somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের বর্তমান সেরা একাদশ নিয়ে আমার কিঞ্চিৎ অসন্তুষ্টি

১৭ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের বিশ্বকাপ দলটি বেটার নাকি বর্তমান দলটি বেটার? সম্ভবত সবারই উত্তর হবে বর্তমান দলটি। পার্থক্যটা আসলে গড়ে দিয়েছে একজন - নাসির হোসেন। এই মানের একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের খুব প্রয়োজন ছিল যার দায়িত্ব হবে তামিম ও সাকিবের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন তৈরী করা। এছাড়া মাশরাফিও সামান্য পার্থক্য তৈরি করেছে নিঃসন্দেহে। ওয়ানডাউনে জহুরুলও ঠিক আছে; দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করছে সে। তথাপি সেরা একাদশ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই কয়েকটি যুক্তিসঙ্গত কারনে। মূলত দুইটি বিষয়ে আমার আপত্তি আছে।

প্রথম আপত্তিটা ওপেনিং ব্যাটসম্যান নিয়ে। আমি বিশ্বাসই করতে পারি না, আমাদের এই বেস্ট দলটাতে নাজিমুদ্দিনের মত লো-স্ট্যান্ডার্ডের একজন ব্যাটসম্যান ওপেন করবে! নেপাল ক্রিকেট টিমে হয়তো তার জায়গা হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ টিমে কিভাবে তার জায়গা হলো কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকছে না। তার কোন ফুটওয়ার্ক নেই, বল বিচার করে খেলার যোগ্যতা নেই; শুধু আন্দাজে ব্যাট চালাতে পারে। হ্যাঁ, একটা টিপিক্যাল শট তার আছে বটে – মিডল-লেগ স্ট্যাম্পের হাফভলি বলগুলোকে কদর্যভাবে স্কোয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারা। যারা বিপিএল ফাইনাল দেখেছেন তাদের পরিষ্কার মনে থাকার কথা, কবির আলীর এক ওভারেই (সম্ভবত পর পর তিনে বলেই) তিন-তিন বার সে একই শট খেলে স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারীতে ক্যাচ দিয়েছিল, যদিও গর্দভ ফিল্ডারটি একটিও ধরতে পারে নাই! এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচেও উমর গুলের বলে যে ছক্কাটি মেরেছিল, তা-ও একই শট। তার সৌভাগ্য যে, ফিল্ডারটি বাউন্ডারি থেকে সাত-আট গজ ভেতরে থাকায় সেটা আর ক্যাচ হয় নি, বাউন্ডারীর দড়িতে চুমু খেয়ে ছক্কা হয়ে যায়। বোঝাই যাচ্ছে, তাকে আউট করা একজন বুদ্ধিমান বোলারের (অথবা ক্যাপ্টেনের) ক্ষেত্রে কোন ব্যাপারই না। এছাড়া আমি তার বড় আরেকটি দূর্বলতা খুঁজে পেয়েছি। আমি যদি বিপক্ষ দলের ক্যাপ্টেন হতাম, তাহলে কাভার এবং শর্ট এক্সট্রা কাভার রেখে বোলারকে অনুরোধ করতাম সমানে ফিফথ স্ট্যাম্প বরাবর বল করতে। নাজিমুদ্দিন কাভার-ড্রাইভ করতে গিয়ে সিম্পল ক্যাচ তুলে দিবে - আমি নিশ্চিত।

যাই হোক, তাহলে ওপেনিং-য়ে কাকে নেওয়া উচিত? বিপিএল পারফরমেন্স যদি ক্রাইটেরিয়া হয়, তাহলে মনে করি জুনায়েদকে নেওয়া উচিত ছিল। সে তার হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে বলেই মনে হলো। আর বিপিএল পারফরমেন্স যদি ক্রাইটেরিয়া না হয়, তাহলে ইমরুল কায়েস বা শাহরিয়ার নাফিসকে (সে অবশ্য স্কোয়াডেই নাই) রাখা উচিত। মোদ্দা কথা এই তিনজনের যে কাউকে নিলেই হবে, তবে কোনক্রমেই নাজিমউদ্দিনকে নয়!

দ্বিতীয় আপত্তি মূলত ফাস্ট বোলারদের নিয়ে। রুবেলকে কেন স্কোয়াডে রাখা হয় নি, তার যুক্তিসঙ্গত কোন কারন খুঁজে পাচ্ছি না। শাহাদাতের চেয়ে রুবেল অনেক বেটার বোলার, ডেথ ওভারে সে অনেক ভাল বল করে, তার রিভার্স সুইংগুলোও খুব কার্যকর।

শফিউল প্রসঙ্গেঃ শফিউল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতিয়েছিল, এবং সেজন্যে তার প্রতি আজীবন কৃ্তজ্ঞ থাকবো; তথাপি কিছু কটু কথা না বলে পারছি না। শফিউলের যে শারীরিক গঠন, তাতে সে আর বড়জোর দুই-তিন বছর ফাস্ট বল করতে পারবে বলেই বিশ্বাস করি। আমি ভবিষ্যৎবানী করতে পারি, আজ থেকে বেশ কয়েক বছর পরে ঘরোয়া লীগে আমাদের শফিউলকে স্পিন বল করতে দেখা যাবে!......(নট জোকিং)......সে মেধাবী বোলার এতে কোন সন্দেহ নাই, কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের সবচাইতে দূর্বল শারীরিক গঠনের ফাস্ট বোলার কে, এই প্রশ্নের জবাব হচ্ছে শফিউল। এই পেসে বোলিং কন্টিনিউ করে গেলে খুব সহজেই সে কঠিন ইনজুরিতে আক্রান্ত হবে (অবশ্য বেচারা গত ম্যাচে ফিল্ডিং-য়ের সময় ইনজুরিতে পড়েছে, এবং সম্ভবত বাকী ম্যাচগুলো খেলতে না-ও পারে)।

যাই হোক, এটা জাস্ট আমার ভাবনা। হয়তো নিকট ভবিষ্যতেই আমি ভুল প্রমানিত হতে পারি; কিন্তু সম্ভাব্যতা যাচাই করলে আমার আশংকাগুলোই সত্য প্রমানিত হওয়ার চান্স বেশী। অবশ্য বর্তমানের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙ্গার কথা আমি বলছি না, অফিসিয়ালরা চাইলে এদের দিয়েই বাকী টুর্নামেন্ট খেলাতে পারে। আমি শুধু এটাই দেখাতে চাচ্ছি যে, এই তিনটি ভাইটাল পজিশনে যদি উপযুক্ত রিপ্লেসমেন্ট করানো হয়, তাহলে আমাদের দল বিশ্বের যেকোন দলকে যেকোন দিন হারানোর সক্ষমতা অর্জন করবে!
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×