somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডুব - শেষ পর্ব

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্বের লিংক - Click This Link



আহ দিনটাই সুন্দর হইয়া গেলো। মাইয়াটার মোবাইল নাম্বার নিছি কিন্তু চলতি পথে নাম্বারটা সেভ করা হয় নাই। ওর নাম সানাম। আজকাই বাসে পরিচয় হইছিল সকালে। বউ এর লগে ফোনে খ্যাচখ্যাচ হওনের পর মেজাজ খারাপ কইরা তিন রাস্তার মোড়ে বাসের লিগা খাড়াইয়া আছিলাম। আজকা অন্যদিনের মত আগে বাসা থেইকা বাইর হইতে পারলে একটু কলেজ গেটেও সময় দেওন যাইত গার্লস কলেজের ঐখানে কিন্তু রাইতের ঘুমটা না হওনের কারণে সকাল সকাল উঠতে গা ম্যাজম্যাজ করতাছিলো। তারপরের হিস্টোরি লইয়া আর মাথা ঘামানির সময় আছিলো না। বিয়ার আগে শিউলি এমন প্যানপ্যাইন্যা আছিল না। আইচ্ছা বিয়ার পরেই কি প্রেমিকাগুলি এমন বোরিং হইয়া যায়! হালার সিগারেট ধরাইয়াও শান্তি পাইলাম না। তিন চার টান দিতে না দিতে বাস আইসা হাজির। আধাখাওয়া সিগারেটটা ফালাইতে শইলটা কচকচ করতাছিল। আজকা সামনের দিকের সিট ফাঁকা পাইয়া তাড়াতাড়ি ঐখানেই বইসা পড়ি। তারপর উঠলো কাশি।

এক্সকিউজ মী, পানি খাবেন?

এইটা শুইনা তাকাইয়া দেখি আমি এক মাইয়ার পাশেই বইছি। আবার দেখি সে আমারে পানিও সাধে। ততক্ষণে ঐ মাইয়া পানির বোতল আমার দিকে আগাইয়া দিছে। আমি সেইটা নিয়া ঢকঢক কইরা খাইতে গিয়া হুট কইরা মনে পড়ে - আরেহ শালা পানি তো এমনে গাবরের মতন খাওন যাইব না। ধীরে ধীরে সময় নিয়া খাইতে হইব আর কাশির দমকে দম দুম আটকাইয়া আইতাছে এমন ভাব করন লাগবো। তাইলেই না খেলা জমবো! পানি খাইয়া একটু ধাতস্থ হইতে দেখি পানির বোতলে হাল্কা লিপিস্টিকের দাগ। নিশ্চয়ই ঐ মাইয়ার ঠোঁটের লিপিস্টিক। মূহুর্তের মধ্যেই শইলটা চনমন কইরা উইঠা জানান দেয় গত রাইতের অসমাপ্ত অনুভূতি এখনো পুরাদমে সজাগ আছে। আমি এমনেই একটু মোটাসোটা। অবশ্য আমার এই নাদুসনুদুস শইলটা আমার ম্যাক্সিমাম বান্ধবীরাই খুব আদুইরা টাইপ মনে করে। আমার লোমশ ভরাট হাতটা যখন ওরা ওগো গায়ের সাথে লাগাইয়া চাপতে চাপতে কয় -

ফয়সাল তোমার হাত অনেক ম্যানলি!

আমার সারা শরীর ঝাঁকি মাইরা ওঠে আবেগে। আবেগ কইলে তো মনে হইব ভদ্র কোনো ভাষা। ঝাঁকিটা মারে কামনায়। তখন সব ওলটপালট কইরা মনে হয় হাতের কাছে যে আছে তারে পিষতে থাকি। ওহ নো! সকাল সকাল বাসে বইসা এই মাইয়ার পাশে বইসা এইটা কী ভাবতাছি! কিন্তু আমার চরম ভালো লাগতাছে। আমি আমার হাত পা আরেকটু রিলাক্স কইরা পা ছড়াইয়া বইসা মাথাটা পেছনের সীটে একটু এলাইয়া দেয়ার ভাব নিয়া চোখ বন্ধ কইরা রাখি। টের পাইতাছি মাইয়াটার পায়ে পায়ে আমার পা ঘষা লাগতাছে। এইরকম আরামদায়ক উষ্ণতা আমার হাতছাড়া করতে মন চাইলো না। আমি ঘাপটি মাইরা অপেক্ষা করতে থাকি ঐ মাইয়ার কাছ থেইকা ফারদার কোনো রেস্পন্স আসে কিনা!

- আপনার কি এখনো শরীরটা খারাপ লাগছে?

