somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম ও মুসলমানদের দুশমন ইয়াহুদীবাদের এজেন্ট দৈনিক প্রথম আলো বর্জন ও নিষিদ্ধ করুন

০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং জেনা ও ব্যাভিচারকে জাতীয়করনের চক্রান্তে লিপ্ত ইসলাম ও মুসলমানদের দুশমন ইয়াহুদীবাদের এ দেশীয় এজেন্ট দৈনিক প্রথম আলো ক্রয়, বিক্রয়, বিজ্ঞাপন দেয়া থেকে বিরত থাকাসহ সকর প্রকার সহযোগিতা করা থেকে বিরত থেকে প্রথম আলো বর্জন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এছাড়া তারা দৈনিক প্রথম আলোর ডিকারেশন বাতিল করতে সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।
দেশের ৭৫ জন ইসলামী চিন্তাবিদ গবেষক ও মুফতী বলেছেন, প্রথম আলো কর্তৃপকে আত্মপ সমর্থনের সুযোগ দেয়ার পরও এ ব্যাপারে তারা কোন বক্তব্য প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশ করেননি। এর মাধ্যমে প্রমান করেছেন, তারা মুসলমানদের ধমর্ীীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্যই ২৪ ফেব্র“য়ারী বির্কিত সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। প্রথম আলো উক্ত বক্তব্যের দ্বারা ইসলাম, সমাজ ও বিবেকের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অবস্থান নিয়েছে। মুসলমাদের এখন প্রথম আলো বর্জনের কার্যকরী পদপে গ্রহন করা জরুরী।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ( কওমী মাদরাসা শিা বোর্ড)-এর মহাসচিব মাওলান আব্দুল জাব্বার জাহানাবাদী গত ২৪ ফেব্র“য়ারী’১২ ইং তারিখে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে সম্পাদকীয় প্রকাশের দায়ে দৈনিক প্রথম আলোর ডিকারেশন বাতিল করত: সম্পাদকীয় প্রকাশের দায়ে প্রকাশক ও সম্পাদক মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান । এর পূর্বেও প্রথম আলো রাসূল সা. এর ব্যঙ্গুক্তি করে কার্টুন প্রকাশ করে অমার্জনীয় অপরাধ করে বায়তুল মুকাররম মসজিদের সাবেক খতীব মাওলানা উবায়দুল হক রহ. এর হাত ধরে কেঁদে কেঁদে মা চেয়ে ওয়াদা করেছিল, ভবিষ্যতে ইসলাম, মুসলমান ও কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন সংবাদ বা মন্তব্য প্রকাশ করবো না। যার কারণে সে সময় মতিউর রহমান জনরোষ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছিল। সেই মতিউর রহমান এখন আবার পত্রিকার সম্পাদকীয়তে ইসলামের বিধানকে কুসংস্কার, সামাজিক অনাগ্রসরতা, অশিা এবং সর্বোপরি নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চিরায়ত বিদ্ধেষ বলে জঘন্যতম মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘‘ফতোয়াবাজি অব্যাহত, পুলিশকে সংবেদনশীল হতে হবে’’ শিরোনামে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে বিবাহিত নারীর সঙ্গে পরপুরুষের মেলামেশাকে সহজভাবে মেনে না নেয়ার মানসিকতাকে প্রথম আলো কুসংস্কার, সামাজিক অনগ্রসরতা, অশিা এবং সর্বোপরি নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চিরাযত বিদ্বেষ বলে করা মন্তব্য সরাসরি ইসলামের ওপর আঘাতের নামান্তর। সংবাদ পত্রে প্রদও এক যৌথ বিবৃতিতে সিলেটের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে প্রথম আলোর উল্লেখিত সম্পাদকীয় প্রত্যাহার করার জন্য আহবান জানান। তারা বলন,এই পত্রিকাটি কিছুদিন আগে রাসূল (সা.)-এর ব্যঙ্গ কার্টূন প্রকাশ করেছিল, পরে অবশ্য আন্দোলনের তীব্রতা টের পেয়ে তাওবা ও মা প্রার্থনা করেছিল। ধর্মবিরুধী এসব অপকমর্বন্ধের জন্য সরকারকে কঠোর ব্যস্থা নেওয়ার ও আহবান জানান।