বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশের চুড়ান্ত দল এখনো ঘোষিত হয়নি, তবে ৩০ জনের তালিকাটাকে ছোট করে ২৩ জনের স্কোয়াড বানানো হয়েছে আপাতত। এদের থেকেই ১৫ জনের চুড়ান্ত দলটি গঠন করা হবে। কিরকম হতে পারে সেই চুড়ান্ত স্কোয়াড? কি কি বিষয় বিবেচনা করে দেখতে পারেন নির্বাচকরা? মূল একাদশই বা কি হতে পারে?

প্রথমেই যেটা চিন্তা করতে হবে, কিভাবে এই পনেরোজনকে দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমান স্পিনার, ফাস্ট বোলার, ব্যাটসম্যান ও অলরাউন্ডারদের সংকুলান করা যায়! প্রথমেই ব্যাটসম্যানদের কথায় আসা যাক - নিদেনপক্ষে ৭ জন সলিড ব্যাটসম্যানকে ঠাঁই দিতে হবে। অভিজ্ঞতা, ম্যাচ টেম্পারমেন্ট ও সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় যাদেরকে না রাখলেই নয়, তাদের নামগুলো হচ্ছেঃ তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস, জুনায়েদ সিদ্দিক, রকিবুল হাসান, মোঃ আশরাফুল ও সাকিব আল হাসান। কোন সমস্যা ছাড়াই ৭ জনের নাম পেয়ে গেলাম আমরা, সাথে বোনাস হিসেবে একজন জেনুইন স্পিনিং অলরাউন্ডার।

এবার বেছে নেই ২ জন অলরাউন্ডার। নাইম ইসলাম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ছাড়া আর কাউকে নেওয়ার প্রয়োজন নেই এক্ষেত্রে। যদিও অলোক কাপালীর কথা চিন্তা করবেন অনেকেই, তবে কাপালীর ট্যালেন্টের প্রতি সম্পূর্ন শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপাতত তাকে আমাদের প্রয়োজন নেই। তবে যদি আশরাফুলকে না নেওয়া হয় পনেরোজনের দলে, তাহলে আমি নিশ্চিতভাবেই চাইবো কাপালীকে।

তো, নয়জন খেলোয়াড় আমরা পেয়ে গেলাম। আর সাথে যোগ করি উইকেট কিপার হিসেবে মুশফিকুর রহিম। আর কোন এক্সট্রা উইকেট কিপার নেওয়ার বিলাসিতা দেখানোর প্রয়োজন নাই। মুশফিক দূর্ভাগ্যজনকভাবে যদি ইনজুরড হয়েও যায়, মেকশিফট উইকেটকিপারের অভাব হবে না!

বাকী থাকে ৫ জন। বোলারদের দিয়েই এই কোটাগুলি পূরন করতে হবে। ২৩ জনের যে অপশন আছে, সেখান থেকে কেবল ২ জন স্পিনার ও ৩ জন ফাস্ট বোলার দিয়েই এই কোটা পূরন করতে হবে। আব্দুর রাজ্জাক ও সোহরোয়ার্দি শুভ স্পিনার হিসেবে অটোমেটিক চয়েস। পেস বোলিং এর ক্ষেত্রে একটু কম্পিটিশন আছে, কিন্তু তারপরও শফিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেনের অন্তর্ভুক্তির বি্রোধিতা কেউ করবে না। বাকি থাকলো ১ জন ফাস্ট বোলার - ফিট থাকলে অবশ্যই মাশরাফি বিন মর্তুজা (কোন বিকল্প নাই) আর সে ইনজুরড থাকলে শাহাদাত হোসেন অথবা নাজমুল হোসেন।

তো পনেরোজনের তালিকাটা দাঁড়ালো এরকমঃ
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস, জুনায়েদ সিদ্দিক, রকিবুল হাসান, মোঃ আশরাফুল, মুশফিক রহিম (উইকেট রক্ষক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাইম ইসলাম, মাশরাফি বিন মর্তুজা, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও সোহরোয়ার্দি শুভ।

এই স্কোয়াড দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড প্রত্যাশা করাটা অমূলক নয় আমার কাছে। যদিও সেরা একাদশ বেছে নেওয়াটা একটু কঠিনই হবে বটে নির্বাচকদের জন্য; তবে অবস্থা বুঝে যদি ব্যবস্থা নেয়া যায়, আশা করা যায় বিশ্বকাপের শুরু থেকেই টাইগাররা কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না; আমাদের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিলেও নিতে পারে