আমি চোখ খুইলা একটু সোজা হইয়া বসার চেষ্টা করি।
- আমাকে কিছু বলছেন ম্যাডাম?
- জ্বি। আপনি কি এখন একটু বেটার ফিল করছেন?
- হ্যাঁ এখন ঠিক আছি। মাইয়াটার পানির বোতল তখনো আমার হাতে রাখা। ঐদিকে তাকাইতেই মাইয়াটা আবার জিগাইলো -
- আপনি আরো পানি খাবেন?

শুইনা এইবার মাইয়াটারে ইচ্ছা কইরা দেখাইয়া দেখাইয়া আমার ঠোঁট পানির বোতলে লাগাইয়া আমি পানি খাই। মাইয়াটা কেমন মুচকাইয়া মুচকাইয়া হাসে, কিছু কয় না।

- সর‍্যি ম্যাডাম আপনার সব পানি শেষ করে ফেললাম। আমি পানির বোতলটা ওর দিকে আগাইয়া ধরি।
- সানাম। আমাকে ম্যাডাম না বলে সানাম বলতে পারেন। আপনি?

তারপর শুরু হইলো আমার গল্পের ঝাঁপি। যখন হুঁশ হইলো তখন দেখি আমি আমার স্টপেজ ছাড়াইয়া অনেকদূর আগাইয়া আসছি। সানামরে দাঁড়াইতে দেইখা অবাক হইয়া তাকাতেই ও কয় -

- আমি চলে এসেছি। নামবো। আপনি?
আমি একটু বোকার মতো হাইসা কই - আমিও নামবো। চলুন।

বাসের থিকা নামনের পর খেয়াল করতাছি সানাম খালি মুচকি হাসি হাসতাছে। না পাইরা জিগাইলাম -
- হাসছেন কেন?
- আপনার তো আরো আগে নামার কথা ছিল। এখন আমার সাথে যাবেন নাকি?
- আপনার সমস্যা না হলে যেতে পারি। আসলে গল্পে গল্পে কীভাবে যে মিস করে ফেললাম!
- হুম

ভাবছিলাম সানাম বাস থেইকা নাইমা আবার রিকশা নিবো। তাইলে আরেকটু ওর টাচ পাওন যাইত। কিন্তু এই মাইয়া কয় বাসা নাকি কাছেই। হাঁটা দূরত্বে। ফোন নাম্বার আদানপ্রদান কইরা অফিসে ঢুকতে ঢুকতে দুই ঘণ্টা লোপাট! মাইয়াগো লগে থাকলে সময় ক্যামনে যে এত তাড়াতাড়ি যায়! অনেক ফুরফুরা ফিলিংস নিয়া আমি আমার অফিসের খোঁয়াড়ে ফেরত আসি।

এখন যদি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ না কইরা সানামরে লইয়া ভাবি তাইলে হাবীব স্যারের চিল্লানির চোটে থাকন যাইব না। বিকালে বিড়ি খাইতে গেলে ঐ ফাঁকে সানামরে একটা ফোন দিমুনে।

এখন যাও ভাবলাম কাজ করুম কিন্তু শবনমের ফোনের জ্বালায় বাঁচলাম না। কয়দিন আগেও শবনমের ফোন আসলে ভাল্লাগতো, আমিও ফোন করতাম। শবনম আমার প্রাক্তন প্রেমিকা। শিউলির লগে প্রেম হওনের আগে শবনমের লগে প্রেম হয়। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালী এক নেতার ভাগ্নি বইলা ওর মামাগো হুমকিধামকিতে বেশিদিন প্রেম করতে পারি নাই। কিন্তু যতদিনই করছি সেইটা আছিলো এক উত্থাপাথাল প্রেম। এরপর ওর মামাগো চাপ খাইয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে শবনমরে ফোন দিয়া কইছি -

যাইই করছি ভুইল্যা যাইও। আসলে তোমার লগে এতদিন টাইম পাস করছি। তোমারে আমার পক্ষে বিয়া করন সম্ভব না।

ফোনের ঐ পাড়ে গিয়া যদিও দেখন সম্ভব না শবনমের চেহারার রিয়েকশন কিন্তু আমি ভালই বুঝতে পারছিলাম কী হইতে পারে ঐ রিয়েকশন। কিন্তু আমি কী করুম, পুরাই নিরুপায় আছিলাম যে। ওর মামার গুন্ডারা আমার মাথায় পিস্তল ঠেকায় রাখছিল। মাত্র কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। পিস্তল দেইখা তো কলিজা চিপ দিতাছিল। কীয়ের প্রেম ভালোবাসা। যাই হোক, একদিন শুনি শবনম আমার উপ্রে জিদ কইরা বিয়া কইরা ফালাইছে। আর কইয়া পাঠাইছে আমার মতো ফালতু পোলার লগে সম্পর্ক কইরা যে ভুল করছিল এখন ফ্যামিলির পছন্দের পোলারে বিয়া কইরা ঐ ভুল শোধরাইবো। সত্যি বলতে কী শবনম আমারে রাইখা কাউরে বিয়া কইরা ফেলতে পারে আমার ভাবনায় আছিলো না। শবনমের শোক ভুলতে শিউলির দিকে মন দিলাম। পরে জানলাম শিউলিও আমারে মনে মনে ভালোবাসতো। এত ভালোবাসা লইয়া যে কই যাই! শেষমেশ বিয়াই কইরা ফালাইলাম। কিন্তু এত বছর পর শবনম আবার কইত্থে ভুস কইরা জাইগা উঠলো। আমি আবারো ওর লগে জড়ায় গেলাম। কিন্তু আগেরবারের চেয়ে এই জড়ানি অন্য রকম।

প্রথম প্রথম শবনমের বন্ধুবান্ধবের বাসায় গিয়া ডেট মারতাম যদিও মন ভরতো না। আমারো না শবনমেরও না। এরপর আমরা অনেক সাহসী হইয়া উঠলাম। সাহসী বলতে দুঃসাহসী আর আমরা বলতে মূলত শবনম। ওর জামাই অফিস ট্যুরে বাইরে গেলে ওর বাসাতেই শুরু করলাম আমাগো গোপন প্রেম। মিথ্যা কমু না শবনমরে নিবিড় কইরা পাইতে ভালোই লাগতো। আমি খালি একটাই অনুরোধ করছিলাম আমি বাসায় ফিরনের পর জানি ও আমারে ফোন না দেয়। শুরুর দিকে মাইন্যা নিলেও পরবর্তীতে ও শিউলিরে সহ্যই করতে পারতো না। খালি চাপ দিতে শুরু করলো শিউলিরে যাতে ডিভোর্স দেই। এইটা শুনলেই আমার মেজাজ খারাপ হইয়া যাইতো। আরে ভাই তুইও আমার লগে এঞ্জয় করতাছস আমিও করতাছি , এর মধ্যে কীয়ের বিয়াশাদি বালের প্যাঁচাল পারস। আমি এই কারণে যোগাযোগ কমাইতে চাইলেই অন্য হুমকি দেওন শুরু করলো। মাঝে মাঝে মন চাইতো দেই মুখ খারাপ কইরা গালি। বাসায় ফিরলে দেখি মেসেজ দেয়, ভাইবারে, ম্যাসেঞ্জারে ফোন দেয়। শুধু তাইই না ভিডিও কল দিয়া বারবার নিশ্চিত হইতে চায় আমি শিউলির লগে আন্তরিক সম্পর্ক কাটাইতাছি কিনা। কত কসম টসম কাইটা ওরে কইতাম আমার আর শিউলির কাল্পনিক ঝগড়াঝাঁটির কথা। শিউলি রান্ধে নাই ঝগড়া কইরা, খিদার কষ্টে আছি, এক বিছানায় শুইলেও শিউলির দিক থেইকা পেছন ফিরা শুই। কিন্তু এইটাই চরম সত্যি ঐ সময়েই শিউলির লগে আমার বেশি বেশি সেক্স হইতো, মানসিক একটা দূরত্বও বাড়ছিলো শবনমের কারণে, ঐ দূরত্বও কইমা আসছিলো। আর শবনম প্রায় দিনই দুপুরে বা সন্ধ্যায় আমার লিগা রাইন্ধা বাইড়া খাবার লইয়া আসতো। তারপর বাইরে গিয়া দেখা কইরা ঐ খাওনদাওন খাইতে হইত। এইরকম খাওনদাওন মাঝে মাঝে ভাল্লাগে রোজ রোজ এইসব খাওন আমার পোষায় না।

আমি পুরাই হাঁপাইয়া উঠলাম শবনমের এই ভৌতিক ভালোবাসায়। এত্তো সুযোগসন্ধানী মাইয়াটা, ওর জামাই বাসায় না থাকলেই আমারে নানান বাহানা কইরা ডাকতো। যাইতে না চাইলে সুইসাইড করনের হুমকিধামকি দিয়া নিয়া যাইতো। তারপর ঐ কান্দন, বালের প্যাঁচাল -

কবে বিয়া করবা, কবে বিয়া করবা!

