View this link পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় তিগ্রস্তদের ধারনা, অপরাধীদের সাথে পুলিশের যোগসাজস রয়েছে
নতুন করে আরও তির আশংকায় সন্তানদের স্কুলে যাতায়াত বন্ধ
রাজধানীতে দিনেরবেলায় বাসায় চুরি এবং পরবর্তীতে চুরি যাওয়া মাল উদ্ধার ও অপরাধীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় ােভ প্রকাশ করেছেন তিগ্রস্তরা। তারা মনে করছেন পুলিশের সাথে অপরাধীদের যোগসাজস থাকার কারনে পুলিশ অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা বা চুরি-ডাকাতি বন্ধে কোন রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। চুরির ঘটনায় মামলা করা হলেও পুলিশের নিরবতায় তিগ্রস্তরা জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে আরও আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
গত ৩ এপ্রিল মাসিক মদীনার পয়গাম পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবিরের ডেমরা থানাধীন বাসেরপুলের ভাড়া বাসায় দিনের বেলায় চুরির ঘটনায় ঐদিনই অন্য এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের তৎপরতার কারনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং তাৎখনিক সাধারন ডায়েরী গ্রহণ করে। এর পরেও দিনের বেলায় চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার, অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা ছাড়াও এরকম চুরির ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ল্েয কোন তৎপরতা না দেখে শহিদুল ইসলাম কবির ঘটনার ৩দিন পর গত ৬ এপ্রিল ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশের নিরবতার এখন পর্যন্ত নতুন করে কোন তির সম্মূখীন হওয়ার আশংকায় তার স্কুল পড়–য়া ছেলে আব্দুল্লাহ আল মারুফ এর স্কুলে যাওয়া ৩ এপ্রিলের পর থেকে অদ্যবধি বন্ধ রয়েছে।
তিনি মামলার এজহারে উল্লেখ করেছেন, “চুরি হয়ে যাওয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ উদ্ধার না হওয়ায় এবং এ অবস্থায় হারানো মাল পাওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখাতো দূরের কথা আবারও বাসায় চুরি সংঘটিত হওয়া এবং মালামালের পাশাপাশি আমার নিজেরসহ স্ত্রী, সন্তানের জীবনের উপরেও আঘাত অসার আশংকা করছি। চুরি হওয়া মাল উদ্ধার এবং চোরদেরকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে আমাদেরসহ এলাকার নাগরিকদের সাধারন জীবন যাপন স্বভাবিক রাখতে অদ্য এজাহার দায়ের করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে আপনার স্বরনাপন্ন হয়েছি।” এর পরেও পুলিশের নিরব ভূমিকায় এলাকাবাসী ও অভিজ্ঞ মহল বিষয়টিকে রহস্য হিসেবে দেখছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে এর পূর্বেও শহিদুল ইসলাম কবিরের বসবাসকারী বাশেরপুল এলাকায় দিনে দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটেছে কিন্তু প্রশাসনের থেকে কার্যকরী কোন সহযোগিতা পাওয়া যাবেনা বুঝতে পেরে পুলিশের স্বরনাপন্ন হয়ে মামলা বা সাধারন ডায়েরী করেনি।
এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, আমি বড় আশা নিয়ে পূর্ব পরিচিত পুলিশ অফিসার, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলে তারা ডেমরা থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পুলিশের স্বরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়ার কারনে আমি সাথে সাথে বাসায় পৌঁছার পূর্বেই পুলিশকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করে আইনশৃংখলা রাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিলাম যাতে তারা সাথে সাথে পদপে গ্রহণ করে অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে আমার চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার এবং এলাকায় চুরি ডাকাতি বন্ধে পদপে নিতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু আমিসহ এলাকাবাসী দেখতে পায়নি। যা নাগরিকদের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি ছাড়া আর কিছুই না। এঘটনার দ্বারা স্পষ্টভাবে আমি একটি যে বার্তা পেয়েছি তা হল, পুলিশ সরকার বিরোধী ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করা, বিদেশীদের এজেন্ডা অনুযায়ী সাধারন মানুষকে জঙ্গী আখ্যাদিয়ে গ্রেফতার করে হয়রানী করা, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার থেকে যেসব প্রতিবেদন চাওয়া হয় সেগুলোর রিপোর্ট পাঠানো এবং সাধারন ডায়েরী ও মামলা গ্রহণ করা (এসব তদন্ত করা যেন তাদেও কাজের মধ্যে পড়ে না)। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমি নতুন কোন তি হবেনা এমন সাহস না পাওয়ার কারনে আমার স্কুল পড়–য়া ছেলে আব্দুল্লাহ আল মারুফকে স্কুলে পর্যন্ত পাঠানোরমত সাহস পাচ্ছি না। কারন চুরির ঘটনায় পুলিশ অপরাধীদেরকে সন্ক্ত করার কোন রকম চেষ্ঠা বা উদ্ধোগ গ্রহণ না করে বরং আমাকে বুঝানোর চেষ্ঠা করা হচ্ছে আপনার তো গেছে ৪ ভরি স্বর্ণ অন্য একজনের গেছে ৪০ ভরি স্বর্ণ, ৩ মিনিটে পুলিশের মটর সাইকেল চুরি হয়েছে, দিনের বেলায় ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। আমার এর চেয়ে বড়কোন তি হলে তখন তো এভাবেই যুক্তি দিয়ে আমাকে বুঝদেয়া হবে। সরকার জান-মালের নিরাপত্তা না দিলে শিশুদের শিাবাধাগ্রস্ত হবে। অন্যদের মন্তব্য হচ্ছে, পুলিশ স্প্রিড মানি ছাড়া কোন কাজ করে না। পুলিশকে উৎকোচ দেয়া ছাড়া নাগরিকরা কোন রকম সেবা পায় না। পুলিশের এ অবস্থা দূরীভূত করা না গেলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখোমুখি পড়বে।
টাকা ছাড়া ডেমরা থানার মুন্সী শাহাবুদ্দিন মামলার কাগজ পর্যন্ত দিতে অশ্বীকার করেছে।
দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা মনে করেন, দিনের বেলায় বাসায় চুরির ঘটনা প্রমান করে দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে ? সাধারন মানুষের জান-মালের কোন নিরাপত্তা নেই। কে কোন সময় কোন স্থানে খুন হবে তার যেমন নিরাপত্তা নেই, তেমনি কার বাসায় কোন সময় চুরি ডাকাতি হবে তা ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেই। হত্যা, খুন, চুরি-ডাকাতি বন্ধে প্রশাসনের ও যেন তেমন কোন দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। পুলিশ প্রশাসনের কাজই যেমন সরকার বিরোধীদেরকে দমন করা এবং আমেরিকার শ্লোগানের সাথে তাল মিলিয়ে নিরীহ মানুষকে ধরে জঙ্গী বলে গ্রেফতার ও হয়রানী করা।
স্বাধীন স্বর্বভৌম বাংলাদেশের রাজধানীতে যদি দিনে দুপুরের বাসা বাড়িতে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটে আর পুলিশ এ সংবাদ পেয়েও নিরব ভূমিকা পালন করে তবে সাধারন মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে? মানুষ বাসা থেকে বের হয়ে গিয়ে কিভাবে কর্মস্থলে নিশ্চিন্তায় কাজ করবে?
বর্তমান সরকারসহ অন্যান্য সরকারগুলো অপরাধীদেরকে দমন করার পরিবর্তে রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিশকে দিয়ে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে পুলিশকে ব্যবহার করার কারণে রাজধানীসহ সারাদেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। বেড রুমে বসে সাংবাদিক দম্পত্তি খুনের ঘটনা ঘটছে, রাস্তায় কুটনৈতিক হত্যা হচ্ছে, দিনের বেলা বাসায় চুড়ি-ডাকাতি এমনকি দিনের বেলায় বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মা ও পুলিশের মটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে।
এত কিছুর পরও অপরাধীদের গ্রেফতারে সরকারের প থেকে কোন রকম কার্যকরী পদপে নেই। সরকার শুধু রাজনৈতিক প্রতিপকে ঘায়েল করতে এবং বিদেশী প্রভূদের সন্তুষ্ঠির জন্য পুলিশকে ব্যবহার করছে। যার ফলে দেশের মানুষ জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। পুলিশ ও মানুষের অভিযোগকে আমলে নিয়ে অপরাধীদেরকে গ্রেফতারের কার্যকরী পদপে নিচ্ছে না। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় সরকারই অপরাধীদেরকে গ্রেফতারের কার্যকরী পদপে নিতে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




