ভিডিও টি দেখেছি। যেকোন সময়ের চেয়ে পুলিশের ব্যাবহার সংযত ও নিয়ন্ত্রনের ভেতর ছিল।
ছেলে দুটির গলার উচ্চ স্বর আর পুলিশের সংযত ভদ্র স্বর মিলিয়ে দেখুন। ছেলে দুটির বেয়াদবি আচরন দেখুন। অকারন চ্যাচামেচি করে পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশকে ধর্ষনে জন্য দায়ী করে,
যেখনে সেই দিনেই পুলিশ প্রযুক্তি ও দক্ষতা দিয়ে অল্প সময়ে সকল পলাতক ধর্ষক গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে। বিন্দুমাত্র এপ্রিশিয়েট নেই। উলটো উদ্ধত ভাবে গলা উঁচিয়ে দাঁত কেলিয়ে ঘাড়ামি করে নিজের ঘাড় এগিয়ে বলে গ্রেফতার করতে।।
তাৎখনিক একটা ঠাডাইয়া একটা চড় মারা ফরজ হয়ে গেছিল। কিন্তু কিছুই করেনি পুলিশ।
অতচ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ কাউকে লাঠিপেটা করেনি চড়থাপ্পর দেয় নি শুধু বলেছিল ভদ্রভাবেই, অনুমতি ছাড়া এসব করা যাবে না।
ছেলেমেয়েদের কাউকেই আতংকিত বিপন্ন মনে হয়নি উলটো পুলিশকেই বিদ্রুপ তামাসা করে হাসাহাসি করছিল।
কিন্তু আজ ফারুক ওয়াসিফ প্রথমআলোতে এই ভিডিও নিয়েই পিনাকিয়ো লম্বা কাহিনি ফেঁদেছে -
পুলিশি নির্যাতনে দেশ আজ বিপন্ন .. ... পুলিশ এই তরুণদের নির্জাতন করে ধর্ষণ যৌন নিপীড়নকে মোবারকবাদ জানাচ্ছে!
৭১ টিভিও বলে রক্ষকই ভক্ষক।
পুলিশ পেটায় নি, হাতকড়া লাগায় নি, গ্রেফতারও করেনি, শুধু উচস্বরে আগ্রাসি আচরন করে নিজেই গ্রেফতার হতে চাওয়া বেয়াদবির কারনে থানায় নিয়ে গেছে , মুচলেকা নিয়ে ঘন্টাখানেকের ভেতর ছেড়ে দিয়েছে।
এসব রাজনীতি নয়। অ্যাটেনশন সিকিং ছাগলামি।
দেশে রাজনীতি নেই, দলগঠন চেষ্টাও নেই। মাসিক মিটিং নেই আছে ভাতা নিয়ে ভাগাভাগি আর লেজুড়বৃত্তি।
সব রাজনৈতিক দলগুলো দলবেধে একটি ছোট দেড় আঙ্গুলের দলের লেজুড়বৃত্তি। সুষম সুষ্ঠ নতুন কোন দল তৈরি হবে কিভাবে?
দেশে রাজনীতি নেই, মিডিয়ার নিজস্ব স্টাডি নেই, অনুসন্ধানী রিপোর্টিংও নেই। এত কষ্টে কে যায়।
তাই এ সব ফেবুকিয়ো আবর্জনা নিয়ে নিয়ে প্যাচাচ্ছে মিডিয়া গুলো।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৭