ড. কামাল হোসেন নেহায়েতই একজন ভদ্রলোক।
একজন পেশাদার আইনবিদ। পেশাদার মানে দেশপ্রেমহীন, যাষ্ট টাকার বিনিময়ে কাজ।
ডক্টর কামাল মুলত একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবি।
ওনার বর্তমান এসাইনমেন্ট - 'কাদায় আটকে যাওয়া মৃতপ্রায় বিএনপি-জামাত গং কে গোসল করিয়ে মোটামুটি জীবিত করে দাড় করানো'।
ডক্টর কামাল অর্থের বিনিময়েই রাজী হয়েছিলেন।
এর আগেও বড় বড় কাজ করেছেন উনি সিমিটার, অক্সিডেন্টাল প্রভৃতি মাল্টিন্যাশানাল কম্পানীর পক্ষে ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা লড়েছেন।
গরীব ক্ষতিগ্রস্থ নাগরিকদের ক্ষতিপুরন বঞ্চিত করেছেন।
এছাড়াও বাংলাদেশের বিপদে তাকে কখনো কাছে পাওয়া যায় নি।
না সমদ্রসীমা মামলায়, না যুদ্ধাপররাধী মামলায়, না বঙ্গবন্ধু হত্যা বা জেলহত্যা মামলায় .. কখনোই রাষ্ট্রকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন নি, জনগনের পক্ষে দাঁড়ান নি, বরং বিপক্ষে দাড়িয়েছেন।
প্রথম আলোতে পড়েছিলাম যে উনি আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের একজন বিশেষজ্ঞ এবং ক্যারিবিয়ান দ্বিপপুঞ্জে এর বেশ কয়েকটা দেশের সমুদ্র সীমানা মামলা তিনি লড়ে জিতেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ যখন সমুদ্রসীমা নিয়ে কঠিন সমস্যায় দিশাহারা, বিপুল ব্যায়ে নরওয়ের আইনজীবি, ব্রীটিষ আইনিজীবি নিয়োগ দিয়ে বছরের পর বছর বার্মা-ইন্ডিয়ার সাথে সমুদ্র আদালতে লড়ছিল তখন এই কামাল সাহেবকে হারিকেন দিয়েও খুজে পাওয়া যায় নি।
আসলে কামাল হোসেনের মত ভদ্র লোকেরা কখনোই দেশের মঙ্গল চিন্তা করেন নি। সবসময়ই মাল্টিন্যাশানাল কম্পানীর পক্ষে ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা লড়েছেন। নিরিহ ক্ষতিগ্রস্থ নাগরিকদের ক্ষতিপুরন বঞ্চিত করেছেন। সবই টাকার বিনিময়ে করেছেন।
এটা সত্য তিনি অনেক মামলা বাংলাদেশের পক্ষে লড়েছিলেন, অনেক ক্ষেত্রে উনি ফিও নেন নি। সেটা ২০০৩ এ বিম্পি-জামাত সরকারের সময়।
তবে এটাও সত্য তিনি ১৯৯৬-৯৯ এর দিকে কোন এক পত্রিকায় (সম্ভবত আজকের কাগজ বা ভোরের কাগজ) আমি নিজের চোখেই দেখেছিলাম উনি একটি তেল কম্পানির (সম্ভবত অক্সিডেন্টাল) পক্ষে, বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়েছিলেন।
বিএনপির সাথে উনার পড়তা হওয়ার কথা নয়। উনি বিম্পি-জামাতের আদর্শ ধারন করেন না। কখনোই করেন নি।
বিম্পি একটা খুনিদের দল। জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকারিদের চিফ। তার পোলা বর্তমান বিম্পির কান্ডারি তারেক জঙ্গিদের, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলাকারিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এদের আদর্শই খুনখারাপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা। আর বিএনপির নেতাকর্মিরা অধিকাংশই অন্য দল থেকে ছুটে আসা রাজনৈতিক আদর্শ বিহীন চিহ্নিত চোরচোট্টা সুবিধাবাদী। এদের সাথে ড. কামালের মিল হওয়ার কথাই নয়।
বিএনপি-জামাত গং যাষ্ট ওনার একজন ক্লায়েন্ট মাত্র।
এসাইনমেন্ট শেষে একজন পেশাদার আইনবিদ তার ক্লায়েন্টের মার্কায় (ধানের শিষ) মার্কায় নির্বাচনে দাঁড়ানোর প্রশ্নই আসে না।
এছাড়াও যে মার্কায় জামাতের ২৫ জন জামাতি নির্বাচন করছে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩২