রাজনীতিতে একে অপরের প্রতি হিংসা দোষারোপ মজিব জিয়ার আমল থেকেই আসছে।একে অপরের দোষ দেখিয়ে সাধু সেজে ক্ষমতায় আসেন।কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ চায় শান্তিতে বাঁচতে স্বামি বা বা বাবার দেশনা,এটা জনগনের দেশ দেখতে চায়।দেখুন দেশের উন্নয়ন কিন্তু আপনারা করেননা এইসব কর্পোরেটের লোকজনই করে।মাঝেমাঝে কোন জাতিকে তুলনা করলে বাঙালি জাতিকে
অনেক ছোট করা হয়।আমাদের মনোভাবটা এতই নিচু মানের যে পজেটিভ চিন্তা করতে পারেনা কখনো।আমি একদিন কলেজ থেকে বাসায় আসার সময় আমার পাশ্ব দিয়ে একজন প্রায় বৃদ্ধ লোক ভ্যান বোঝাই খড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন রাস্তাটা উঁচু ছিলো তাই তিনি টানতে পারছিলেননা।আমার সামনে একজন লোককে বললো একটু ঠেলে উনাকে সাহায্য করতে,কিন্তু প্যন্ট জামা পড়া ভদ্রলোকের মানসম্মানে বাধবে তাই তিনি না শোনার ভান করে জোরে হাটতে শুরু করলো।তারপর আমিই এগিয়ে গিয়ে ঠেলে দিলাম উনার যতদূর কষ্ট হতো।রাস্তার মানুষগুলো এমনভাবে তাকাচ্ছিলো!!!যেনো কি অসম্মানজনক কাজ করে ফেলেছি!!!আরে দুই একটা এইরকম অসম্মানজনক কাজ করলে সম্মান চলে যায়না।রাস্তার সামনে পড়ে থাকা কলার চোচাটা মানুষে সুবিদার্থে একটু নিরাপদ জায়গায় ফেললে আপনার সম্মান চলে যায়না বরং ব্যক্তিত্যের উন্নতি হয়,সেটা দেখে আরেকজন শিক্ষা নিবেন।দেখুন সচেতন নাগরিক হতে কোনো প্রশিক্ষনের প্রয়োজন পড়েনা নিজের বিবেকবোধ থেকেই নিজেকে সচেতন করা যায়না।যাইহোক যে কথায় ছিলাম সবকিছুতে সরকারের দোষ না দিয়ে নিজের আগে নিজের কর্তব্য পালন করা উচিত।আমরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে রেশারেশি না করেএকত্র হওয়া প্রয়োজন।জাপান আজ তার জাতির জন্য উন্নত।সিঙ্গাপুরে একটাই রাজনৈতিক দল তারা তাদের জনগণের কারণেই উন্নত তাই বিরোধী দলের কোন প্রয়োজন পড়েনা।উন্নয়ের উদ্যোক্তা মনোভাব সৃষ্টি করুন।ভেঁজাল খাবার নিয়ে চিল্লাচিল্লি করেন যে আপনি যদি আমের সিজিনে বড়ই খেতে চান তাহলে সেইটা আপনারই অসচেতনতার কারণ।এই রকম আরো অনেক বিষয় আছে যেই গুলো নিয়ে কুকুরের মতো একসাথে ঘেউ ঘেউ না করে নিজেকে সচেতন করাই শ্রেও।যিনি ভেজালদেন তাদের প্রতি ঘৃণা না করে সুযোগ পেলে তাদের মনোভাবের পরিবর্তনের চেষ্টা করুন দেখবেন তাদের নিজে থেকেই কাজটার প্রতি ঘৃণা জন্মাবে।রাস্তায় এত জ্যাম দেখে বিরক্ত হই কিন্তু একবাও পজিটিভ চিন্তা করিনা যে কর্ম ব্যস্ত মানুষের শহরে জ্যমতো থাকবেই।নিজেরা নিজেদের ছোট না করে পজেটিভ চিন্তা করা উচিত। “ছোট থেকেই তো আমরা পড়ে অভ্যস্ত যে বিন্দু বিন্দু জল করে তোলে মহাসাগর অতল”।শুধু নিজের না সবার চিন্তা করলে নিজেরও উন্নতি হবে, জাতির উন্নতি হবে, দেশের উন্নতি হবে।নিজের দেশ ভূল দিকে আগাচ্ছে তো কি হয়েছে!এইটা চিল্লাইতে চিল্লাইতে নিজেকেও ভূল পথে পরিচালনা করতে হব!!নিজে সঠিক পথে চলি।নতুন কিছু করতে গেলে প্রথমে মানুষ সেইটাকে ভূলই বলে কিন্তু পরে তার দেখানো পথেরই অনুসারি হয় মানুষ।বিল গেটস্,জুকারবার্গ বড় হয়েছে কিন্তু এদের মতো হওয়ার চেষ্টা না করে যদি তাদের সফলতার গতি ধরে রাখতে পারি তাহলেই কিছু করতে পারবো।ব্যর্থ তো হবোই সফলতো মানুষ ব্যর্থ হওয়ার জন্যই হয়।আমি আমার নিজেকে গড়ার মাধ্যমে প্রতিদিন এক সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি।