somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি বিশ্বজিৎ গনতন্তের শ্নশান থেকে বলছি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সত্যবাদি মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পরে ওনার অবস্থান। বিশ্বজিতের বাবা শ্নশান থেকে গণতন্ত্র পোড়ার গন্ধ পাচ্ছেন। অগ্নি দগ্ধ বিশ্বজিৎ বিনয়ের সাথে বাবাকে বলছে, বাবা- আমি লাশ নই, আমি বাংলার গণতন্ত্র। এই লাশে তমি গণতন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছ? শুকে দেখ গনতন্ত্রের গন্ধ; গনতন্ত্রের পোড়া গন্ধ। এই গনতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য তারা আময় ইচ্ছে মতো কপিয়েছে। বাবা তুমি ভোটদিতে যেও। আবার ২০১৪ সালকে মনে করো। হইতো বাবা তোমাদের সেই ভোটের বিনিময়ে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসবে। আসবে নতুন কোন বিশ্বজিতের লাশের সংবাদ। সেও আত্নবিলাপ করতে থাকবে- “আমরা গনতন্ত্রে ভোট দেই এক দিন, আর গণতন্ত্রের প্রহরীরা আমাদের খুন করে প্রতিদিন”। বাবা আমি ঢাকায় এসেছিলাম তোমার মুখে হাসি ফুটানুর জন্য। কিন্তু তারা আমাকে সেই সুযোগটি দেইনি। তারা আমাকে বাধ্য করেছে হাসির বদলে তোমাকে কান্না উপহার দিতে। বাবা- চোখের জল মুছেফেল। এটাতো আমাদের ভাগ্য। ১৬ই ডিসেম্বারের মাত্র পাঁচ দিন আগে তুমি তোমার বিশ্বজিতের লাশ পেয়েছ। বাবা- আমার মাকে চোখের জল ফেলতে নিষেদ করো; কারন আমার মতো লক্ষ লক্ষ বিশ্বজিতের মায়ের চোখের জলেও এই শ্নশানের আগুন নিপবেনা। বাবা- আমার বড় দাদাকে নিষেদ করে দাও তিনি যেন আমার হত্যকারীদের বিচার না চান। কারন তাদের আছে বড় বড় মন্ত্রী- নেতা। যারা আমার মতো হাজারো বিশ্বজিৎকে শ্নশানে পাঠিয়ে ক্ষমতায় বসেছেন। বাবা- আমার ছোট বোনটিকে কাঁদতে বারন করো। ওকে বোঝাও এটা গণতন্ত্রের শ্নশান। এই শ্নশানে হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই। আমার আদ্রের বোনটিকে বলো, আগামি নির্বাচনে যেন আরকারো নামে শ্লোগান নাদেয়। বাবা- আমি নূর হোসেনকে দেখতে পাচ্ছি। সে বিকৃত করেছে সেই শ্লোগানটি। সে এখন বলছে-

“ নৈরাজ্যের গণতন্ত্র নিপাত যাক
মানুষ মুক্তি পাক”
বাবা আমার আপছুচ হচ্ছে- যে গনতন্ত্রে বাবাকে চিকিৎসা করাতে পারেনা; যে গনতন্ত্রে বোনের স্বপ্ন পূরন করতে পারেনা; যে গনতন্ত্রে গর্বধারীনি মায়ের বুক খালি করে; যে গনতন্ত্রে অনাহারীর মুখে ভাত তুলেদিতে পারেনা, সেই গণতন্ত্রের জন্য তোমরা ভোট দাও। তোমারইবা কি দোষ, ভবিষ্যতে তুমি ভোট নাদিলেও তোমার ভোটটি অন্যকেউ দিয়েদিবে। এটাই বাংলার গণতন্ত্রের রূপ। তুমি চিন্তা করোনা বাবা, আমি পূনজন্মে ফিরে আসবো অন্য কোন দেশে, যে দেশে গণতন্ত্রের প্রহরীরা এই ভাবে কাউকে খুন করবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×