অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান
সাবেক সেনা কর্মকর্তা, এখনো বিয়ে করে নি, এত কম বয়েসে অবসরপ্রাপ্ত? নাকি বর্খাস্ত?
কি কারনে চাকরি ছাড়লো বা চাকরি গেল কেউ জানে না। মিলিটারি সিক্রেট।
সে সেনাবাহিনি থেকে পেষনে এসএসএফ ট্রান্সফার হয়েছিল। তুখোর না হলে কেউ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এলিট বাহিনী এসএসএফে ঢুকতে পারে না। সে হয়তো কিছু একটা করেছে বা ব্যাকগ্রাউন্ড চেকে সমস্যা হয়েছে। তাই সে এসএসএফ না একেবারে সেনাবাহিনী ছাড়তে হয়েছে। নইলে ক্যারিয়ারের সুরুতে লোভনীয় চাকুরি ছেড়ে দেয় না কেউই।
কিছুই জানা যাবে না। মিলিটারি সিক্রেট। অবস্য পরিবারের এক সদস্য বলেছে ইউটিউব ভিডিও বানাতে উনি চাকুরি ছেড়ে দিয়েছে। হা হা হা .. হাস্যকর অযুহাত।
সেনাবাহিনী ছেড়েদিয়ে সেনা গেঞ্জি গায় দিয়ে অহংকারী! উনি যেই হোন না কেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত সাধারন একজন। এরপর অস্ত্রনিয়ে ঘোরাফেরা কি কারনে? অবস্য দেশে এরকম অব সেনা কর্মকর্তার অভাব নাই।
যাই হোক। সে টেকনাফে তার গাড়ি চেক আপ করতে দিবে না। রাতদুপুরে নিজের সাবেক পদের অহংকারটা দেখানো!
এই করোনার ভেতরের এমনিতেই টুরিষ্টশুন্য, জনশুন্য সি বিচ, সব হোটেল মোটেল খা খা করছে। কক্সবাজার হলে কথা ছিল, এই করোনার ভেতরে নাজুক জনমানবশূন্য টেকনাফে! কি কাজ? মানুষ নাই কিসের শুটিং? যেখানে এমনিতেই সিনেমা নাটক সব সুটিং বন্ধ ৩মাস জাবৎ। এই অন্ধকার রাতে কোথায় যায়?
এত নাজুক মাদক সাম্রাজ্যে অস্ত্র বহন করে কে কি কারনে কোথায় যায়? কামটা কি?
চেকপোষ্টে পুলিশের সন্দেহ হয়েছিল। সন্দেহ হওয়ারই কথা।
টেকনাফ থেকে কক্সবাজার দেশের সবচেয়ে বড় মাদক পাচার রুট। মানব পাচার রুট। রহিংগা পাচার রুট। এই রাস্তায় দিনেই ডজন ডজন বিডিআর ও পুলিশ চেকপোষ্ট। আর্মিরও চেকপোষ্ট আছে। আর এত রাতে যত বড় ভিআইপি হোক জিজ্ঞাসাবাদ চেক হবেই। যাওয়া ও আসার রেকর্ড যাত্রি সংখা গাড়ীর নাম্বার পর্যন্ত মিলিয়ে দেখা হয়। অন ডিউটিতে না থাকলে ইউনিফরমধারি হলেও সুষ্ঠ সন্তোষজনক জবাব, কারন দেখাতে না পারলে তাকে থামানোর অধিকার আছে চেকপোষ্টে কর্তব্যরতদের।
কিন্তু এই সাবেক কর্মকর্তা ও দুজন সহকারি তার গাড়ি চেক আপ করতে দিবে না। উলটো পুলিশের দিকে অস্ত্র উচিয়ে (অব) মিলিটারি মেজাজ দেখালে কর্তব্যরত পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আঙ্গুল চুষবে না। অস্ত্রের জবাব অস্ত্রই।
উন্নত বিশ্বেও চেকপোষ্ট বাদই দিলাম, পুলিশ কাউকে থামালে সে সহযোগিতা না করলে শক্তি প্রয়োগ হবে।
পিস্তল বের করলে সে যেই হোক হত্যার উদ্দেস্যেই অস্ত্রধারিকে গুলি করা হবে।
পুলিশের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাতে চেকপোষ্টেগাড়ী চেক করতে গাড়ীর আরোহিরা উদ্ধত আচরন করে গাড়ী চেক করতে বাধাদান, একপর্যায়ে ‘সিনহা মো. রাশেদ হঠাৎ করে তাঁর কোমরের ডান পাশ থেকে পিস্তল উচিয়ে গুলি করার জন্য উদ্যত হলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী নিজের এবং সঙ্গে থাকা অফিসার ফোর্সদের জানমাল রক্ষার জন্য চারটি গুলি করেন।’
অকারনে কেউ কাউকে গুলি করে না। অকারনে কেউ কাউকে মেরে ফেলে নিজের অকারন বিপদ ডেকে আনে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