-''এক্সকিউয মি"....
খানিকটা চমকে ঘাড়টা আধেকটা ঘুরিয়ে বিরক্তি ভরা চোখে তাকালাম পেছনে। চাপা জিন্সের ভেতর টি-শার্ট গোঁজা আঁটোশাঁটো পোশাকের ছেলেটার সাথে ওটাই ছিল আমার প্রথম দ্যাখা। কোঁকড়া চুল আর লম্বাটে মুখের শান্ত চোখের ছেলেটার তীক্ষ্ণ নাকের ডগার রীমলেস চশমাটা চেহারায় শান্ত ভাবটা যেন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
-''আচ্ছা তোমার কলেজ জানি কোন্ টা?"
ভার্সিটিতে প্রথম দ্যাখায় নামের পরিবর্তে কলেজ জিজ্ঞাসা করাটা আমাকে খানিকটা কৌতূহলী করে তুলল। বোধ করি এই অদ্ভূত প্রশ্নের ধরণই ছেলেটার প্রতি আমার জিজ্ঞাসু দৃষ্টির গোড়া পত্তন করেছিল। কলেজের নাম বলে হাত মিলিয়ে পা চালিয়ে ক্লাশে ঢুকে গেলাম। ব্যাচ ভিন্ন হওয়ার কারণে ছেলেটার সাথে দ্যাখা হল না বেশ কিছু দিন। এরই মধ্যে আমাদের ব্যাচের আমরা ক'জন বেশ একটা গ্রুপ বানিয়ে ফেলেছি। ক্লাসের পরে ক্যাম্পাসের সামনের ফুটপাথে বসে সময় জ্ঞানহীন জমপেশ আড্ডায় মেতে থাকাটা তখন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কোন এক বিকেলে আড্ডা শেষে বাড়ি ফেরার পথে পা বাড়িয়েছি মাত্র। ভার্সিটির বাউন্ডারি ছাড়িয়ে খানিক সামনে এগুলেই রাস্তার অপর পাশে ছাত্র হোস্টেল। হোস্টেলের জানালার পাশ ঘেঁসে কিছুটা অন্য মনস্ক হয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম সামনের দিকে।
-"হ্যালো... আমার কথাটা বুঝার ট্রাই টা অন্তত কর একবার। বুঝলাম তোমার কথার অর্থ হয়তো আছে, কিন্তু বাস্তবতাটাও কি একবার ভেবে দ্যাখা উচিৎ না????আচছা আমি মেডিক্যাল কলেজ ছেড়ে এইখানে আসার পেছনের কারণ টা কি তুমি বোঝ না?? তাহলে কেনো.....''
কন্ঠটা পরিচিত মনে হতেই থমকে গেলাম। কিভাবে পরিচিত? মাথার সার্চ অপশনটা অন করে দিয়ে মোবাইল ফোনের কথোপকথন শোনার চেষ্টায় জানালার দিকে এগিয়ে গেলাম খানিকটা।
-চলবে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




