কেউ বলে শিক্ষাহিন ব্যক্তি পঙ্গু, কেউ বলে অন্ধ। শিক্ষা এমন একটি জিনিশ যা কেউ দেখতে পায় না। জন্মমাত্রই মানুষ মানুষ হয়ে উঠেনা। মানুষকে সত্যিকার মানুষ করে তুলে শিক্ষা। মানুষ মাত্রই শিক্ষার প্রয়োজনিয়তা রয়েছে। প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থে শিক্ষাকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষার কারনেই মানুষ অন্যান্ন প্রাণী থেকে নিজেকে আলাদা ভাবতে পারে। শিক্ষা থাকা- নাথাকা দিক থেকে মানুষে মানুষে যেমন ব্যবধান সৃষ্টি করে তেমনি শিক্ষাই এক জাতি থেকে অন্য জাতিকে স্বতন্ত্র করে তোলে। বিখ্যাত ফরাসি সেনাপতি নেপুলিয়ন বুনাপেট বলেছেন “আমাকে শিক্ষিত একটি মা দাও, আমি উন্নত জাতি উপহার দেব”। মানুষের আত্নিক ও সামাজিক উন্নতি বিধান করে এই শিক্ষাই। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সেই জাতি তত বেশি উন্নত। এক জন শিক্ষিত মানুষ অশিক্ষিত মানুষ চেয়ে অধিক কল্যাণকামী।
কিন্তু
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তব জীবনে শিক্ষিত ব্যক্তিরা যে ভূমিকা পালন করছেন তা দেখে মনেহয় উপরের লিখাগুলু অনেকেই বিশ্বাস করেনা। কেনই বা করবে ? কারন আপনি ১ বার আমদের দেশের থানা গুলোর কথা চিন্তা করুনতো, কি হচ্ছে সেইখানে! তথাকথিত জনগণের বন্ধু পুলিশ যারা ১টি ও আশিক্ষিত নয়, তারা জনগণের জন্য বন্ধুত্বের কি নজীরটি তৈরী করেছেন ? সাধারন পাবলিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষান্ত হয়না বরং টাকা নাদিলে আভিযোগ পত্রে নাম তুলে দিয়ে(মামলার ধরন আনুযায়ি) ৫-৭ বছরের জন্য একটা দীর্ঘ মেয়াদি কষ্টে ভোগাই। ওই সব আনেক পুরাতন বেপার। ওসি সাহেব তো মাঝে মাঝে খোদার দাবি করে বসে। খোদা যদি জীবন বাঁচাইতে পারে, তাহলে ওসি সাহেব ও নাকি একি কাজ করতে পারেন (নাওযোবিল্লা)। পার্থক্যটা শুধু খোদা আসামিকে হেদায়াত করবে আর আসামী ওসি সাহেবকে হেদায়াত করবে। তবেই ওসি সাহেব খোদার কাজটি করবেন। বাংলাদেশের থানাগুলার ৯৯%(হয়তো ১০০%) থানার অবস্তা এইরূপ বা আরও জঘন্য।
উপজেলা ও ইউনিয়ন ভুমি আফিস গুলুতে যান, দেখবেন সব শিক্ষিত লোকেরা কাজ করছেন। কিন্তু তারা যে কি কাজ করছেন তা একটু নজর দিলেই দাখবেন হাজারো জালিয়াতি করে রাষ্ট্রকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। টাকার বিনিময়ে জালিয়াতি করে এক জনের জায়গা আন্য জনের নামে দিয়ে দিচ্ছে। সরকারের শত শত একর ভূমির কোন হিসাব পাওয়া যাই না উপজেলা ভূমি অফিসার ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসারদের দের কল্যাণে। আথচ আই কাজে নিয়জিত সবাই শিক্ষিত।
বাংলাদেশ রেলওয়ের কথা নতুন করে কি আর বলবো, যারা রেলওয়েকে মূমুর্ষ করেছেন তারা সবাই উচ্চ শিক্ষিতের দাবিদার। রেল নিয়ে অভিযোগ করলাই ওই সব শিক্ষিত লোকেরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে। আথচ পৃথিবীতে বাংলাদেশেই কেবল সম্ভব বিনা টিকেটে দূর পাল্লার ভ্রমণ করার সুযোগ। প্রশ্ন হতেপারে তা কিভাবে সম্ভব? উত্তর সম্ভব- রেলওয়ের ওই শিক্ষিত লোকদের কল্যাণে।
তাছারা বন বিভাগ, রাজস্ব বিভাগ, বিচারিক ব্যবস্থা, গণযোগাযোগ ব্যবস্থা, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, নৌ পরিবহন বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ সহ আরো নাম না জানা অনেক বিভাগ, উপ-বিভাগে যারা উপর থেকে নিচে কর্মরত আছেন তাঁরা সবাই কেউ শিক্ষিত কেউ উচ্চ শিক্ষিত। তাদের প্রতি আমাদের সবার রয়েছে ভাল কিছু প্রত্যাশা। কিন্তু তাঁরা স্বাধীনতা পরবর্তি বিগত ৪০ বছরে দেশ ও জাতির জন্য যে ভূমিকা পালন কেছিলেন এবং করছেন তা দেখে মনে হয় দেশ মেরুদন্ডহীন প্রাণীর মতো হামাগুরী দিচ্ছে। বাস্তবেও কিন্তু তাই। ওই সব শিক্ষিত লোকদের দেখে দেশের মানুষ আজকাল “শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড” কথাটি বিশ্বাস করতে চাননা। নাকরার পেছনে যুক্তি অনেক, যুক্তি গুলা কি কি তা উপরের বর্ণনা ছাড়াও নিজেরা কষ্টকরে একটু ভাবুন উত্তর পেয়ে যাবেন।