somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গোধূলিবাড়ি (উপন্যাস: পর্ব- দশ)

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আট

তপতীর মৃত্যু আমাকে হতবিহ্বল করে দিলো! ওর নিথর শরীরটা মর্গে রেখে আসার পর কী এক অসীম শূন্যতা পেয়ে বসলো আমাকে। কেবলই মনে হতে লাগলো ওর মৃত্যুর ঘটনাটি সত্য নয়, আমি দুঃস্বপ্ন দেখছি, এটা কিছুতেই হতে পারে না, এ অসম্ভব! এখনই বুঝি জল কিংবা চা চাইবে, কোনো কারণে আমাকে ধমকাবে! কিন্তু শূন্য ঘর আমাকে মনে করিয়ে দিলো বাস্তবতা, মনে করিয়ে দিলো যে তপতী এখন লাশ হয়ে হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে ছেলেদের দেশে আসবার অপেক্ষায়। ছেলেরা দেশে এলে লাশটিও আর থাকবে না, শ্মশানের চিতায় পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। অপরাধবোধ কেবলই আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেতে থাকলো। কেবলই মনে হতে লাগলো- আমার জন্যেই বোধ হয় তপতী মরে গেল, আমি কেন সেদিন অমন কথা বলতে গেলাম? আমি ওর মৃত্যু কামনা করে ওই রূঢ় শব্দগুলো উচ্চারণ না করলেও হয়ত মৃত্যু হতোই, তবু শব্দগুলো ক্রমাগত চাবুক হয়ে আমার হৃদয়ে আঘাত করতে লাগলো। ঘরের এখানে-ওখানে তপতীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র, সে-গুলোর দিকে তাকাই আর আত্মগ্লানির বোঝা আরও ভারি হতে থাকে। কী এক ভয়ংকর বিষাদের রাত্রি নামল সেদিন পৃথিবীতে, যেন ফুরোতেই চায় না! বিছানায় শুই, আবার উঠি, ইউটিউবে রবীন্দ্রসংগীত চালিয়ে শুনি, ঘরের মধ্যে পায়চারি করি, বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াই, আকাশের দিকে তাকিয়ে মেঘ উড়ে যাওয়া দেখি, কিন্তু মনের চঞ্চলতা দূর হয় না কিছুতেই। অমন ভয়ংকর আর বেদনার রাত আমার জীবনে আর কখনো আসেনি। অদ্ভুত আর অবাস্তব সব চিন্তা মাথায় ঘুরতে লাগলো রাতভর, মনে হলো মর্গ থেকে বেরিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে তপতী যদি বাসায় চলে আসত, কী ভালোই না হতো! যদি সত্যি সত্যি এমনটা ঘটে, তাহলে কী এমন ক্ষতি হবে পৃথিবীর! শুয়ে এপাশ-ওপাশ করতে লাগলাম, যদি ঘুম আসে তাহলে ওই সময়টুকু অন্তত জাগতিক সবকিছু থেকে বিস্মৃত হয়ে থাকা যাবে। কিন্তু কোথায় ঘুম? আমার ভুবনে তখন যেন ঘুম বলে কিছু নেই! উঠে আবার বারান্দায় গিয়ে চেয়ারে বসে রইলাম। ফেসবুকে ঢুকে মানুষের স্ট্যাটাস পড়তে লাগলাম। কত রকমের স্ট্যাটাস- হাসির, আনন্দের, বিষাদের, সমালোচনার, কটুক্তির। হঠাৎ অমিতের একটা স্ট্যাটাস চোখে পড়ল- ‘মা আর নেই। দেশে ফিরছি। তোমার শেষ সময়ে কাছে থাকতে পারলাম না, ক্ষমা কোরো মা।’

শেষে কান্নার এবং করজোরের ইমোজি। স্ট্যাটাসের নিচে তপতীর আত্মার শান্তি কামনা করে অনেক মানুষের মন্তব্য। মোবাইলটা বন্ধ করে চুপ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ যেন বুকের ভেতরের অঙ্গগুলোকে দলাই-মলাই করে একটা হাহাকারের বাউকুড়ানি ঘুরপাক দিয়ে উঠলো! নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না, ঊনসত্তর বছর বয়সে পুলিশের বেটির বিরহে জীবনে প্রথমবারের মতো হাউমাউ করে কেঁদে উঠলাম!

