সময়ের গুরুত্ব আজকে হারে হারে তের পেলাম! বেশি না মাত্র পাঁচ, মাত্র পাঁচ মিনিট আগে যদি কাজ ছেড়ে বের হতাম তবে হতো আজকে সিলেটের রাস্তায় আমার মোটরসাইকেলটাও জ্বলত। কি জানি আমিও আর এক বিশ্বজিৎ হয়ে খবরের শিরোনাম হতাম। ভগবান তোমায় অশেষ ধন্যবাদ।
আজ দুপুরে বন্দরবাজারে একটা কাজ ছেড়ে বের হব, দেখি কাজে কিছুটা ভুল রয়ে গেছে! ফিরে গেলাম, ঠিক করে নিতে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় লাগে নিয়ে। ধীরে ধীরে বাইক টেনে চৌহাট্টা পার হতেই পেছনে বসা ক্লায়েন্ট সামনের দিকে ধোঁয়া দেখালো। আমি বলি এ আবার এমন কি! এগুতে থাকলাম, দেখি রাস্তার মাঝখানে একটা ডিসকাভারি জ্বলছে, টাটে ফায়ার বিগ্রেড সবে পানির লাইন টেনে আগুন নেভাতে ব্যস্ত। বুঝা গেলো একটু আগের ঘটনা। রাস্তার দুপাশে মানুষ আর মানুষ, পুলিশ, সাংবাদিক, র্যাব, আর বিজিবি। সত্যি ধীরে ধীরে শরীরের রোম দাঁড়িয়ে গেলো, উপায় নেই এগুতেই হবে। নিজেকে যতক্ষণ বাসায় পৌছাতে না পারি, নিজেকে নিরাপদ বলা যাবে না। (যদিও এখন ঘর আর বাসাও নিরাপদ মনে হয় না!)
দূরু দূরু বুকে এগুতে থাকলাম, আর একটি বাইক, সামনে আরও একটি, আর একটু এগুতেই চোখে পড়লো, বসুন্ধরা মোটরস এর শোরুম আগুনে পুড়ে ছাই! এতো দামী সব হিরো হোন্ডা গাড়ীগুলো...
আর একটু এগুতেই, দেখি দুটো কার জ্বলে পড়ে আছে। সামনের দুপাশে দাঁড়ানো মানুষগুলো, প্রতিটা মুহূর্ত মনে হচ্ছিলো এই বুঝি আমার উপর হামলে পড়লো, এই বুঝি বাইকটা জ্বালিয়ে দিবে। বাইক জ্বলুক, সে কেনা যাবে, কিন্তু যদি আঘাত আমার উপর আসতো? যদি আমি নতুন কোন বিশ্বজিৎ হতাম?!
ঈশ্বর অনেক হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ, আমাদের শান্তিতে দুবেলা-দুমুঠো খেয়ে পড়ে বাঁচতে দাও। যদি যেটা না পারো তবে এ কলি যুগের সমাপ্তি টানার এখনি সময়।
(এই মাত্র খবরে জানলাম সিলেটে দুইজন নিহত! আগামী হরতালের তিনটা দিন তবে কেমন যাবে?!)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




