কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয় সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি স্বনাম ধ্বন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৩৮ সালে চট্টগ্রাম জেলার সিতাকুণ্ড থানার বড় কুমিরা গ্রামে শ্রী নিবারন সাধু প্রতিষ্ঠিত করেন। শ্রী নিবারন সাধু ছিলেন জমিদার উখিল মহাজনের সাত সন্তানের মধ্যে পঞ্চম সন্তান। জীবদ্ধশায় নিবারন সাধু ছিলেন চীরকুমার। তিনি পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রম মহাসড়কের পশ্চিম পার্শে অবস্থিত শংকর দীঘির পূর্ব পাড়ে একটি মাটির ঘরে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তিতে কালের আবর্তে ও সময়ের প্রয়োজনে ঐ বিদ্যালয়টিকে পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পার্শে বা বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করা হয়। য অদ্যাবদি অনেক চড়াই উতরাই পেড়িয়ে সুনামের সহিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আধুনিক ও মনস্তাত্ত্বিক সংশোদনী শিক্ষা কার্যক্রম চালু করায় এই বিদ্যালয়ের খ্যাতি সারা বাংলাদেশ জুড়ে। তাছাড়া আবাসিক শিক্ষা ব্যবস্থা থাকায় মানুষ গড়ার অন্যতম কারখানা হিসাবে দেশের বিভিন্ন জেলার সচেতন অভিবাবকদের প্রথম পছন্দের নাম কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়।
পূর্বে সু-উচ্চ গাড় সবুজ পাহাড়, পশ্চিমে সু-বিশাল বঙ্গপসাগরের নীল জলরাশি, এই দুই অপূর্ব সৌন্দর্যের মাঝকানে বিশাল ক্যাম্পাস নিয়ে মনোরম পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে কুমিরাআবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে যে কউ এর বিশালতা ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে অভাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। এ যেন এক ক্লপনা- যা ব্স্তব হয়ে সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষ গড়ার কারখানা হিসাবে ও জাতি গঠনের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এরি মধ্যে দেশ বিদেশে এই বিদ্যালয় সুনাম অর্জন করে নিয়েছে।
কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইট http://www.kumirahighschool.com
ভর্তি
আমাদের বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে তেমন কোন জটিলতা পোহাতে হয়না। পঞ্চম শ্রেণী পাশকরে অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর্ব শেষ করে যেকোন ছাত্র সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের “ট্রান্সফার সার্টিফিকেট” নিয়ে এসে নির্দিষ্ট ভর্তি ফর্ম ও নির্দিষ্ট পরিমান ভর্তি ফি দিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে। এছাড়া অন্যান্ন মাধ্যমিক বিদ্যারয় থেকেও ছাত্ররা চাইলে “ট্রান্সফার সার্টিফিকেট” নিয়ে এনে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারব্। এর পর নবম শ্রেণী হতে ছাত্রদের বোর্ড কর্তিক প্রদত্ত পরম পূরন করে নিবন্ধন করানো হয়।
উল্লেখ্য, দূরের বা কাছের ভর্তিচ্ছু যে কোন ছাত্র চাইলে বিদ্যালয়ের আবাসিকেও ভর্তি হতে পারবেন। আবাসিকে ভর্তির ক্ষেত্রে “চতুর্থ শ্রেণী হতে নবম শ্রেণী’ পর্যন্ত ভর্তি করা হয়, যেখানে রয়েছে ঘরোয়া পরিবেশ সমৃদ্ধ অত্যাধুনিক আবাসিক সুবিধ।
উপবৃত্তি
আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে আলহাজ্ব ছিদ্দিক আহাম্মদ চৌধুরী ট্রাষ্ট ফাণ্ড, কুমিরা হাই স্কুল ট্রাষ্ট ফাণ্ড ও কুমিরা হাই স্কুল ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি প্রদানের সু-ব্যবস্থা রয়েছে। আলহাজ্ব ছিদ্দিক আহাম্মদ চৌধুরী ট্রাষ্ট ফাণ্ড হতে অত্র বিদ্যালয়ের প্রতি ক্লাশের একজন দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রকে মাসিক ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা হারে বছরে ৬০০ টাকার একটি উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। কুমিরা হাই স্কুল ট্রাষ্ট ফাণ্ডের ১৭.৫ শতাংশ থেকে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি দেয়া হয়। এই বৃত্তির আলোকে বার্ষিক পরীক্ষায় শতকরা ৭৫% নম্ভর প্রাপ্ত ছাত্রদের মাসিক ২৫০ টাকা হারে দুই বছরের জন্য, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় ৬৫% নম্ভর প্রাপ্ত ছাত্রদের মাসিক ১০০ টাকা হারে এক বছর, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রদের মাসিক ৫০ টাকা হারে ও গরীব অথচ মেধাবী ছাত্রদের (যারা পরীক্ষায় ৪৫% নম্ভর পায়) মাসিক ৫০ টাকা হারে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়া সরকার কর্তিৃক প্রদত্ত উপবৃত্তির সু-ব্যবস্থাতো রয়েছেই। কুমিরা হাই স্কুল ফাউণ্ডেশন থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে উল্লেখ যোগ্য কৃতিত্ব প্রদর্শনের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতি বছর চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহি ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান শ্রেণীর পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্য ও রসায়ন শাস্ত্রে প্রথম স্থান অধিকারী ৮(আট) জনকৃতি শিক্ষার্থীর প্রথ্যেককে ২,৫০০(দুই হাজার পাঁচশত) টাকা করে মোট ২০,০০০ টাকার বিশেষ পুরুষ্কারে সম্মানিত করা হয়।
যেভাবে খোঁজে বের করবে
ঢাকা থেকে চট্টগ্রম গামী সকল বাসে বা ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম আসার পথে চট্টগ্রাম আসার পথে চট্টগ্রাম শহরেরে অদূরে সীতাকুণ্ড থানার অর্ন্তগত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পার্শে বড় কুমিরা নামক গ্রামে কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অবস্থান। তাছাড়া বড় কুমিরা রেলওয়ে স্টেশনে নেমে প্লাট ফর্ম থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় এসে উত্তর দিকে পাঁচ মিনিট হাঁটলে আপনি দেখতে পাবেন কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিশাল তোরণটি।
চিঠি লেখার ঠিকানা:
কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়,
গ্রাম: বড় কুমিরা (৪৩১৪)
পোষ্ট অফিস: বড় কুমিরা
থানা: সীতাকুণ্ড
জেলা: চট্টগ্রাম।
অফিশিয়াল সকল যোগাযোগ কার্যক্রম চিঠির মাধ্যমে করা হয়। অফিশিয়ালি বিদ্যালয়ের যে কোন তথ্য জানতে চাইলে উপরের ঠিকানায় চিঠি লিখতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০