তখন নানান সান্ত্বনা, নানান কিছু দিয়া বুঝাইয়া শেষ পর্যন্ত ঐ সেক্সে যাইয়া থামতো। একদিন আমারে অয় অনেক ন্যুড ছবি দিছিল ভাইবারে। আমি তো দেইখা টেইখ্যা সব ডিলিট কইরা দিছিলাম কিন্তু ক্যামনে জানি ওর জামাই ওর মোবাইল থেইকা সব দেইখা ফেলছিল। মনে হয় ডিলিট করে নাই কিংবা ইচ্ছা কইরাই রাইখা দিছিল যাতে আমারে ফাঁসাইতে পারে। এমনেও ওর পাগলামির কারণে ওর জামাই জানতো আমার লগে ওর আগে সম্পর্ক আছিল। একদিন ওর জামাই ফোন দিয়া কইলো-

ভাই, আপনার আমানত অনেকদিন তো রাখলাম। আমি মনে হয় ভালো দেখভাল করতে পারি না। এইবার আপনি তাকে নেয়ার ব্যবস্থা করেন। তাকে তার বাপের বাড়িতে রেখে আসছি।

আমার তো শুইনা গলাটলা শুকায় গেলো। এরপর থেইকা শবনম আমারে পুরাদমে চাপ দেওন শুরু করলো ওরে যাতে বিয়া করি। আমি ওরে ফেসবুকে ব্লক কইরা দিলাম, ওর ফোন রিসিভ করা বন্ধ কইরা দিলাম ঠিকই কিন্তু শুরু করলাম আরেক আতংকিত জীবন। আমি রাত জাইগা থাকি ও সেইটা জানে। কখন যে ঠুসঠাস একটা ছবি পাঠায় দিব নাইলে পাগলের মতো মেসেজ দিতে থাকবো, পুরাই পেইন একটা। এখন এইটারে ছাড়াইতে পারলেই বাঁচি। কয়দিন আগে তো এক্সিডেন্ট হইতে হইতে বাইচ্যা গেছি। শিউলি ডাইনিং এ কী জানি কাজ করতাছিল, আমি বেড রুমে শুইয়া শুইয়া চ্যাট করতাছিলাম, তারপর কখন যে ঘুমাইয়া গেছি কইতে পারুম না। ঘুমের মধ্যেই ক্যান জানি মনে হইতাছিলো কালা রঙ এর বিশাল একটা কিছু আমার উপ্রে আইসা পড়তাছে আর একই লগে খুব হাল্কা কইরা আমার হাতের মুঠি ফস্কাইয়া কিছু বাইর হইয়া যাইতাছে। আমি হুড়মুড় কইরা চিল্লান দিয়া বিছানায় উইঠা বসি শোয়া অবস্থা থেইকা। চোখ খুইল্যা দেখি শিউলি আমার দিকে ঝুইকা ছিল। আমি পাগলের মতো আতিপাতি কইরা আমার মোবাইল খুঁজি। শিউলি আমারে ধইরা ঝাক্কাইতে থাকে -

- আরে কী হইছে, এমন পাগলের মতো করতেছ কেন? এই ফয়সাল এই ...

ঐদিনই আমি ঠিক করছি এই মোবাইল বদলাইতে হইব। ভালো সিকিউরিটি সিস্টেম কইরা মোবাইল সেফ সাইডে রাখতে হইবো। কখন কোন বিপদ আইয়া হাজির হইবো ঠিক আছেনি! অফিস থেইকা লোন নিয়া একটা দামী দেইখা মোবাইল অবশেষে কিনছিও। কিন্তু এই শবনম মাইয়াটা নিত্যনতুন নাম্বার দিয়া খুব জ্বালাইতাছে। কী যে করি! মাথায় বুদ্ধি আহে অফিসের তানিয়া আপারে দিয়া যদি শবনমের ফোন ধরাইতে পারি তাইলে কেমন হয়! কিন্তু উনার কাছে যাইয়া রিকোয়েস্ট করতে হইলে পুরা কাহিনী খুইল্যা কইতে হইবো। সেইটা না হয় কইলাম কিন্তু আমি যে উনারে বিশেষ চোখে দেখি আর যে টুকটাক চান্স লওনের চেষ্টা করি তার কী হইবো! এইতো কিছুদিন আগে অফিসের সব কলিগরা মিল্যা বাইরে গেছিলাম ডিনারে। অনেক ব্রেইন খাটাইয়া অন্য ব্যাটা কলিগগো সাইডে চাপাইয়া আমি ঠিকই তানিয়া আপার লগে রিকশায় উঠি। এমনিতে উনি সারাক্ষণ বিরক্ত হইয়া থাকলেও ঐদিন উনার মুড মনে হয় ভালো আছিলো। কেমন গুনগুন কইরা গান গাইতাছিল। আমি একটু ঝুইকা তার কাছের কাছ আইসা শুননের চেষ্টা করলাম কিন্তু আশ্চর্য বিষয় সে ক্ষেইপা উঠলো না। কইলো -