বিবৃতি দাতারা হলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী,কেন্দ্রীয় নেতা,সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী, জমিয়ত ইউকে নেতা হাফিজ মাওলানা সৈয়দ জুনাইদ আহমদ,যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মখতার আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক মুফতি সাব্বির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডিএম মোঃ আলী, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ রুহুল আমীন নগরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুল খালিক শায়খে চাকতা, সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম ফাগুর বাড়ি, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফরিদ উদ্দীন কয়েস,জমিয়ত নেতা মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, হাফিজ সৈয়দ এহসান আহমদ,সালেহ আহমদ শাহবাগী, মাওলানা আফজল হোসেন খান, যুবজমিয়ত নেতা মাওলানা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল আল মামুন খান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা সাইফুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা হিফজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা লুৎফুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা কবির আহমদ, আব্দুল হামিদ খান, এম. আবু বক্কর সাদী, হাফিজ আব্দুল করিম দিলদার, হাফিজ গিয়াস কামাল, মাওলানা জুনায়েদ আহমদ ।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আমীর মোস্তফা বশিরুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এম সাখাওয়াত হুসাইন বলেছেন, গত ২৪ ফেব্র“য়ারী দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদকীয়তে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার পে সাফাই গেয়ে একদিকে সরাসরি কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে অন্যদিকে নারীদের সম্ভ্রমহানি ও ব্যভিচারের পথকে সুগম করেছে। নেতৃদ্বয় পত্রিকাটি বর্জনের আহবান জানিয়ে বলেছেন, দৈনিক প্রথম আলো প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই দেশ, মুসলিম জাতিসত্বা ও ইসলামী তাহজীব তামুদ্দুন বিরোধী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকাটি বাংলাদেশকে জংগীবাদের কারখানা, মসজিদ -মাদ্রাসা ও ইসলামী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে নানা ধরনের কুৎসা রটিয়ে ইসলামের সুমহান আদর্শকে বিতর্কিত করার এজেন্ডা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে । নেতৃদ্বয় আরো বলেন,ফতোয়ার অপব্যবহারকে পুজি করে যারা ইসলামী আইনের বিরুদ্ধে লেখা-লেখি,বক্তব্য বিবৃতি দেয় তারা হয় জ্ঞান পাপী, নয়ত নিরেট মূর্খ,অজ্ঞ,কুপমন্ডুক অথবা ইসলাম বিরোধীদের দোসর হিসেবে কাজ করছে। নেতৃদ্বয় প্রথম আলো বন্ধ করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়ে বলেছেন,পত্রিকাটি বন্ধ করা না হলে শুধু ইসলাম আক্রান্ত হবে না গোটা দেশ ও রাজনীতি কলুষিত হবে।
সমমনা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক বিয়ের পর পরনারীর সাথে মেলামেশাতে কোন সমস্যা নেই বলে মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতি করেছেন। মতিউর রহমান চৌধুরী যে ইসলামের বড় দুশমন তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। মতিউর রহমান এখন আবার পত্রিকার সম্পাদকীয়তে ইসলামের বিধানকে কুসংস্কার, সামাজিক অনগ্রসরতা, অশিা এবং সর্বোপরি নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চিরায়ত বিদ্ধেষ বলে জঘন্যতম মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রথম আলো বর্জন করা ঈমানী দাবিতে পরিণত হয়েছে। দেশের প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য প্রথম আলো নিজেরা বয়কট করা এবং অন্যদেরকে ও বর্জন করতে উৎসাহিত করা।
