কয়েকদিন থেকে আমার ব্লগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে । এই কারণে আমি এখন পর্যন্ত কোন কমেন্টের রিপ্লাই দিতে পারছি না ।
খালামনি বলছে, আমি যখন বড় হবো তখন কমেন্টগুলোর রিপ্লাই দিলে ভাল হবে । আমি নাকি অনেক মজাও পাবো । ছোট খালামনি বলছে, এখন যারা কমেন্ট করেছেন তারা যদি আমার বড়বেলায় না থাকেন তাহলে আমি বড় হয়ে রিপ্লাই দিয়ে সেরকম মজা পাবো না । আর ওদিকে ছোট নানু বলছেন, এখনই রিপ্লাই দেয়া উচিত
আবার, আমার এই ব্লগটার একসেস আমি কবে পাবো সেটা নিয়েও নানুরা, খালামনিরা অনেক চিন্তাশীল(!) কথাবার্তা বলাবলি করছেন । খালামনি বলছে, আমার ১৯তম জন্মদিনে এই ব্লগটা আমাকে গিফট হিসেবে দেয়া হবে । নিঃসন্দেহে আমার জন্য এটা একটা বড় ধরণের চমক হবে । ছোট খালামনি বলছে, আমি লিখতে পারলেই আমাকে একসেস দেয়া উচিত । ছোট নানু বলছেন, আমি বড় হয়ে গেলে টেকনোলজি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাও ভাববার বিষয় । কথাটাকে ছোট খালামনি লুফে নিয়ে বলল, তখন দেখা যাবে যে, মহাজুবাহ অন্য কোন গ্রহে বসবাস করছে আর সেখান থেকে সামহোয়্যারইন একসেস করা যায় না । অথবা টেকনোলজি এরকম হয়ে যেতে পারে যে এরকম ব্লগ লেখালেখি করাটা যাদুঘরে রাখার মত বিষয় হয়ে যাবে । গিফট হিসেবে ব্লগটা ওল্ড গিফট হয়ে যাবে ।
তখন আমার খালামনিরও মনে হল, এমন টেকনোলজিও তো আসতে পারে যেটা দিয়ে ব্রেইনের সব আনরিড মেমরি রিড করা যাবে, এমনকি ভিজুয়ালাইজও করা যাবে । এই ব্লগটায় যেভাবে লিখা হয়েছে তার চেয়ে অনেক পারফেক্ট ইনফরমেশন আমি পেয়ে যেতে পারি । তখন আমাকে ব্লগটা খুব একটা না টানতেও পারে । এই তো সেদিনই খালামনি একটা ভিডিও দেখে কি আশ্চর্য হয়েছিল!
আমি অবশ্য আশ্চর্য হয়নি । আমি এখনো আশ্চর্য হতে পারি না । পৃথিবীর সবকিছুকে আমার খাবার মনে হয় । নানুমনির গাল, খালামনির নাক, আমার জামার কোনা... এমনকি আমার হাতের আঙুলগুলোকেও খাবার মনে হয় । :#>
আমার খালামনি বলছে, ১৯ বছরে এতকিছু চেঞ্জ হবে না । ওদিকে ছোটখালামনি বলছে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি । এভাবে চেঞ্জ না হলেও চেঞ্জ হবেই । তখন খালামনির মনে হল, পুরো পৃথিবী চেঞ্জ হলেও ফিলিংস চেঞ্জ হবে না । এই ব্লগটার পেছনে কতটা ভালবাসা কাজ করছিল এটা আমি ঠিকই বুঝতে পারবো ।
খালামনিরা কবে যে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারবে....
এখন আমার হাই উঠছে... :-<

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




