কণিকার সাথে আমার সম্পর্ক খুব বেশিদিনের কি?
২০১২ সালের আগস্ট মাস বোধহয়, দিনটা ঠিক মনে নেই,
আমাদের নাকি প্রথম পরিচয়। মনে রাখা হয়ে উঠেনি বলে
আগস্ট মাসের ভরদুপুরে কণিকার চোখে আষাঢ় মাসের কালো মেঘ জমে যেত হুট করেই।
ওর সেই কালো মেঘ বৃষ্টি হতে চাইতোনা খুব সহজে, যদিনা আমি অকাল বর্ষণের বরদূত হয়ে,
ওর সময়, অসময় কিংবা বেখেয়ালের ভুল হিসেবে আবির্ভূত হতাম।
কণিকার গায়ের রং শ্যামলা ছিল, গর্ব করে বলতো,
ফর্সা হলে কি তোমার মতো ছেলেকে পাত্তা দেই?
আমি হাসতাম!! কণিকা যেন ঝড়ে কুড়ানো কোন আহত বনফুল ছিলো আমার কাছে।
হাত বাড়ালেই কিংবা খুব বেশি দু’পা বাড়ালেই যাকে পাওয়া যায়!!
কিন্তু এক নতুন দিনের রাঙা আলোয়, কণিকার ছায়া আমার পাশে পাওয়া গেলোনা,
দু’কদম যেতেও অনভ্যস্ত আমি হাজার কদমে সেই বুনোফুলটি খুঁজতে গিয়ে পথে পথে
রক্ত দিয়ে চিহ্ন এঁকে গেলাম। কণিকা ফিরলোনা!!
শত শত দিনের সুর্য যখন মাটির অভিমান ভাংগিয়ে গেলো, ততদিন পরে খুব ধুমধাম করে
আমি লালে জড়ানো মিষ্টি একটা বৌ নিয়ে এলাম। নতুন বৌ-এর মুখ তুলে যেই চোখে চোখ মিলিয়েছি, অস্ফুটে বললাম শ্যামলা মেয়ের চোখজোড়া কি মায়াতেই না ভরা ছিল!! সে দীর্ঘশ্বাস আমি আমার কান পর্যন্ত ও পৌঁছাতে দিইনি।।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