দুই ছেলে, দুই বৌমা এবং নাতি-নাতনিরা দেশে এলো। মেয়ে এবং জামাই আসতে পারলো না ওদের বড় ছেলের পরীক্ষা থাকায়। পোস্তগোলা শ্মশানে তপতীর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া হলো, পরদিন থেকে ছেলে-বৌমারা পারলৌকিক ক্রীয়াকর্ম আরম্ভ করলো, শ্রাদ্ধের কার্যাদি সম্পন্ন হলো ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। আমি কেমন যেন এক উদাসীনতার ঘোরের মধ্যে থেকে এসব প্রত্যক্ষ করলাম, সব ক্রীয়াকর্মেই আমি শারীরিকভাবে উপস্থিত ছিলাম, অথচ কোথাও যেন ছিলাম না! আমার তখনও মনে হতে লাগলো যে তপতী কোথাও গেছে, এইসব পারলৌকিক ক্রীয়াকর্ম মিটে গেলেই সে ফিরে আসবে!

ছেলেরা আমেরিকা ফেরার রিটার্ন টিকিট কেটেই দেশে এসেছিল। আমার কী হবে, আমি কোথায় থাকব, সে-সব ব্যাপারে তারা কিছুই আমাকে বলল না, আমিও আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে গেলাম না। শ্রাদ্ধ-স্বজাতিভোজ সব শেষ হলে যাবার দু-দিন আগে খাবার টেবিলে রাতের খাবার খেতে খেতে অমিয় বলল, ‘বাবা, দু-দিন বাদেই তো আমরা চলে যাব, তুমি কী ভাবছ, এখানেই থাকবে না কী গ্রামে জ্যাঠা-কাকাদের কাছে চলে যাবে?’

মা-মাসি-পিসিদের মুখের আদুরে বাবা ডাকের কথা বাদ দিলে, অমিয়’র মুখেই আমি জীবনে প্রথম সত্যিকারের বাবা ডাক শুনি। সন্তানের মুখে প্রথমবারের মতো বাবা ডাক শোনার যে কী অনুভূতি, তা বলে বোঝানো যায় না, কেবল অনুভব করা যায়। আমার বড় আদরের ছেলে অমিয়, ও অনেকটা বড় হয়েও একা আলাদা ঘরে ঘুমাতে পারত না, তখন অমিত আর বিতস্তারও জন্ম হয়েছে। এক খাটে সবার জায়গা হয় না। আবার ওকে আলাদা ঘরে থাকতে বললে ভয়ে কাঁদত। এজন্য ওর মা ওকে বকা দিত আর আমাকে দোষারোপ করত, ‘তোমার আহ্লাদে ছেলে এমন হয়েছে!’

আমি ছেলে-মেয়েদের কখনো শাসন করিনি, তপতী ওদেরকে এত বেশি শাসনে রাখত যে আমার আর শাসন করার প্রয়োজনই হতো না। তাছাড়া ওরা এমন কোনো কাজ করত না যে জন্য আমার শাসন করার প্রয়োজন হতো। বরং তপতী বেশি শাসন করত বলে, আমি একটু বেশি আদর দিয়ে ঘাটতিটুকু পুষিয়ে দেবার চেষ্টা করতাম। এজন্যই ওরা একটু দুষ্টুমি করলে বা কথা শুনতে না চাইলে, তপতী আমাকে দোষারোপ করত।

অমিয়’র ভয়ার্ত মুখের দিকে তাকিয়ে তপতীকে বুঝিয়ে আমি ওকে নিয়ে অন্য ঘরে ঘুমাতাম। আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার কোলের মধ্যে ঘুমাত অমিয়। ক্লাস সেভেন-এইট পর্যন্ত ও আমার সঙ্গেই ঘুমিয়েছে। সেই অমিয়’র মুখ থেকে অমন কথা শুনে আমার চোখে প্রায় জল চলে এলো! এই বয়সে এসে স্ত্রীকে হারিয়ে আমারও যে সন্তানদের সঙ্গে থাকবার ইচ্ছে হতে পারে সেই দিকটা ওর কাছে রইলো উপেক্ষিত। নিজেকে সামলে একটু শক্ত হবার চেষ্টা করে বললাম, ‘আমি দীর্ঘদিন ঢাকা শহরে থেকে অভ্যস্ত, এখানে হাত বাড়ালেই ডাক্তার-ওষুধপত্র পাওয়া যায়। পড়ার বইপত্র পাওয়া যায়। এখন গ্রামে ফিরে গিয়ে মানিয়ে নিতে আমার কষ্ট হবে। তাছাড়া এই বয়সে এসে গ্রামের ওই ভিলেজ পলিটিক্সের মধ্যে যেতে চাই না। আমি এখানেই থাকব।’

