ইটালি শুধু বাংলাদেশকে ব্যান করে নি বাংলাদেশ সহ ১৩ দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
কিন্তু পত্রিকাগুলোতে শুধু বাংলাদেশের কথাই এসেছে।
ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ করোনা আক্রান্ত দেশ ছিল ইটালি।
সম্প্রতি পরিস্থিতি ভাল হওয়ায় ৩ রা জুন থেকে সেনঝেন দেশ ও ইউরোপিয়ো ইউনিঅনদের জন্য বর্ডার খুলে দেয়া হয়, কিছু ফ্লাইটও চালু হয়।
ফ্রী দেশগুলো মুলত ইওরোপের
The 26 other members of the European Union
The United Kingdom
Schengen Area members Iceland, Liechtenstein, Norway and Switzerland
Andorra, Monaco, San Marino and the Vatican City
বিদেশে আটকে পড়া ইটালিয়ান ও রেসিডেনসিদের জন্যও দরজা খুলে দেয়া হয়। তাই ১৭ জুন থেকে কয়েক দফায় বিভিন্ন ফ্লাইটে ১,০৮৫ জন বাংলাদেশি ইটালিয়ান ইতালি ফিরে যায়। সর্বশেষ ৬ জুলাই ২৭৬ জন যাত্রী নিয়ে রোমে বিমানবন্দরে নামলে যাত্রিদের নামতে দেয়া হয় নি।
"করোনা সার্টিফিকেট ভুয়া তাই নামতে দেয় নি" এটাও সম্পুর্ন ভুয়া কথা। সার্টিফিকেট দেখার কথা না,
বিদেশ যাওয়ার আগে করোনা নেগেটিভ সনদ নিতে হবে, এটা কোনো দেশেই বাধ্যতামূলক নয়। ইটালিতেও নয়।
কিছু এয়ারলাইন্স হয়ত চাইতে পারে, তবে কোন দেশ চায় না। বিমানবন্দরে শুধু তাপমাত্রাই দেখা হয়।
এরপরও অনেকে করোনা সনদ নিয়ে গেছিল, কিন্তু সেসব বিবেচিত হয় নি। কারন জেনুইন সনদ থাকলেও লাভ নেই। আক্রান্তের ৪-৫ দিন পর কোভিড ধরা পড়ে। বাসা থেকে বিমানবন্দরে আসা বা ফ্লাইটে থাকার সময়ও কেউ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে নেগেটিভ হলেও বিদেশে যাওয়ার পর অনেকে করোনা পজিটিভ হতে পারেন
আলোচিত কাতারি বিমানটির প্যাসেঞ্জার নামতে দেয় নি। কারন বিমানটি দোহাতে অকারন দেরি করায় ফ্লাইট ব্যান ডেডলাইনে পরে যায়।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঐ ফ্লাইটটি কীভাবে যাত্রা করলো, সে বিষয়ে ঢাকা ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ইতালির নিষেধাজ্ঞা আসার আগেই ফ্লাইটটি শিডিউলড ছিল এবং সেটি ছেড়ে যায়।
ধারণা করা হচ্ছিল যে বাংলাদেশ সহ ১৩টি দেশ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হওয়ার আগেই বিমানটি পৌঁছে যাবে। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি।
দোহা বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবহেলা করে দেরি করায় পৌঁছানোর আগেই ইতালিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। আর বাংলাদেশী পত্রিকাগুলো খাদ্য পায়। আলোচিত বিমানটির যাত্রিদের করোনা সনদ ভুয়া যাচাই হয়নি, কাউকে টেষ্টও করেনি, করবে কিভাবে? নামতেই তো দেয় নি।
মুলত ১৭ জুন থেকে কয়েক দফায় বিভিন্ন ফ্লাইটে ১ হাজার ৮৫ বাংলাদেশি ইতালি ফিরে গেছিলেন। একসময় তাদের ভেতর ২১ জন বা ৩৬ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এরা অনেকেই সনদের মাধ্যমে নেগেটিভ জেনে ইতালিতে গিয়েছেন যারা পরবর্তীতে পজেটিভ হয়েছে অন্যকেও সংক্রমিত করেছেন। অনেকে বোকার মত সনদ দেখিয়ে চ্যালেঞ্জ করে ধরা খেয়েছেন। পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন
এভাবে বোকামি না করে বলতে পারতো "আমার আগে করোনা ছিল না - ইটালিতে এসে হয়েছে"।
রোম এয়ারপোর্ট সংলগ্ন একটি বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট এর মালিক,কর্মচারী,ক্লায়েন্ট সহ বারোজন সংক্রমিত হয়েছেন সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে আসা একজনের মাধ্যমে। বর্তমানে সেটি লক ডাউন করা হয়েছে। ইটালিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ধারণা এই পর্যন্ত প্রায় ৬০০ বহিরাগত করোনা পজিটিভ হতে পারে, এদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশী।
রোমের স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ গত ১ জুন থেকে বাংলাদেশ ও নন ইউরোপিয় থেকে সব অভিবাসীদের করোনা ভাইরাস টেস্ট করার আহ্বান জানিয়েছে। রোমের বাংলা টাউন নামে পরিচিত তর পিনিয়ত্তারা( Tor,Pigniattara,casilina) অঞ্চলে এই উদ্দেশ্যে বুথ স্থাপন করা হয়েছে এবং সবাইকে সেখানে উপস্তিত হয়ে টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত ঘটনায় ইতালিতে কর্মরত লক্ষাধিক বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
ইটালি শুধু বাংলাদেশকে ব্যান করে নি বাংলাদেশ সহ ১৩ দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ।
Italy has closed its borders to 13 countries judged to be a high risk for coronavirus infections, including Bangladesh and Brasil.
In a decree on Thursday, Health Minister Roberto Speranza said Italy was closed to people travelling from
Armenia,
Bahrain,
Bangladesh,
Brazil,
Bosnia,
Chile,
Kuwait,
North Macedonia,
Moldova,
Oman,
Panama,
Peru
Dominican Republic.
The ban applies to everyone who has spent any time in any of those countries within the past 14 days, regardless of nationality or residency.
সুত্র -
The Local Europe AB
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৭