বর্তমান সরকারের আমলে মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ৩০টি বৈঠকে এ পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ১১৩টি মামলা কমিটির বৈঠকে উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাত হাজার ১০১টি মামলা সম্পূর্ণ বা আংশিক প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছে জাতীয় কমিটি। ফলে খুনি, শীর্ষ সন্ত্রাসী, ধর্ষকসহ প্রায় এক লাখ অভিযুক্ত ব্যক্তি অব্যাহতি পেয়েছেন বা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন।
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ বিবেচনায় আলোচিত আরও ১১৪টি খুনের মামলা প্রত্যাহারেরউদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন মামলাগুলোর মধ্যে হত্যা মামলা ৬০টি। এ ছাড়া রয়েছে ধর্ষণ, ঘুষ লেনদেন, সরকারি টাকা আত্মসাৎ, ডাকাতি, অবৈধভাবে অস্ত্র নিজ দখলে রাখার অভিযোগ, কালোবাজারি, অপহরণ, জালিয়াতি, বোমা বিস্ফোরণ, চুরি ও অস্ত্র মামলা।
এ প্রসঙ্গে শাহদীন মালিক বলেন, সরকারের উচিত ছিল, রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহার করার পথ বন্ধ করা। কিন্তু তা না করে সরকার অপরাধীদেরও রাজনৈতিক নেতা-কর্মী বলে মামলা প্রত্যাহার করছে।
দুটি প্রশ্নঃ
১। কমিটিই যখন এত ভালো বুঝেন, তাহলে এত কষ্ট করে হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট রাখার দরকারটা কি?
২। তাহলে ২১ শে আগস্টের মত চাঞ্চল্যকর মামলাটা যদি ভবিষ্যতে কেউ রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে কি অন্যায় হবে?
আমরা সাধারন জনগন চাই – কোনও অপরাধই যেন আইনের ধারায় পার পেয়ে না যায়। সব অন্যায়ের বিচার হোক। তাহলে দিনে দিনে অন্যায় অবিচার কমতে কমতে একসময় অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