সমমনা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হলেন- জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃ পরিষদের সভাপতি প্রিন্সিপাল মোঃ আলমগীর ও মাওলানা আইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান ও সেক্রেটারী মাহবুবুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ লিবিয়া ভ্রাতৃ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ফোরাম সভাপতি আশিক রহমান মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, কওমী মাদরাসা ছাত্র ঐক্য পরিষদ সভাপতি মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ ফয়েজী ও সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ ইসমাঈল মাদানী, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা ছাত্র পরিষদ সহ-সভাপতি নাযীর আহমাদ শিবলী, নদী ও পানি সম্পদ রক্ষা কমিটির সভাপতি দেদার বখত জালালাবাদী, মজলিসুল উলামার সভাপতি মাওলানা মোঃ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী দাওয়াত সংস্থার মহাসচিব আবুল কালাম, আমরা ঢাকাবাসীর সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব জামাল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ মহাসচিব তুরাব আলী ভুইয়া, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় শরয়ী পর্দা রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এহতেশাম সারওয়ার ও মহাসচিব মাওলানা তাজুল ইসলাম ফয়েজ কারী, বাংলাদেশ জনপরিষদ সভাপতি এম এ গফুর মাষ্টার ও মহাসচিব বেলাল সরকার, ভণ্ড ও প্রতারক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক, জাতীয় ধর্মীয় খানকা রক্ষা কমিটির সভাপতি মাওলানা আবুল কাসেম নূরী ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল্লাহ, বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ কবি মুহাম্মদ ইউসুফ, কে এস পি’র মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হারুন অর রশিদ ও জাতীয় মুতাওয়াল্লী পরিষদ কে এ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ মুসলিম পার্টির মহাসচিব মাওলানা আবুল বারাকাত।

দেশের ৭৫ জন ইসলামী চিন্তাবিদ গবেষক ও মুফতী বলেছেন, প্রথম আলো কর্তৃপকে আত্মপ সমর্থনের সময় দেয়ার পরও এ ব্যাপারে তারা কোন বক্তব্য প্রথম আলো পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ না করে প্রমান করেছেন, তারা মুসলমানদের ধমর্ীীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্যই ২৪ ফেব্র“য়ারী বির্কিত সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। প্রথম আলো উক্ত বক্তব্যের দ্বারা ইসলাম, সমাজ ও বিবেকের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অবস্থান নিয়েছে। মুসলমাদের এখন প্রথম আলো বর্জনের কার্যকরী পদপে গ্রহন করা জরুরী। নওগাঁর রাণীনগরের বর্ণিত ঘটনার যে মূল্যায়ন প্রথম আলো করেছে, তা আইয়্যামে জাহিলিয়্যাতের কদাকার কালচারÑযা নারীকে নিছক ভোগ্যপণ্যরূপেই পরিগণিত করে এবং এর ছত্রছায়ায় যৌনদস্যুতা ও যিনা-ব্যভিচার দ্বারা সমাজে কলুষতাই ছড়াতে পারে। এ অপপ্রয়াস ইভটিজিং বা নারীত্বের অবমাননা তথা যৌন হয়রানি ও যৌন নির্যাতনকেই স্বাগত জানায়। যেহেতু তা নারী-পুরুষের বেপর্দা ও লাগামহীন চলাফেরারই ফলশ্র“তি।
বিবৃতিদাতারা হলেন, মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী, মুফতী আবদুল বাতেন, মুফতী হাবীবুর রহমান, মুফতী আহমদুল্লাহ, মুফতী আবদুল লতিফ, মুফতী ফরীদ উদ্দীন, মুফতী আবদুল জলিল, মুফতী জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুফতী জাকারিয়া, মুফতী দেলোয়ার হোসেন আনসারী, মুফতী ছফিউল্লাহ লাহরী, মুফতী মাহবুবুর রহমান, মুফতী আবদুল আজিজ, মুফতী আতিকুর রহমান, মুফতী শহিদুল ইসলাম, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন, মুফতী নেছার উদ্দীন, মুফতী নাযীর আহমাদ, মুফতী শফকত হোসাইন, মুফতী খালেদ সাইফুল্লাহ, মুফতী আবুল কালাম আজাদ, মুফতী মামুনুর রশীদ, মুফতী আবুল খায়ের, মুফতী রায়হান, মুফতী মাকছুদুর রহমান, মুফতী মুনিরুল ইসলাম, মুফতী জাহিদুল ইসলাম, মুফতী