৩৫ বছর আগে "জন্মই আমার আজন্ম পাপ" কবিতাটি লেখার অপরাধে’ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন অগ্রসর ভাবনার কবি দাউদ হায়দার। ’৭৪-এর ২২ মে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ নির্দেশে কলকাতাগামী একটি ফ্লাইটে তাকে তুলে দেয়া হয়। ওই ফ্লাইটে তিনি ছাড়া আর কোনো যাত্রী ছিল না। তারপর অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে অবশেষে জার্মানে আশ্রিত হন। (সংগৃহীত)
ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু পলিটিকেল এসাইলামার তাকে নিয়ে ছবি বা ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছে। উত্তম ব্যাপার। নি:সন্দেহে অতি উত্তম কাজ। উনার ছবি বা ভিডিও দেখে আমার যা মনে হয়েছে তিনি খুবই কান্ত। জীবন সায়ান্হে এসে উনার চাওয়া-পাওয়ার পরিমানটা অনেক কমে গেছে। ছবি বা ভিডিও করার সময় উনি সরাসরি বা আগ্রহের সহিত নিজেকে উপস্হাপিত করেছেন বলে মনে হয় না। অতিরিক্ত অনুরোধে তিনি হয়ত ছবি বা ভিডিও তে অংশ গ্রহন করেছেন (আমার ধারনা)।
২২ বছর বয়সী তরুণ এ কবি বুকে প্রচণ্ড অভিমান আর প্রবল রক্তক্ষরণ নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। আর বাকী ৩৫ বছরে তার মন-মানসিকতা কতটা ভয়াবহ হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হয়ত তিনি জীবন থেকে আর কিছু চান না। নির্বাসিত ৩৫ বছরে তিনি এক জীবনমৃত। বাকী জীবনটা নিভৃতে কাটিতে দিতে পারলে তিনি বেঁচে যান।
দেশে ফেরার জন্য প্রতিনিয়ত পড়ছে চোখের জল। একান্তে নিভৃতে নিজেকে বুঝিয়েছেন ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের দেশটি আর তার নয়!
আমাদের ক্ষমা করে দিবেন...আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৫