তারুন্য হচ্ছে মহান আল্লাহর প্রদত্ত বড় বড় নিয়ামত গুলোর মধ্যে অন্যতম। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন শুধু মাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য। তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করে খলি হাতে দুনিয়াতে ছেড় দেননি, আমাদের জন্য যুগে যুগে পাঠিয়েছেন শান্তির দূত। সেই সাথে দিয়েছেন বেশ কয়েকটি জীবন বিধান। কিন্তু বলিষ্ট জিহাদের অভাবে তখন শান্তি প্রতিষ্টিত হয়নি। সর্বশেষ নবী মোহাম্মদ (সঃ) এর মাধ্যমে আমাদের দিয়েছেন ১টি পূর্ণাংজ্ঞ জীবন বিধান। এই জীবন বিধানের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি শান্তির ঠিকানা তথা ইসলাম। কিন্তু এই শান্তির ঠিকানার পথ দেখাতে আমাদের প্রিয় রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে তারুন কাল থেকে অবর্ননীয় কষ্ট পোহাতে হয়েছে, করতে হয়েছে অনেক জিহাদ। এর পরই আমরা মুক্ত হয়েছি অন্ধকার যুগ থেকে। পেয়েছি আলোর পথ। মুসলমান হিসাবে আমাদের প্রথ্যেকের দ্বায়িত্ব বলিষ্ট জিহাদের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রতিষ্টিত শান্তি দুনিয়াতে বজায় রাখ। সেই সাথে জিহাদ করতে হবে তাদের বিরুদ্ধে- যারা পবিত্র ইসলামের লেভাস পড়ে ইসলামকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছিল। জিহাদ করতে হবে তাদের বিরুদ্ধে- যারা ইসলামকে অপব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। যারা ইসলামকে সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। যারা ইসলাম কায়েমের নামে বোমাবাজি করে নিরিহ মানুষ হত্যা করেন। যারা মুখে ইসলাম অন্তরে জঙ্গিবাদ পোষন করে। যারা অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় বসার লড়ায়ে “মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী” বলে ফতুয়া জারী করে মানুষকে জঙ্গীবাদের দিকে আকৃষ্ট করে। যারা ইসলামী রাষ্ট্রের নামে দেশকে জঙ্গিবাদী ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। তাদের আজ আর চিনতে কারো বাকিনেই। পৃথিবির অন্যান্য দেশের মতো আমাদের বাংলাদেশে ও ঐ কুলাঙ্গারদের ১টি গ্রুপ অবস্থান করছে। তারা হচ্ছে সেই সব গোষ্টি, যারা ১৯৭১ সালে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতায় বিরোদিতা করেছিল। ৩০ লক্ষ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল। ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত নিয়েছিল। প্রকাশ্যে ধর্ষণ করেছিল। জোর পূর্বক ধর্মান্তরীত করেছিল যা ইসলামে সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ। জিহাদ তাদের বিরোদ্ধে- যাদের সহযোগীতায় লাগানো আগুনে পাড়ায়-মহল্লায় ঘড়-বাড়ি, মসজিদ-মাদ্রাসা পোড়ানো হয়েছিল। যেখানে রক্ষিত ছিল আল্লাহর পবিত্র কোরআন। তাদেরকে আজ মানুষ রাজাকার আলবদর জামাত ইসলামী নামে চিনেন। তারা ১৯৭১ সালে যেই অবস্থায় ছিল এখনো সেই অবস্থায় আছে। তারা এখনো জঙ্গি বাদে বিশ্বাসী। ১৯৭১ সালে তারা শান্তি ও মানবতা বিরোধী যে অপরাধ করেছিল তার উপযোক্ত বিচারের দাবিতে আজ তরুণ সমাজ এক মহান জিহাদের ডাক দিয়েছেন। এই জিহাদ মানবতার শত্রুর বিরোদ্ধে, ইসলামের অবমাননা কারির বিরোদ্ধে। এই জিহাদ ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের দায় পরিশোধ করার। এই জিহাদ রাজাকার আলবদরদের যুদ্ধাপরাধের দায় নিয়ে নিষিদ্ধ করার জিহাদ। এই জিহাদ স্বাধীন দেশের কলঙ্ক মোচনের জিহাদ। তরুণ সমাজ আজ সারাদেশে রাজপথে রাজাকারদের বিরোদ্ধে যে জিহাদ করছে তাতে প্রথ্যেক বিবেকবান মুসলমানের সক্রিয় অংশগ্রহণ করা ঈমানি দ্বায়িত্বে পরিণত হয়েছে। তরুণ সমাজের কিছু অংশ এখনো ধর্মান্ধদের কবলে পড়ে চলমান জিহাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে ছাইছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দ্রুত জিহাদে যোগদাও নয়তো ৩০ লক্ষ শহিদ কেয়ামতের ময়দানে তাদের রক্তের দায় থেকে তোমাদের মুক্তি দিবেনা। এই ঘৃণ্য অপরাধীদের বিরোদ্ধে জিহাদ করার এখুনি উপযুক্ত সময়। ইসলামকে যারা ব্যবসায় পরিণত করেছে তাদের বিরোদ্ধে না দাঁড়ানোর অপরাধে মহান আল্লাহ কাউকে ক্ষমা করবেননা। তোমরা যারা এখনো এই জিহাদে অংশগ্রহণ করনি; মনেরাখবা- তরুণ যে, এখনি তার জিহাদে যাওয়ার শ্রেষ্ট সময়।
-------মিনহাজ উদ্দীন