- ফয়সাল, ভালো হয়ে যান। আপনি অনেক দুষ্টু

উনি এত সুন্দর কইরা দুষ্টু কথাটা কইলো না আমার গা কেমন কাইপা কাইপা উঠলো। কেমন জানি আহবানের মতো লাগলো। সুযোগ পাইয়া আমিও কইলাম -

- আচ্ছা এই যে সারাক্ষণ তুমি এত রাগী রাগী হয়ে থাকো, বাসায়ও কি একই বিহেভিয়র দেখাও? তোমার হাসব্যান্ড কিছু বলে না?
- এই আপনাকে না বলেছি আমাকে আপনি করে বলবেন?
যদিও সে এই কথাটা কইলো কিন্তু কথায় কোনো রাগ বা ঝাঁঝ কিছুই আছিল না।
- বলো না, ভাইয়া রাগ হয় না তোমার এই রাগী রাগী ভাব দেখে? সারাক্ষণ এত রেগে থাকো কেন তুমি?
- ভাইয়া বলতে কোনো অস্তিত্ব থাকলে তো!

এই কথা শুইনা আমার কলিজাটা দুই হাত বড় হইয়া যায় মনে হয়। গত এক বছর ধইরা এমন আগুনের গোলা নিয়া অফিস করতাছি কিন্তু তার এত পারসোনাল খবরটাই জানতাম না। আমিও গুনগুন কইরা গান গাইতে থাকি ।

- কোন গান গাচ্ছেন, শুনি? আপনার গানের গোলা তো ভালোই

আমি তোমার মনের ভিতর, একবার ঘুরে আসতে চাই...

তানিয়া আপা মাথায় দোলায় আর বলে - হুমম।

উনার এই ফুরফুরা মুডে আমার আর ইচ্ছা করলো না শবনমের কথা তুলি আর আমার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার পথটা বন্ধ কইরা দেই। কিন্তু কপালের কি ফের তখনই শুচিস্মিতার নামটা মোবাইলে জ্বলজ্বল কইরা ভাইসা ওঠে। তানিয়া আপা হা হা হা কইরা হাইসা ওঠে।

আজকা অফিসে একে তো আসছি অনেক লেট কইরা, তার উপর কোন কাজ গুছাইতে পারি নাই। লগে আছে মাথায় সানামের চিন্তা আর বোনাস হিসাবে অফিসের স্টাফ হাফিজ্যার রহস্যময় হাসি। কাজে মন বসাইতে পারি না আসলে। ভেতরটা ছটফট করতে থাকে। চেয়ারের পেছন দিয়া আইসা হুট কইরা সায়মন ভাই পিঠে হালকা চাপড় মাইরা কয় -

- কী বড় ভাই সব ঠিকঠাক আছে তো! ভালোই ফূর্তিতে আছো হ্যাঁ! বইলা পাশের চেয়ারটা টাইনা আমার এইখানে বইসা পড়ে।

বাল এখন আইছে ভ্যাজর ভ্যাজর করতে, আমার কামের বারোটা বাজাইব।

- না ভাই, দেখেন না কাজের কত লোড! শেষই হয় না
- হুম পাখি শিকারে ব্যস্ত থাকলে এমনই মনে হবে কাজ শেষ হয় না। হা হা হা
- ধুর ভাই কী যে বলেন না!
- হুম দেখলাম তো মহিলা কলেজের সামনে সেদিন

সায়মন ভাইয়ের কথা শুইনা কেমন জানি একটু নার্ভাস নার্ভাস লাগে। কিন্তু আমি তার দিকে তাকাই না। কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে শক্ত হইয়া তাকাইয়া কাজ করতে থাকি। জিগাই -

- চা খাইবেন ভাই
- নাহ, মধু খাওয়ান পারলে

বইলা হা হা কইরা হাসতে হাসতে সে উইঠা যায়। আমার রাশি খারাপ যাইতাছে নাকি ইদানীং! জায়গায় জায়গায় দেখি কট খাইতাছি। শুচিস্মিতার লগে পরিচয় মহিলা কলেজের সামনেই। ঐ কলেজেই পড়ে অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে। কিন্তু এর মধ্যে তো শুচিস্মিতার লগে দেখা করি নাই। দেখা করি নাই মানে কলেজের কাছেই একটা ফাস্ট ফুডের দোকান আছে। ঐখানে খাড়াইয়া লাচ্ছি খাইছি। ভাবখানা এমন আছিলো যদি শুচিস্মিতার লগে দেখা হয় তাইলে বুঝামু ওর লিগ্যাই খাড়াইয়া আছি আর দেখা না হইলে তো অন্যরা আছেই। ফাস্ট ফুডের দোকানটা এসিই কিন্তু ভিত্রে বইলে তো সকাল সকাল যেসব সুন্দরী মাইয়া গুলি যায় আসে কলেজে, ওগো তো দেখতে পারুম না। মাইয়াগুলির ভিত্রে এত আনন্দ কই থেইকা আসে কে জানে! যখনই দেখি সারাক্ষণই হাহাহিহি কইরা হাসতেই আছে। আজকালকার মাইয়াগুলি অনেক স্মার্ট। ওরা বয়সে আমার কত্তো ছোট কিন্তু এইটা জানি কোনো বিষয়ই না। আমার কাছেও বিষয় না। টাংকি মারনের লাইগা ছোট ছোট মাইয়াই ভালো। এই বয়সেই মাত্র ওগো শরীর জাগতে থাকে, পুরা শরীর জানি কেমন ঝলমল করে। আমি মুগ্ধ হইয়া দেখি। এখন কোনো মাইয়া দেইখাই কইতে পারি কোনজন ফ্রেশ আর কোনজন ইউজড।

