( উৎসর্গ -স্বপ্নবাজ অভি, অপু তানভীর -- এই সব পিচ্চিপাচ্চি গুলো ভাবে ভাব -ভালোবাসা নিয়ে খালি তারাই ভাবে আর লেখে । নাও আমিও একটা লিখলাম )
২৩ জানুয়ারি
কোনো কোনো দিনটা থাকে ভূতে ধরার মতো। ভূত বলতে কিছু আছে নাকি! কিন্তু এই না-থাকা ভূতের অস্তিত্বটাই পাগলামির সীমাকে নিয়ে চলে বহু দূর। এই যেমন আজকে আমার একটা ভূতে ধরা দিন চলছে। ঠিক আজকে থেকে না গত দুই দিন আগে থেকে শুরু হয়েছে। যত সব মন খারাপ করা অদ্ভুত অদ্ভুত সব প্রশ্ন ,জিজ্ঞাসা এবং সিদ্ধান্ত এসে ভিড় করছে মনের মাঝে। লুকিয়ে লুকিয়ে চোখের পানি মুছেছি বহু বার। কিন্তু মাঝে মাঝে তো ইচ্ছে করে প্রিয় মানুষটা জিজ্ঞেস করুক কেন কাঁদছি! সে সব দেখে,দুই একবার হালকা ভাবে জানতে চায় কেন কাঁদছি কিন্তু জোর করে না জানার জন্য পাছে আমার নতুন কোনো পাগলামিতে তার প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে! আমিও বলতে চাই কিন্তু কান্নার দমকে শরীর কাঁপে,গলার আওয়াজ কেঁপে কেঁপে ওঠে কিন্তু আমার আর বলা হয়ে ওঠে না। হয়তো বলা হবে না আগামী কয়েকদিনেও কিংবা কখনো। আসলে সময়টা আমাকে বড্ড কাঁদাচ্ছে। টিপ টিপ করে প্যাঁচে প্যাচে ক্লান্তিহীন বৃষ্টি ঝরার মতো করে!
আরো কিছু লিখতে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু গলার কাছটায় অনেক ব্যথা জমে আছে। সবাইকে ছেড়ে একেবারে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। কোনো একদিন সত্যিই হয়তো হারিয়ে যাবো।
তুমি আমার জন্য একদিন এক দুপুরে কেঁদেছিলে আর আমি তারপর থেকে রোজ তোমার জন্য কেঁদে যাচ্ছি। তুমি কিছুই অনুভব করতে পারছ না!
১২ ফেব্রুয়ারি
টেলিপ্যাথি বলে কী সত্যিই কিছু আছে? যদিও একটি অবৈজ্ঞানিক ব্যাপারকে অনেকেই মানে আমার মতো গবেটরা বৈজ্ঞানিক কিছু বলে বিশ্বাস করে বা ভাবে। আমিও ভাবছি আজ রাতে তোমাকে সেভাবেই খুঁজবো! মাথাটা আমার একেবারেই গেছে, তাই তো ভাবছ? হাতের কাছে ফোন থাকতে টেলিপ্যাথি নিয়ে ভাবছি! হাহাহা
১৬ মার্চ
কী অদ্ভুত একটা ব্যাপার তোমার এতো এতো খুঁটিনাটি ব্যাপার আমার মনে থাকে অথচ তোমার জন্মদিন এলে এই দিনটি নিয়ে আমি খুব কনফিউজড হয়ে যাই ১৬ মার্চ না ১৬ জুলাই! রাগ বা অভিমান হয় না তো এজন্য ? জানি বলবে আমার মতো কথায় কথায় চোখ ভিজে ওঠে না তোমার বা গলা ভার হয় না। কী করবো বলো, আমি এমনই, ঢং বেশি! তুমি মাঝে মাঝে ঠিকই বলো তোমার নাম শ্রাবণ না হয়ে আমার নামটাই শ্রাবণ হওয়া দরকার ছিলো!
৩ জুলাই
আজ আমার জন্য এক শ্রেষ্ঠ দিন। জানি না তোমার কাছে কতো টুকু মানে রাখে এই দিনের আর এই তারিখটার কথা যে ভুলে যাবে না তারও গ্যারান্টি নেই আমি জানি। শ্রেষ্ঠ দিন দুই অর্থে – সুখ এবং অসুখ এর। সেটা কীভাবে আমি বলবো না, বলতে গেলেই শ্রাবণ জলে একাকার হবো!
১৫ অক্টোবর
তোমাকে আগেও বলেছিলাম যে কোনো ধরণের উৎসব এলে আমার খুব মন খারাপ থাকে জানি না এটা কীসের লক্ষণ! আশা করি এতদিনে বুঝে গেছো তোমার বৌয়ের মাথায় কিঞ্চিত সমস্যা আছে, ওয়ান কাইন্ড অব ক্র্যাক লেডি! এটা আমাদের কেমন সংসার বলো তো ? কেন রোজ রোজ তোমাকে কাছে পাই না ? ভেবেছিলাম আজকের দিনে তুমি অন্তত দেশে থাকবে আমার সাথে, আমার পাশে! তোমার কাছে প্যানপ্যানানি লাগে তবুও এই মুহূর্তে একটা গানের কথা মনে পড়ছে, বলো তো কোনটা ?
সখী, ভাবনা কাহারে বলে
সখী যাতনা কাহারে বলে
তোমরা যে বলো দিবস-রজনী
‘ভালোবাসা’ ‘ভালোবাসা’ সখী ভালোবাসা কারে কয় !
সে কি কেবলই যাতনাময়!
আমার কাছে তো এমনই মনে হচ্ছে এখন! উফফ পেইন আর পেইন !
অবশেষে “ তুমি “ ...
“ সুপ্রিয় তিলোত্তমা,
আমি কতোবার বলেছি আমি পারি না সবসময় নিজেকে প্রকাশ করতে। অনুভব কি শুধু ভাষায়ই প্রকাশ করতে হয়? তুমি সবসময় দুই লাইন বেশি বুঝে, উল্টাপাল্টা ভেবে অসুখ ডেকে আনো। বি হ্যাপি এন্ড স্মাইল অলওয়েজ, অ্যাম উইথ ইউ অল দ্য ওয়ে...
তোমার শ্রাবণ-জল”
জীবনের সবটাই তাহলে ব্যর্থতা নয়! বিবর্ণ পালের মতো কোথাও কোথাও জমিন ফেঁসে গেলেও চোখ বন্ধ করে হাত বাড়ানো যায় সামনে। দূরে দূরে থেকেও যে থাকে কাছে, সবকিছুর ভেতরে ও বাইরে নজর রেখেও কেউ কেউ হয় উদাসীন আর নীরব, সন্ধ্যার মেঘে সুপ্রিয় সঙ্গীতের মতো।