মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম কবির বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা’র বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা গতকাল বলেছেন, “ বাংলাদেশের কিছু মানুষ‘সোনালী ভবিষ্যৎ’গড়ার স্বপ্ন দেখার বিরোধী। আসলে তারা শান্তি, সৌহার্দ্য, গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চায়। আমরা তাদের সন্ত্রাসী বলে থাকি। এসব সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের শত্র“, আমেরিকা এবং বিশ্বের প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশের শত্র“।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা’র এ বক্তব্য কুটনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত, দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব এবং দেশের নাগরিকদের বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপের শামিল। অন্যদেশের একজন নাগরিক হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে সন্ত্রাসী এবং দেশের শত্র“ হিসেবে আখ্যা দেয়ার ব্যাপারে ভিনদেশী নাগরিক মজিলার কতটুকু অধিকার বা বৈধতা রয়েছে?
আজ এক বিবৃতিতে শহিদুল ইসলাম কবির আরও বলেন, এ দেশের মানুষ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এনেছে তা এদেশের মানুষই রক্ষা করবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধী আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে নয় দেশপ্রেমের টানেই দেশপ্রেমিকরা আমেরিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সত্য উচ্চারন করে যাচ্ছেন।
আমেরিকা মুখে শান্তির কথা বলে বিশ্বব্যাপী মানব হত্যার যে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে সে অভিজ্ঞতা থেকেই দেশের মানুষ আমেরিকার কোন সামরিক সহযোগিতাকে ভাল চোখে দেখতে পারেনা। মার্কিন রাষ্ট্রদূত গত রোববার মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে গিয়ে গণমাধ্যমের সাথে যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে দেশের মানুষ আতঙ্কিত এ কারণে যে বাংলাদেশকে মার্কিন হামলার লক্ষবস্তুতে পরিণত করতে আবার নতুন করে কোন ষড়যন্ত্র পাকানো হচ্ছে কি না? স্বাধীনতার মাস মার্চে বাংলাদেশকে পরাধীন করার কোন চক্রান্ত করা হচ্ছে কি না এটাই এখন আশংকার বিষয়।
তিনি বলেন, সরকার যদি দেশের স্বধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় বদ্ধ পরিকর হয় তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কুটনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




