১৯৭১ এ দেলোয়ার সায়েদির বয়স কত ছিল? ১৩?
কিন্তু সায়েদির জন্মদিনে তার পোলা তার ভেরিফাইড পেইজ থেকে জন্মদিনের উইশ করতে জন্মতারিখ উল্লেখ করাতে দেখা গেল ৭১এ তার বয়েস ৩১
যুদ্ধাপরাধী মামলায় বিচারের সময় সাইদি’র পক্ষের উকিল আদালতে খুব শক্তভাবে উত্থাপন করছিল ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ১৩ বছর।সে নাকি যুদ্ধের সময় নাবালক শিশু ছিল। ছাগুরাও সামুতে পোষ্ট দিয়ে পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছিল
যুদ্ধাপরাধ দায় এড়াতে হাতে আর কোন তথ্যপ্রমান না পেয়ে বয়স লুকানো বাদে আর কিছু করার ছিল না।
কিন্তু সত্য একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্বচ্চ দন্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র মাসুদ সাইদি গতকাল পিতার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেবুতে একটি পোস্ট দিলো,
সেখানে স্বীকার করলো সাইদি’র জন্মদিন ০২.০২.১৯৪০, মামলার এজাহারে যেভাবে ছিল দিন তারিখ সহ হুবুহু সেভাবেই।
Masood Sayedee - মাসুদ সাঈদী (ভেরিফাইড ফেবু একাউন্ট)
2 ফেব্রুয়ারি, 1:13 AM-
আজ ২ ফেব্রুয়ারী।
১৯৪০ সালের আজকের এই দিনে আল্লাহর গোলাম, পবিত্র কোরআনের খাদেম আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন।
অন্যান্য দিনের মতো আজকের এই দিনেও আমার মালিক, আমার রব এর শাহী দরবারে ফরিয়াদ করছি, মাবুদ .. !
তুমি আমার শ্রদ্ধেয় পিতা আল্লামা সাঈদীকে নেক হায়াত দাও। তাকে সুস্থ রাখো। জালিমদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র চক্রান্ত থেকে তাকে হেফাজত করো।
তোমার গোলামকে তুমি কোরআনের ময়দানে ফিরিয়ে দাও। দুনিয়াব্যপি শত কোটি জনতার চোখের পানি তুমি কবুল করো।
১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন,ধর্ষন নির্যাতনসহ অন্তত ২০টি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ৮ টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল পরে আপিলে অপরাধ প্রমানিত হলেও শাস্তি একটু কম দেয়া হয়েছিল। আমৃত্যু কারাদন্ড। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশে জাবৎজীবন জেল দেশের সর্বচ্চ শাস্তি।
তাহলে এবার বলেন ১৯৭১ সালে রাজকার সাইদির বয়স কত ছিল? ৩১ বছরের নাবালক।
সাইদি পরিচিতি
কুখ্যাত দেলু সাঈদীর চরমপন্থী মতবাদের জন্য ২০০৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেরোরিস্ট স্ক্রিনিং সেন্টার (টিএসসি) সাঈদীকে তাদের নো ফ্লাই তালিকায় যুক্ত করে অর্থাৎ এই তালিকার নাগরিকেরা কোন দেশ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এমনকি অন্যদেশেও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্ল্যাগধারি কোন এয়ারলাইনসে টিকেট থাকলেও বিমানে উঠতে পারবেন না।
বিদেশভ্রমণ বিতর্ক
২০০৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে ক্ষমতাসিন বিম্পি-জামাত সরকারের সহযোগিতায় ব্রিটিষ ইমিগ্রেশনের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের পর সাঈদী যুক্তরাজ্যে যান লন্ডন ও লুটনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখার জন্য। অনেক ব্রিটিশ সংসদ সদস্য তার এই ভ্রমণকে বিতর্কিত হিসেবে গণ্য করে। কিছু ফাঁস হওয়া ইমেইল নিয়ে দি টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখান থেকে জানা যায় যে একজন উপদেষ্টা, এরিক টেইলর বলেছেন, "যুক্তরাজ্যে সাঈদীর পূর্ববর্তী ভ্রমণেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তার অনুসারীদের আক্রমণাত্নক আচরণের জন্য।" এরপরেও এক পাকি বংশের মুসলিম কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আব্দুল বারী তার এই আমন্ত্রন সমর্থন করেন। এরপরেও সমাবেশে প্রচুর হট্টগোল হয়েছিল
২০০৬ সালের ১৩ই জুলাই ব্রিটিশ সাংবাদিক একটি ডকুমেন্টরি প্রকাশ করেন সেখানে সাঈদীকেও যুক্ত করা হয় এবং তাকে মিলিট্যান্ট ইসলামিষ্ট চরমপন্থী মতবাদ-দাতা বলে উল্লেখ করা হয়।
যাই হোক অপরাধীর অপরাধ একদি বা একদিন নিরংকুশ ভাবে প্রমানিত হয়ই।
সবকিছু বিবেচনা করে বলা যায় যুদ্ধাপরাধ টাইবুনালে বিচারগুলো সঠিক পথেই ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩১