয়ে ছিলেন। কবি নজরুল যাতে উপরে উঠতে না পারে তার জন্য এমন কোন হীন কাজ নেই যা রবীন্দ্রণাথ করায়নি। সুধু নজরুল না ঐ সময়ের অন্য কবিদের সাথেও তিনি হিংসাত্তক আচারন করতেন। আর এ সবই করতেন টাকা ও জমিদারির জোরে। বিদ্রহী কবি যখন ইংরেজদের বিরুদ্দে কবিতা লিখে কারা বরণ করে তখন রবীন্দ্রণাথ ইংরেজদের সাথে আতাত করে জমিদারি ভোক করতে ব্যাস্ত।বিদ্রহী কবি নজরুল যখন মজলুম, নিপিরিত, অসহায় মানুষরে পক্ষে কবিতা লিখে তখন রবীন্দ্রণাথ প্রেমের কথা বলতে ব্যাস্ত। রবীন্দ্রণাথ কে মজলুম, নিপিরিত, অসহায় মানুষরে পক্ষে কবিতা লিখতে তেমণ একটা দেখতে পওয়া যায়না।
রবীন্দ্রণাথ যখন বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষা চায়নি,
রবীন্দ্রণাথ মজলুম, নিপিরিত, অসহায় মানুষরে পক্ষে কবিতা লেখা বা কথা বলেনি তাহলে আমরা রবীন্দ্রণাথ কে নিয়ে এত ফালমারি ক্যা।আরকোন কাজ নাই। বাংলাদেশে আনেক ভালো ভালো কবি, লেখক আছেন আমরা বাংলাদেশীদের রেখে ভারত যাই কেন?
বলতে পারেণ আমার সোনার বাংলাতো রবীন্দ্রণাথ গাইছে। আমরা তার গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে নেবার কারণে কৃতঙ্ঘ থাকতে পারি। রবীন্দ্রণাথ পরিবার ও ভারতের ও কৃতঙ্ঘ থাকা উচিত বাংলাদেশীদের প্রতি ,আমরা রবীন্দ্রণাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে নিয়েছি।
কিন্তু ঐ গানতো সে বাংলাদেশের জন্য গায়নি। গেয়েছে অবিভক্ত বাংলার জন্য।
আমাদের প্রধান মন্ত্রী হাসিনা বলেছেন রবীন্দ্রণাথ ও তার বাপ শেখ মুজিব এর আদর্শে !দেশ গড়বে !!!। এই যদি রবীন্দ্রণাথের ( মুজিবের আদর্শ তো জানিই) আদর্শ !!!তাহলে দেশ কোথায় যাবে?
তাই আমার কাছে ইকটু বেশি বারাবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।
৫২টি মন্তব্য ২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×