রিনার বিবাহিত জীবন আজ দশ এর কোটা ছুঁয়েছে। প্রতি বৎসর স্বামী প্রবর এ দিনটিতে কোন না কোন উপহার আনবেনই। অনাবিল আনন্দ, ভালবাসার কোথাও কোন কমতি নেই । ================।
সবকিছুর পরও আজ তার কোলের শুন্যতায় শান্তি যেন উড়ে যেতে বসেছে। সবার একটা চাহিদা আজ পূরনে ব্যর্থ রিনা। শশুর -শাশুড়ী, দেবর-ননদ,জা, বন্ধু -বান্ধব সকলেরই একটি মাত্র চাওয়া আজো পূরন না হওয়ায় সকলে কেমন যানি দিন দিন রিনার প্রতি আক্রমন অত্যাচারের মাত্রা বাড়াচ্ছে । যার ভালবাসায় রিনা মূখ বুঝে, নীরবে সব অত্যাচার সহ্য করে এসেছে আজ তার মূখ থেকেও এক অদ্ভুত শব্দ শুনতে হল রিনাকে।==========================।
নিত্যকার গালাগাল এর সবচেয়ে কমন ও কঠিন শব্দটি হল বেরিয়ে যা।
অথচ রিনা এলোপ্যাথী -হোমিওপ্যাথী , তাবিজ- কবজ, ঝাড়-ফুঁক কোনটাই বাদ রাখেনি। যে যেখানে যেতে বলেছে কখনো অলসতা করেনি ছুটে গেছে সেখানে। ডাক্তারী পরীক্ষা -নীরিক্ষায় স্বামীর অক্ষমতার কথা বলা হলে ও এটা মানতে নারাজ স্বামী পক্ষ। আজ তাই তাকে সর্বশেষ কথা শুনতে হল ============= বেরিয়ে যা।
রিনা ভেবে পায়না কি করবে?
তিল তিল করে সাজানা সংসার আজ এত বছর পর টলমলে কচুপাতার পানির মত হবে ভাবতেই দু'চোখ বেয়ে কান্না আসছে তার। ======
রিনার জায়গায় কোন এক নারী আবার আসবে। এ আয়োজনই চলছে। কিন্তু স্বামীর অক্ষমতার কারনে রিনা যা পারেনি তা ঐ নারীর পক্ষেই বা কিভাবে সম্ভব ? আর সেও সকলের চাহিদা পূরন করতে না পারলে তাকেও যে রিনার ভাগ্য বরন করে নিতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। =================। রিনার মনে একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
সব দোষই কি শুধু নারীদের ????????????????!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