এই একটা কাজে আমি কখনোই ক্লান্তি বোধ করি না। মাইয়া মানুষ পুরা বিষয়টাই অনেক গোলমাইল্যা আর রহস্যে ঘেরা। আমারে দেইখা কেউ কোনোদিন কইবো না আমি খারাপ বা লুইচ্চা টাইপ, বদমাইশ। আমার চেহারা, চালচলন এত মার্জিত কেউ চিন্তা করার সাহসই পাইব না আমারে নিয়া খারাপ কিছু ভাবার। আর ভালো ছাত্র হওনের সুবাদে চোখে স্টুডেন্ট লাইফ থেইকাই চশমা লাগাইছি। আমার কথা শুইন্যা আমারে কেউ কেউ অনেক খারাপ কইতে পারে কিন্তু আমি আসলে অত খারাপ না। আমি যদি খারাপই হইতাম তাইলে কি আমার বউ এতদিন থাকতো আমার লগে! প্রায় দিনই সকাল সকাল বাসা থেইকা বাইর হই অফিসে যাওনের উদ্দেশ্যে। বউ ভাবে, আহারে আমার জামাইটা কত সকালে বাসা থেইকা বের হইয়া যাইতাছে। নাস্তাপানি চাওনের আগেই সব হাজির কইরা দেয়। আমি একটু আগে ভাগে বাইর হই যাতে মহিলা কলেজের সামনে সময়টা কিছুক্ষণ কাটাইয়া যাইতে পারি। মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ খাড়াই তারপর টেম্পোতে কইরা অফিসের কাছাকাছি আইসা নাইমা যাই। ভাগ্য বলা যায় ভালোই, কলেজের সামনেই টেম্পো স্ট্যান্ড আছে, তাই ঐখানে খাড়াইলেও আমারে নিয়া উল্টাপাল্টা ভাবনের কোনো সুযোগ নাই। আমি টেম্পোতে উঠলে কায়দা কইরা মাঝখানে বসি। সে সময় কোনো কোনো মাইয়াও উঠে কোচিং শেষ কইরা বাইর হইছে এমন। আমি খুব কেয়ারিং এমন ভাব ধইরা কোনো মাইয়া উঠলে তারে ভেতরে বসতে দেই। অন্য লোকেরা চাপাচাপি করলে, ধাক্কাধাক্কি করলে বিরক্তি দেখাই, এতে কইরা পাশে বসা মাইয়ারা খুশীই হয়। তখন তাগো গায়ে হাত, পা লাগলেও কিছু কয় না উল্টা সেফ মনে করে। অফিসের আরেক কলিগ কাম বন্ধু শোয়েব কয়েকবার আমারে দেইখা ফেলছিল টেম্পোতে কইরা যাইতে। প্রথম অবাকই হইছে বাস, রিকশা বাদ দিয়া আমি টেম্পোতে কেন যাই। পরে একদিন কয় -

হালার ভাই, যখন যেমনে পারতাছস খালি মজাই লইতাছস। ভাবী জানে? দিমুনে একদিন কইয়া।

শোয়েবরে দিয়া বিশ্বাস নাই, কোনোদিন কোন আকাম কইরা আমারে শিউলির কাছে ফাঁসাইয়া দিবো। এই লাইগ্যাই মাঝে মাঝে অফিস থেইকা একলগে বাইর হইলে শালারপুতরে কাবাব, লুচি, পরোটা একেকদিন একেকটা খাওয়াই। শিউলিরে আবার ধর্মের বইন বানাইছে। যখন শোয়েইব্যা বাসায় আসে এমন ভাব ধরে আমি ওর কোনোকালের দোস্তবন্ধু আছিলামই না, শিউলির মাধ্যমেই ওর লগে আমার পরিচয়। শালায় আমারে চিপায় ফালাইয়া সবসময় সুবিধা লইতে চায়।