ইসহাক, মুফতী আবদুল জব্বার, মুফতী মোস্তফা কামাল, মুফতী আবদুল হামিদ, মুফতী আবদুর রশিদ, মুফতী নুরুল ইসলাম, মুফতী আবু বকর সিদ্দিক, মুফতী মাছুম বিল্লাহ, মুফতী গিয়াস উদ্দীন, মুফতী আবুল বাশার, মুফতী মুহাম্মদ শামসুল হক, মুফতী আবদুল আলিম, মুফতী জালাল বকুল, মুফতী আবদুল কাইয়ূম, মুফতী সাইফুল ইসলাম, মুফতী শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুফতী আমীর হোসেন, মুফতী মুহাম্মদ আবদুল মতিন, মুফতী আবদুস সামাদ, মুফতী রেজাউল ইসলাম, আল আমিন সাইফী, মুফতী নূর হোসাইন, মুফতী তোফায়েল আহম্মেদ, মুফতী ফিরোজ আলম, মুফতী শরীফ উদ্দীন, মুফতী লুৎফর রহমান, মুফতী কামাল হোসেন, মুফতী এম.এ সাঈদ, মুফতী সাজিদ হোসাইন, মুফতী আনোয়ারুল ইসলাম, মুফতী আরিফ বিল্লাহ, মুফতী রফিকুল্লাহ, মুফতী কামরুল ইসলাম, মুফতী মুহাম্মাদ আকরাম হোসাইন, মুফতী রুহুল আমিন, মুফতী আশিকুর রহমান, মুফতী ছিদ্দিকুর রহমান, মুফতী মোতাহার হোসাইন, মুফতী মিজানুর রহমান, মুফতী আবদুল কাদের, মুফতী আবদুর রহীম, মুফতী এহসানুল হক, মুফতী সারওয়ার হোসাইন, মুফতী সৈয়দ আহমাদ, মুফতী আবু সালেহ, মুফতী ফখরুল ইসলাম, মুফতী মু. মাইনুল হক, মুফতী আনোয়ার হোসাইন জেহাদী প্রমূখ।

বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা.এস.এম. আব্দুল আজিজ গত ২৪ ফেব্র“য়ারী’১২ ইং তারিখে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে সম্পাদকীয় প্রকাশের দায়ে দৈনিক প্রথম আলো নিষিদ্ধকরন এবং পত্রিকার সম্পাদক ইসলাম-মুসলমান ও কুরআনের দুশমন মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মতিউর রহমান যে ইসলামের বড় দুশমন তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। এর পূর্বে প্রথম আলো রাসূল সা. এর ব্যঙ্গুক্তি করে কার্টুন প্রকাশ করে অমার্জনীয় অপরাধ করে বায়তুল মুকাররমের সাবেক খতীব মরহুম উবায়দুল হক-এর হাত ধরে মা চেয়ে ওয়াদা করেছিল, ভবিষ্যতে ইসলাম, মুসলমান ও কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন সংবাদ বা মন্তব্য প্রকাশ করবে না। যার কারণে সে সময় মতিউর রহমান জনরোষ থেকে পরিত্রান পেয়েছিল। সেই মতিউর রহমান এখন আবার পত্রিকার সম্পাদকীয়তে ইসলামের বিধানকে কুসংস্কার, সামাজিক অনাগ্রসরতা, অশিা এবং সর্বোপরি নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চিরায়ত বিদ্ধেষ বলে জঘন্যতম মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। এখন তিনি এজন্য কাকে দায়ী করবেন? নাস্তিক ছাড়া ইসলামের বিধান সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা কারও পে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, প্রথম আলো বর্জন করা ঈমানী দাবিতে পরিণত হয়েছে। দেশের প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য প্রথম আলো নিজেরা বয়কট করা এবং অন্যদেরকে ও বর্জন করতে উৎসাহিত করা।
জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ এর সভাপতি মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল- ফিরোজী “প্রথম আলো” এর সম্পাদক নাস্তিক মতিউর রহমানের কোরআন-হাদীস এর প্রতি ধৃষ্টতার কারনে ফাঁসি দাবী করেছেন। নেতৃদ্বয় বলেছেন স¤প্রতি “প্রথম আলো” পত্রিকার সম্পাদকীয়তে তিনি বলেছেন “ বিবাহিত নারীর সঙ্গে পরপুরুষের মেলামেশা সহজভাবে দেখা হয় না ” ব্যাপারটি বিবাহিত জীবনকে কলুষিত করেছে। তাছাড়া বিবাহিত জীবন ভেঙ্গে পতিতাবৃত্তিকেও উৎসাহিত করা হয়েছে যা কুরআন-হাদীস তথা- আল্লাহর হুকুমের সম্পূর্ন পরিপন্থী। তাই যেনা-ব্যাভিচারকে উৎসাহ প্রদানের জন্য তথা কুরআনের বিরোধীতার কারনে মতিউর রহমানের ফাঁসি হওয়া উচিত।
নেতৃদ্বয় অনতিবিলম্বে এই নাস্তিক মতিউর রহমানকে গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানান, অন্যথায় সকল বিরুপ প্রতিক্রিয়ার জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×