অমিত বলল, ‘দুটো কাজের লোক রেখে নাও তোমার দেখাশোনার জন্য। টাকা-পয়সার জন্য চিন্তা কোরো না, ওসব আমরা দেখবো।’

অনেক কষ্টে আমি মৃদু হেসে বললাম, ‘আমেরিকার মতো জায়গায় তোদের কত রকমের খরচ, জীবনযাপনের ব্যয়, বাচ্চাদের লেখাপড়া কত কী। আমাকে টাকা-পয়সা পাঠাতে হবে না। আমি একা মানুষ, আমার চলতে আর কয় টাকাই বা লাগবে, পেনশনের টাকাই তো ফুরোতে পারবো না।’

বড় বৌমা বলল, ‘আপনি তো এখানকার লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত, আমেরিকাতে আপনার ভালো লাগবে না। নইলে আমরা না হয় আপনাকে ওখানে নিয়ে যেতাম।’
অমিয় বলল, ‘ওখানকার জীবন-যাত্রা অনেক কঠিন। আবেগের কোনো দাম নেই, আবেগ প্রকাশের সময়ও নেই। ওখানে নিয়ে গেলে আমরা তোমাকে সময় দিতে পারবো না। তোমারও ভালো লাগবে না, ওখানে গেলে তুমি হাঁফিয়ে উঠবে। এখানে পরিচিত পরিবেশ, পরিচিত মানুষজনের মধ্যে তুমি বরং ভালো থাকবে।’
আমি বললাম, ‘না, না, আমি অন্য কোথাও যাবার কথা ভাবছি না। এখানেই থাকবো।’

অমিত বলল, ‘ফোনে তোমার সঙ্গে সবসময়ই আমাদের যোগাযোগ থাকবে।’
ওদের সামনে বসে থাকতে আমার অস্বস্তি হচ্ছিল, কখন চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ে সেই আশঙ্কায় ছিলাম, বললাম, ‘তোরা আমাকে নিয়ে অত ভাবিস না তো, আমি এখনও যথেষ্ট শক্তপোক্ত আছি। আমার কোনো অসুবিধা হবে না।’

তাড়াতারি খাওয়া শেষ করে উঠে পড়লাম। কয়েক বছর আগে আমি আর তপতী তিনমাস আমেরিকা আর কানাডায় ছেলে-মেয়েদের কাছে কাটিয়ে এসেছি। সেই স্মৃতি মনঃশ্চক্ষে ভেসে উঠল। আমেরিকা আর কানাডায় থাকতে আমার খারাপ লাগেনি, একটুও মন খারাপ হয়নি দেশের জন্য। দেশের মাটি আপন, তাই বলে নিজের সন্তানদের থেকে তো বেশি আপন নয়। আমি বরং সন্তান আর নাতি-নাতনিদেরকে কাছে পেয়ে আনন্দেই ছিলাম। নিজের আত্মজ-আত্মজার কাছে থাকতে ভালো লাগবে না, আমার বাবার মতো অমন অদ্ভুত মানুষ আমি নই। আমার বাবা-মাকে ঢাকায় আমাদের কাছে নিয়ে এলে, মায়ের কোনো অসুবিধা হতো না, কিন্তু তিন রাত পেরোতেই বাবা বাড়ি ফিরবার জন্য অস্থির হয়ে যেতেন।