সব কাজকাম শেষ কইরা আজকা অফিস থেইকা বাইর হইতে হইতে একটু দেরীই হইয়া যায়। সানাম মাইয়াটা এই পর্যন্ত দুইটা এসএমএসও পাঠাইছে। আমি খালি লেখতে পারছি - প্লিজ ওয়েট! কিন্তু শবনমের ফোনের জ্বালায় ফোন সাইলেন্ট কইরা রাখছিলাম। মোবাইল হাতে নিয়া দেখি বিভিন্ন নাম্বার থেইকা ফোন আর ফোন। ভাইবারের মেসেজের কথা তো বাদই দিলাম। আমি ইচ্ছা কইরাই শবনমের কোনো মেসেজ সীন করি না। শিউলিরেও কল ব্যাক করি না। সানামরে ফোন দেই -

- সর‍্যি অনেক লেট হলো তোমাকে ফোন করতে। কী অবস্থা?
- ইটস ওকে। এই তো চলছে ভালোই!
- ওহ শীট আপনাকে তুমি বলে ফেলেছি; সো সর‍্যি ডিয়ার
- তুমি শুনতেই তো ভালো লাগছিলো।

সানামের হাসি শুনতে ভালোই লাগতাছে। সারাদিনের কাজের স্ট্রেস, নানান ঝামেলা সব আস্তে আস্তে মনে হয় দূর হইয়া যাইতাছে। বাসার কাছাকাছি চইলা আসতেই ওরে জানাই এখন ফোন রাখতে হইব, বাসায় ঢুকুম।

- পরে আমরা কী আবার কথা বলতে পারি? অথবা মেসেজ?

ওরে আর কইতে মন চায় না আমি যে সিংগেল না। কইলে যদি পাখি উড়াল দেয়! কয়দিন মজা নিয়া বিশ্বাস আদায় কইরা না হয় কমুনে। তাই আমিও রহস্যময় গলায় ওরে জানাই -

নাইট ইজ স্টিল ইয়াং ডিয়ার!

ঘরে ঢুকতেই শিউলির মুখ ঝামটা খাই।

- কী এত ব্যস্ততা যে ফোন ধরণের সময় পাও না, ফোন করনেরও সময় হয় না তোমার? এক ঘণ্টা ধইরা ফোন করতেছি, খালি ওয়েটিং আর ওয়েটিং! ঘরে তো বউ পোলাপান আছে নাকি? এখনো নিজেরে ব্যাচেলর মনে করো? বয়স বাড়ে না তোমার? এক ঘণ্টা ধইরা কার লগে এত গল্প আজকা আমি দেখুম

- ধুর মাত্রই ঘরে ঢুকছি। বালের প্যাঁচাল শুরু করছে। খাইতে দ্যাও, খিদা লাগছে

ড্রয়িং রুমের সোফায় বইসা জুতামোজা খুলতে থাকি। পাশের সোফায় একমাত্র শ্যালিকা রত্না মুচকি মুচকি হাসে আর তার পোলারে ভাত খাওয়ায়। রত্নার হাসিটা দেইখা আমার গা জ্বলে। ভুটকি একটা। জামাইয়ের লগে ডিভোর্স হওনের পর আমাগো বাসাতেই থাকে। রত্নার দিকে আর চোখ দেই নাই যদিও অনেক সুযোগ আছিলো। কিন্তু ওরে ক্যান জানি পছন্দ হয় নাই। রত্নাও আমার লগে চান্স যে লয় নাই তা না। একদিন তো শাওয়ার শেষে রুমের ঢুইকা মহা ফাঁপরে পইড়া গেছি। আমাগো বেড রুমে আইসা ও জামা বদলাইতাছিল। এইটা তো আর আমার জাননের কথা না। আমারে বাথরুম থেইকা বের হইতে দেইখা দিছে এক চিল্লানি। ওর চিল্লানি শুইন্যা আমার তোয়ালে কোমর থেইকা খুইলা যাওনের দশা। শিউলি কিচেনে আছিলো দেইখ্যা ঐ বার কোনো জবাবদিহিতার মইধ্যে পড়ি নাই।

- ঐ তুই হাসস ক্যান? আমি বিরক্ত হইয়া রত্নারে জিগাই।
- দিবো আজকা রাইতে ছ্যাচা।
- আমি ছ্যাচা খাইলে তোর কী!
- আমার সুখ। আমি না দিতে পারি কেউ তো পারে আপনারে ছ্যাচা দিতে। হি হি হি

