শিরোনামটা দেখে আঁতকে উঠতে পারেন! কিন্তু এমন ভয়ংকর তথ্যই জানালেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে আর থকবেনা মানুষের চিহ্ন। ধ্বংস হয়ে যাবে মানব সভ্যতা। গ্রহাণুর হানায় মানব সভ্যতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। এ গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে প্রতি সেকেন্ডে ৯ মাইল বেগে ধেয়ে আসছে। এমন আশঙ্কায় করছেন বিজ্ঞানীরা। কারন পৃথিবীর দিকে প্রতি সেকেণ্ডে ৯ মাইল বেগে ধেয়ে আসছে একটি গ্রহাণু। যার আঘাতে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণিকূল। গৃহাণুটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এমনই তথ্য দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গবেষকদের মতে, ১৯৫০ ডিএ নামের গৃহাণুটি ঘন্টায় ৩৩ হাজার ৮শ’ মাইল বেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে। এ গতি নিয়ে গৃহাণুটি যদি পৃথিবীতে আঘাত হানে তাহলে তার শক্তি হবে ৪৪ হাজার ৮ শ’ মোগাটন টিএনটি । তাতে পৃথিবীতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের সৃষ্টি হবে। দেখা দেবে সুনামি। যাতে প্লাবিত হবে সমস্ত পৃথিবী। বর্তমানে গৃহাণুটি যে দুরত্বে অবস্থান করছে তাতে এটি ২৬ মার্চ ২৮৮০ সালে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। তবে আশার কথা হচ্ছে পৃথিবীতে গৃহাণুটির আঘাত হানার সম্ভাবনা ৩শ’ ভাগের ১ ভাগ। বেন রোজিতিস নামের এক গবেষক বলেন, “মধ্যাকর্ষণ যদি গৃহাণুটির ভেতরে থাকা পদার্থগুলো একত্রে ধরে রাখে যেমন ধারণা করা হচ্ছে তাহলে এটি পৃথিবীর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করবে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে পৃথিবীর প্রাণিকূল”। যদিও বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন ধরনের গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ৩০০ ভাগের মধ্যে একভাগ। তবুও পৃথিবী ধ্বংসের এই সামান্য সুযোগটাও রাখতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা। তাই এই দৈত্য গ্রহাণুকে ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এতে পুলকিত হওয়ারও কিছু নেই। কারণ অন্য অনেক গ্রহাণুর চেয়ে পৃথিবীতে এর আঘাত হানার আশংকা ৫০ ভাগ বেশি। এবার বোধহয় আশা-নিরাশার দোলাচলে পড়ে যাবেন অনেকেই। সে দলে আমিও আছি নিশ্চিতই ধরে নিতে পারেন। ঘটনাক্রমে যদি গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানে তা হলে তা হলে কি হবে? হ্যাঁ সে ক্ষেত্রে গ্রহাণুটি ৪৪,৮০০ মেগাটন টিএনটি’র ক্ষমতা নিয়ে আঘাত হানবে। আর এক মেগাটন মানে ১০ লাখ টন সে কথা অনেকেরই জানা আছে। তা হলে ৪৪,৮০০কে ১০ লাখ গুণ করলে সংখ্যাটি দাঁড়াবে বিশাল। ১৯৫০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম আবিষ্কৃত হয় গ্রহাণু ১৯৫০ ডিএ। ১৭ দিন পর্যবেক্ষণের পর এটি অর্ধশতকের জন্য দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়। ২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর আবার তাকে দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীমুখী কক্ষপথ ধরে এটি সেকেন্ডে ১৫ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে। এ গ্রহাণুর ব্যাসার্ধ প্রায় ১০০০ মিটার এবং এটি ২ ঘণ্টা ৬ মিনিটে আবর্তিত হচ্ছে। এ গতিতে ঘোরার কারণে গ্রহাণুটির ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে বিলীন হয়ে যাওয়ার কথা । কিন্তু এখনো তেমন কিছু ঘটেনি বা ঘটার কোনো আভাসও পাওয়া যায় নি। আমিও চাই এদফায় পৃথিবী আরেকবার জন্মগ্রহণ করুক ধরণীর বুকে এবং বেচে থাক শত সহস্র বছর।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




