somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কত অজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই...

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন। সেই সুবাদে, অথবা নিজ আগ্রহেই গড়ে তুলেছিলেন বিশাল এক ব্যাক্তিগত লাইব্রেরী। ছোটবেলা এই লাইব্রেরীর বই আমার জন্য নিষিদ্ধ ছিল। সে সময় আমার "গল্পের বই" পড়ার উপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ছিল। তবে খুব ছোটবেলায়, মনেও নেই কত আগে, আমার বই পড়ার নেশার সূচনা। আর তার কিছু পরেই আমি মায়ের লাইব্রেরী থেকে বই চুরি করে পড়তে শুরু করলাম। এখন মনে পরছে, খুব সম্ভবত ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় সুনীল গঙ্গোপধ্যায়ের "রাধা-কৃষ্ণ" বই হাতে ধরা পরেছিলাম। কি লজ্জা যে সেবার পেলাম! আবার বেশ কিছু সুখ-স্মৃতিও রয়েছে, মনে পড়ছে, বইমেলা শেষে খুব রাতে (ছোট আমার হিষেব মত) ছোট কাকু-মা আর আমি বেবী-ট্যাক্সির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি, এক-একজন জ্ঞানের ভারে নিমজ্জিত ;)

একটা সময় আমরা সবাই (মা, বোন, আমি) বাবার সাথে বসবাসের জন্য তার কর্মক্ষেত্র আরবদেশে চলে গেলাম। পেছনে রয়ে গেল মায়ের বইয়ের অমৃতভান্ডার। যাদের উপর দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন, তারা বছরের পর বছর সব তালাবদ্ধ রেখেই সব কর্তব্য শেষ করেছেন। বইয়েরাও এত অবহেলা সইবে কেন, ম্রিয়মান হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

তার বেশ কয়েক বছর পর, আমার ও' লেভেল পরীক্ষা শেষে লম্বা ছুটিতে দেশে বেড়াতে এলাম। বড় মানুষী বড় মানুষী ভাব, বই সব পুনোরুদ্ধারের চেষ্টা চালালাম, আর সেই সাথে সাথে অসাধারন কিছু বই হাতে পেলাম। তেমনই একটি বই সত্যেন সেনের "পুরুষ মেধ"। বইটি আধা-আধি পড়ার পর কোনো একটি দাওয়াতে দিন-দুয়েকের জন্য দাদা-বাড়ির পাশের গ্রামে যেতে হয়েছিল। বইটি খুব নাজুক অবস্থায় থাকায় সাথে নিলাম না। এবং যথারিতী বইটি হাড়িয়ে গেল। তারপর থেকে কত যায়গায়, কতজন কে যে এই বইয়ের কথা জিজ্ঞেস করলাম তার হিসেব নাইবা দিলাম।এখনও অপেক্ষায় আছি, যদি কোনোদিন বইটি পুনঃপ্রকাশ পায়। আবার এও ভাবি যে "পাঠকের মৃত্যু"র পুনারবৃত্তি আবার না হয় :|

কত অজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×