রাত্রে খাইয়াদাইয়া বিছানায় যাওনের পর আর ইচ্ছা করে না শিউলির রাগ ভাঙ্গাই। কিন্তু ওরে ম্যানেজ না করলে আমার মোবাইল নিয়া ঘাটাঘাটি করতে চাইবো, পিন নাম্বার নিয়া ছাড়বো মোবাইলের। বালিশে হেলান দিয়া ঝিম মাইরা পইড়া থাকি। আমি যদি লুতুপুতু ব্যবহার করি, শিউলিরে সাধাসাধি কইরা রাগ ভাঙাইতে যাই, আমার লগে পার্ট লইবো। এর চেয়ে ভালো আমি মুড ধইরা বইসা থাকি। কিন্তু শিউলি এমন চেইত্যা উঠলো ক্যান এইটাই মাথায় ধরতাছে না। শিউলি কী কিছু টের পাইলো! শবনম খুব জ্বালাইতাছে। কখন কোন নাম্বার দিয়া যে ফোন আর মেসেজ দিয়া বসবো ঠিক নাই। ঐ টেনশনে আমার গলার কাছে মনে হয় খাওন আইসা আটকাইয়া রইছে। আরেকটা গোপন সিম নিতেই হইবো এইবার আর সব ফোন, মেসেজ ঘরে ঢুকার আগেই সাইরা আসতে হইবো। আমি মোবাইল থেইকা সানাম আর শবনমের সব মেসেজ বইসা বইসা কল লিস্ট থেইকা ডিলিট করি। যে কয়টা নাম্বার সন্দেহজনক মনে হয় ব্লকও করি। নেট লাইন অফ কইরা দেই ফাইনালি।

শিউলি গোসল সাইরা মাত্রই রুমে ঢুকলো। ওরে দেইখা আমার বুক ঢিপঢিপ করে। তোয়ালে দিয়া ও চুল মুছতাছে। ফ্যানের বাতাসে শ্যাম্পুর গন্ধ পাইতাছি। আজকা এই ঘরে আমার মাইয়াটারে দেখতাছি না। ওরে মনে হয় রত্নার ঘরে দিয়া আসছে শিউলি। তার মানে কী ও আজকা আমারে চাইতাছে! মাইয়া মাইনসের মন বাবা বুঝি না। ঘরে ঢুকতেই না ঝগড়াটা করলো আর ভিত্রে ভিত্রে তো ঠিকই ... শিউলির আকাশী রঙের নাইটির ভিতর দিয়া ওর শরীরের ভাঁজ, অন্তর্বাস সব দেখা যাইতাছে। আমারও শরীরটা ঝিমঝিম করে। গতরাইতের অসমাপ্ত কাজটা সমাপ্ত করন দরকার। শিউলির চেহারায় কোনো রাগী রাগী ভাব নাই অবশ্য। আমিও অপেক্ষা করতে থাকি দেখি ও কী করে। আমি কপালের উপ্রে হাত দিয়া চোখ বন্ধ কইরা রাখি, ওরে বুঝাইতে চাই আলোর লাইগা আমার সমস্যা হইতাছে। একটু পর খুঁট কইরা শুনি লাইট নিভানের শব্দ। শিউলি যদি খাউ খাউ কইরা আরেক চোট ঝগড়া কইরা নিতো টেনশনমুক্ত হইতে পারতাম। কিন্তু ও কী রহস্য শুরু কইরা দিছে। বিছানায় আইসা ঘাপটি মাইরা পইড়া রইছে। ভয়ে ভয়ে হইলেও শিউলির গায়ে হাত রাখি। দেখি ঝামটা মাইরা আর সরায় দিলো না।

- ফয়সাল তুমি কী বুঝতে পারতেছ তুমি অনেক বদলায় গেছো? ঠিক কেমন জানি তোমার ঘরসংসার , আমার প্রতি একটা আলগা আলগা ভাব!

- ধুর কী যে বলো না! আমার ভালোবাসাটা তুমি কী কিছুই বুঝো না! যাইই করি দিনশেষে তো তোমার বুকেই ফির‍্যা আসি। আর তুমি ছাড়া অন্য কোনো মাইয়ার কথা আমার স্বপ্নে দূরের কথা, মনেও আসে না।

বইলা আমি গলার আওয়াজটা বিষণ্ণ কইরা একটা বড় দীর্ঘনিঃশ্বাস ফালাই। শিউলির গা থেইকা হাত সরাইয়া দূরে সইরা শুই। আর তাতেই কাজ হয়। শিউলি আমার কাছে আগাইয়া আসে আর ঐ সময়েই ঘরের অন্ধকার সইরা গিয়া মোবাইলের আলোটা জ্বলজ্বল কইরা ওঠে। আমি শিউলিরে কিছু কওনের সুযোগ না দিয়া মোবাইলটা বিছানার সাইড টেবিলে উল্টাইয়া দিয়া এক আদিম উন্মত্ততায় ওরে নিয়া ডুব দেই।



সমাপ্ত

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৭
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×