শিক্ষা নিয়ে যে কত ধরনের ব্যবসা হয় তা না দেখলে বুঝা যাবেনা। পরীক্ষায় নকল। সে নকলে সহায়তার জন্য শিক্ষকদের নাচানাচি। প্রক্সি ( একজনের পরীক্ষা অন্য জনে দেয়া) । প্রবেশ পত্রে ছবি বদল করা। একজনের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে অন্য আর একজন ফরম পূরন করা । অবিশ্বাস্য হলেউ সত্য যে এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরন ফি ২০,০০০/= থেকে ২৫০০০/= টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। রেজিষ্ট্রশন + পরীক্ষায় সাহায্য+ ফরম পূরন এবং পরীক্ষায় পাশ পর্যন্ত সব কিছুই এর মধ্যে কন্টাক্ট করা। গাইড বই নিয়ে হলে প্রবেশ করা। কতিপয় শিক্ষকদের সরাসরি নকলে সহায়তা করা । হল গার্ড কতৃক পরীক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে উত্তর বলে বা লিখে দেয়া। হলের বাইরে পরিচ্ছন্নতার হাঁকডাক আর ভিতরে নকলের মহাউৎসব। খাতা জালিয়াতি করা । বাইরে থেকে খাতা লিখিয়ে আনা। মৌখিক বা ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে নাম্বার বাড়িয়ে দেয়া। প্রতি বৎসর পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার আগে কেন্দ্র কমিটির মিটিং হয় । এ সব মিটিং এ সব সম্মানিত শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নেন কোন অন্যায় না করার। কিন্তু কতিপয় শিক্ষক এর বাইরে থেকে নিজেদেরকে আলাদা করে রাখেন । তারা মনে করেন পরীক্ষা মানেই টাকা কামানোর একটি উপায়, মেশিন / আলাদীনের চেরাগ। আর ছাত্র-ছাত্রী বা পরীক্ষার্থীরা তাদের গিনিপিগ। তাদের কথামত পরীক্ষার্থীরা সব ধরনের টাকা দিতে বাধ্য। আর পরীক্ষার্থীরা মনে করে মা বাবার পকেটের টাকা নানান অজুহাতে চুরী করে শিক্ষকদের হাতে তুলে দিতে পারলেই পাশ !!! নো পড়ালিখা নো টেনশন। অভিভাবকরা মনে করেন তাদের সন্তান খুব ভালো পড়া লিখা করছে। খুব ভালো ভাবে শিক্ষিত হচ্ছে। আসলেই কি তাই।========
কতিপয় অনেক শিক্ষক আছেন যারা শুধু মাত্র পরীক্ষা নিয়েই মাতামাতি করেন। সারা বৎসর বসে বসে সরকারী বেতন খান আর ছাত্রদের মেধা নষ্ট করেন। প্রাইভেট পড়ানো। ছাত্রদের নোট দেয়ার নামে সরাসরি প্রশ্নোত্তর লিখে দিয়ে মেইন বই পড়তে অনুৎসাহিত করা । আরো কত
কী ?======= এ জাতি সে জন্য আজ এত বৎসর পরউ মেধাবী ছাত্র প্রোডাকশনে ব্যর্থ । কতিপয় শিক্ষক শিক্ষাটাকে নিয়েছেন ব্যবসা হিসাবে। তারা আজ শিক্ষাটাকে যেমন ধ্বংস করছেন তেমনি পুরো জাতিকে আজ মেধাশুন্য বানাচ্ছেন। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয় সবকিছু যেনেউ না জানার ভান করে । কারন মানবতা উ দূর্নীতি। মানবতা হল কখনো কোন শিক্ষক সরাসরি ধরা পড়লে মানবিক কারনে ছাড়া পেয়ে যান । আবার কখনো কখনো সে অপরাধ ঢাকতে মোটা অংকের লেনদেন হয়। ফলে জাতির বারটা=== তেরটা বাজতে বা বাজাতে আর কারো কষ্ট হয়না ==========================।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