ছেলেদের যাবার দিন আমি বিমানবন্দরে গেলাম বিদায় জানাতে। বিদায়কালে একে একে নাতি-নাতনিদের বুকে জড়িয়ে ধরলাম। কচি কচি শরীর, হাত-পা। বড় মায়ায় ভরা চেহারা বাচ্চাগুলোর। আমারই রক্তধারা আরেকটি শরীরের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়েছে ওদের শরীরে, যেন আমারই পুণর্জন্ম ওদের মধ্যে! বিদায় জানাতে ভারি কষ্ট হচ্ছিল আমার। ছেলেদেরকেও বুকে জড়িয়ে আলিঙ্গন করলাম। কয়েকদিন ধরে ঠেকিয়ে রাখা চোখের জল এবার সংযমের বাঁধ ভেঙে কপোলে গড়িয়ে নামল। কে জানে আর কোনোদিন ছেলেদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরার সুযোগ পাব কি না। ঊনসত্তর বছরের বৃদ্ধ আমি, কখন পৃথিবী আমার বুকের বাতাস কেড়ে নিয়ে শূন্য হাতে আমাকে বিদায় জানায় তা কে বলতে পারে! ছেলেদেরকে বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করে আর ছাড়তেই ইচ্ছে করছিল না। মায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল না ওদের, সেটা ছিল আমার সঙ্গে। সেই ছোটবেলা থেকেই ওরা মায়ের কাছে ভিড়তে চাইতো না, কিন্তু আমার ন্যাওটা ছিল। ছোটবেলা থেকেই ওদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করতাম আমি, কপালে চুম্বন করতাম। ওরা স্কুলে ভালো রেজাল্ট করলে কিংবা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কোনো পুরস্কার জিতলে, অথবা ওরা যে-কোনো কিছু অর্জন করলেই আমি ওদের জড়িয়ে ধরতাম, চুম্বন করতাম। যা দেখে তপতী বলত, ‘ঢং!’

দুই ছেলেকে আলিঙ্গন করে কপালে চুম্বন করলাম। ওরা চলে যেতে যেতে শেষবারের মতো হাত নেড়ে চোখের আড়ালে চলে গেলেও আমি দাঁড়িয়েই রইলাম, আমি যেন তখনও ওখানে ওদের শরীরের গন্ধ পাচ্ছিলাম বাতাসে! অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখানে।

রাতে বাসায় ফিরে মনে হলো আকর্ষিক কোনো গ্রহাণুর আঘাতে আমি পৃথিবী থেকে ছিটকে পড়েছি মহাশূন্যে, যেখানে অক্সিজেনের তীব্র অভাব! বুকটা ভারি হয়ে উঠল। চোখ থেকে জল গড়িয়ে নামল, বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বের হলো এই ভেবে যে বাকি জীবনটা আপনজন ছাড়া নিঃসঙ্গ কাটাতে হবে আমাকে! হায়রে, আমাকে বিষবাক্য শোনাবার জন্য, বকাবকি করবার জন্য একটা মানুষ অন্তত পৃথিবীতে ছিল, এখন তো আমাকে বকবার মতো মানুষটিও নেই, এমনই একা আমি! অথচ পৃথিবীতে কত মানুষ! তপতীর জন্য বুকটা হাহাকার করে উঠল।



(চলবে........)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আদর্শের রাজনীতি না কোটি টাকার হাতছানি...

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫



১. আমি অনেক আগে ব্লগে লিখেছিলাম, বাংলাদেশে ছোট দলগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত। উন্নত দেশের মত ২/৩ টিতে থাকাই উত্তম। কারণ, ছোট দলের নেতাদের টকশো-তে গলাবাজি করা ছাড়া আর কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল মাদ্রাসার দেয়াল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯



ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণে মাদ্রাসার একতলা ভবনের পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তেল আর জল কখনো এক হয় না......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৫



জুলাই ছিলো সাধারণ মানুষের আন্দোলন, কোন লিডার আমারে ডাইকা ২৪'এর আন্দোলনে নেয় নাই। কোন নেতার ডাকে আমি রাস্তায় যাই নাই। অথচ আন্দোলনের পর শুনি আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড নাকি মাহফুজ। জুলাই বিপ্লবের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্ল্যাং রেভলিউশন: ১৮+ সতর্কবার্তা ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩০


সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকে একটা ভাইরাল ভিডিও চোখে পড়লো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সদস্য সালাউদ্দিন আম্মার গণজাগরণ মঞ্চ ৩.০ তে উপস্থিত হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন: দেখতে পাইলে বাকশাল, শা*উয়া মা*উয়া ছিড়া ফেল/... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতাঃ হে বলবান

লিখেছেন ইসিয়াক, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

কে আছিস বলবান!
হ্ আগুয়ান।
দে সাড়া দে ত্বরা।
ধরতে হবে হাল,বাইতে হবে তরী, অবস্থা বেসামাল।

জ্বলছে দেখ প্রাণের স্বদেশ
বিপর্যস্ত আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
মানবিকতা, মূল্যবোধ, কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতির বাতিঘর।
সর্বত্র আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×