তাহলে ন্যায় ও সত্যের জায়গাটি কোথায় বাংলাদেশে?
আইডি হ্যাক করে সাজানো মিথ্যা অভিযোগের একটি আয়োজন!
জালিয়াতি চিহ্নিত হল, উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে। এ নিয়ে একটা জিডিও হলো।
সবকিছু জেনেশুনে প্রশাসনকে বলা হলো, যেহেতু এই স্ক্রিনশট ভিন্ন মোবাইলের, তাই কটুক্তি জালিয়াতি করে তৈরি। ইতিমধ্য দুই জালিয়াত বা হ্যাকার আটক হয়েছে। মোটামোটি সব মিটমাট। তাই তারা (মোল্লারা) বললো আর সমাবেশ করা দরকার নেই, আগামীকালের সমাবেস হবে না।
কিন্তু পরদিন প্রতারনামূলক ভাবে সমাবেশ করা হলো! ঘিরে ফেলা হলো পুলিশ দলকে! মসজিদে আশ্রয়, ইটপাটকেল মারতে মারতে দরজা ভেংগে লাটিসোটা নিয়ে ...নিরুপায় পুলিশের কয়েক রাউন্ড গুলি .. এরপর পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করতে গিয়ে অনাকাংখিত ঘটনা।
কিন্তু এরপরও কথিত হুজুরদের প্রতারনা জালিয়াতি। নিহত দুজন গুলিতে নয় মাথায় আঘাত, মাথা থ্যাতলানো। তাই দাবি নিহতদের ময়নাতদন্ত করা চলবে না। হেফাজত আন্দলনের সময়ও দেখেছিলাম সমাবেশে অবস্থান কালে স্বাভাবিক মৃত্যুবরনকারি ৩টি লাশ দেড় দিন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, যাতে ক্র্যাকডাউন কালে নিহতের সংখা বেশী দেখানো যায়।
ভেবেছিলাম মিথ্যা স্ক্রিনশট ঘটনার সংশ্লিষ্টরা লজ্জিত অনুতপ্ত হবেন।
কিন্তু কিসের কি? উল্টো তারা সব জেনেশুনেও কথিত মহানবীর (দঃ) কটুক্তিকারী ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়েই যাচ্ছেন! হুমকি দিচ্ছেন! একজন জনপ্রীয় ক্রিকেটারকেও দেখলাম বিশাল এখখান জেহাদি স্ট্যটাস! জ্বালাময়িতা বাড়াতে ৩ ৩ বার এডিটও করেছে! (এরপর মুল ঘটনা অনুধাবন করে ডিলিট) স্ক্রিনশট মিথ্যা জেনেও ঢাবির এক ছাত্র দেখলাম জেহাদি চেতনায় অন্ধ হয়ে নিজের গেঞ্জি পর্যন্ত ছিড়ে ফেলেছে!
চারিদিকে যেহাদের জয়গান দেখে গুহা থেকে উকিঝুকি দিয়ে অবশেষে বের হল বিএনপি নামের অসৎ দলটা!
হেফাজতও বের হয়েছে। বলে "কটুক্তি হয়েছে, বিপ্লবের ফাসি চাই"।
এভাবে যদি জেনেশুনে একটা মিথ্যার পিছনে চলে একটি দেশের মৌলভী সম্প্রদায়, ক্রিকেটাররা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।
তাহলে সত্যের জায়গাটি কোথায় বাংলাদেশে?