দুপুরের আহার শেষ করিয়া দাওয়ায় বসিয়া ঈশ্বর মহাশয় ঝিমাইতেছিলেন এমন সময় হিমুবাঈ হাতে একখানা প্লেকার্ড লইয়া ঈশ্বরের বৈঠকখানায় প্রবেশ করিল, তাহাতে লেখা "মুছার ফাসি চাই আর ফারজানকে চাই"
ঈশ্বর মনে মনে প্রবাদ গুনিলেন আবার কি মামাবাড়ীর আবদার লইয়া আসিল পাগলটা। পাছে আবার পাগলামী আরও বাড়িয়া যায় এই ভয়ে হাসি হাসি মুখ লইয়া জিগাইল "কিহে হিমু কাহিনী কি"??
হিমুবাঈ কুন কথা না বলিয়া গলায় ঝুলানো বাশিতে ফু দিল আর সাথে লাইন করিয়া ধূগবাঈ, হাষিববাঈ আর প্রাকৃতিক কাজে উস্তাদ পিপিবাঈ বৈঠকখানায় ঢুকিয়া বজ্রমুষ্ঠি তুলিয়া রোল তুলিল মুছার ফাসি চাই!!
ঈশ্বর শুধাইল তুমরা ফারজানকে চাও না। হিমুবাঈ বাদে সবাই ডানে-বামে মাথা নাড়াইয়া কহিল হ্যা চাই!!
ঈশ্বর বুঝিলেন পাগলটার সামনে ওরাও আর কিছু বলিবে না। তখন হিমুকে শুধাইল মূছার ফাসি কেন চাও?
হিমুবাঈ: আমি জর্মান দেশে শুয়ার খাইয়া শক্তি সঞ্চয় করিয়াও হিমালয় চরিতে পারিলাম না আর কুথাকার কুন বাঙ্গাল ভাত খাইয়াই বলে হিমালয় জয় করিয়া আসিয়াছে। আমি মানি না। সাথে সাথে বাকী তিন চেলাও চিক্কুর দিয়া কহিল মানি না!! মানব না!!
ঈশ্বর: হুমমম!! আর ফারজানকে কেন চাও। মুচকি হাসিয়া শুধাইল বিবাহ করিবা নাকি??
হিমুবাঈ: আরে নাহহ! বিবাহ করিলে আমার জর্মান বান্ধবীদের মাংস কে খাইবেক। ঈশ্বরকে কহিল মাথাটা নিচু করেন, কানে কানে কইতে হইবে।
ঈশ্বরের কানে কানে আমাদের জরমান নিবাসী হিমুনাঈ কহিল। নতুন একখানা ব্লগ খুলিয়া আমরা এতদিন সবার পুচ্ছেদেশের ফুটায় আরামসে অঙ্গুলি চালনা করিতাম। কিন্তু এইবার ফারজান আমাদের পুচ্ছদেশের ফুটায় আস্ত একখানা মেমরিস্টিক ঢুকাইয়া কম্বিনেশন লক মারিয়া দিয়াছে। সে ছাড়া এই লক কেউ খুলিতে পারিতেছে না আর যতদিন সেই লক না খুলিবে ততদিন আমরা প্রাকৃতিক কোন কাজ করিতে পারিতেছি না। যাহার ফলে এখন শুধু বিকট গন্ধযুক্ত বায়ু নির্গত করিতেছি বাংলার ব্লগে ব্লগে।
ঈশ্বর: তাহা হইলে প্রথমে তুমরা কোনটা চাও, ফাসি না ফারজান?
হিমুবাঈ: ফাসি!!
ধূগভঈ: ফাসি!!
হাষিববাঈ: ফারজান!!
পিপিবাঈ: ফারজান!!
ঈশ্বর: হুমম!! যেহেতু গনতন্ত্র চলিতেছে তাই আমি এখন স্বৈরাচারগিরি ফলাইতে পারিব না। আগে তোমরা ঠিক কর মেজরিটি কি চাও তারপর আমার কাছে আসিও।
তখন হিমুবাঈরা বুদ্ধির জন্য হাছানবাঈর বাটির দিকে রওনা দিল। আর ঈশ্বর দিবানিদ্রার প্রস্তুতি গ্রহণ করিল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





