অর্থমন্ত্রী সাইফুররহমান প্রায়ই বলতেন দেশ বেশী উন্নত হয়ে গেলে বিদেশী সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে,
আইএমএফ লোন, গার্মেন্টস কোটা বন্ধ হয়ে যাবে। ইত্যাদি।
কৃষিতে বেশী ভর্তুকি দেয়া হলে ওরা সাহায্য বন্ধ করে দিবে,
লোকসানি পাটকল বন্ধ না হলে বিদেশী সাহায্য বন্ধ হবে। বিদ্যুতে ভর্তুকি দিলে বিদ্যুতকেন্দ্র তৈরির টাকা লোন দেয়া হবে না।
এরপর নানা পট পরিবর্তনের পর কৃষি ভর্তুকি বেড়েছে বিদ্যুতে ভর্তুকি সাথে ডিজেল ভর্তুকিও যোগ হয়েছে, ২০০৮ এ বিশ্বমন্দার পর বিদেশী সাহায্যও কমতে কমতে বন্ধ হয়ে গেছে।
এরপরও নিজস্ব টাকায়ই বিদ্যুতকেন্দ্র তৈরি হয়েছে। পরে আরো অনেক মেগা প্রকল্প, সেতুও তৈরি হয়েছে, তৈরি হয়েছে দুই দুইটি গভীর সমুদ্র বন্দর।
পরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ কোটা প্রত্যাহার করে নিলেও রফতানি উত্থান থামাতে পারেনি, বরং গার্মেন্টস শিল্প আরো বিকশিত হয়েছে।
পরে ইউনুস কুচক্রে অতি প্রয়োজনিয় জিএসপি সুবিধা বাতিল হয়ে গেলেও উৎপাদন ও রফতানি প্রতি বছরই বৃদ্ধি পেয়ে গেছে।
তখন মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার ছিল রিজার্ভ, চাল আমদানি করতে ডলার সংকটে হিমসিম খেয়েছিল তত্তাবধায়ক সরকার।
নবনির্বাচিত সরকার এসেই সেই ডলার সংকটের ভেতর কুইকরেন্টালের মত ব্যায়বহুল প্রকল্পে অপচয় করতে হয়েছিল।
কারন বিদ্যুতের দ্রুত সুরাহা না করলে কোন বিনিয়োগই হবে না উৎপাদন বৃদ্ধি তো হবেই না
তখন সে দুঃসাহসী সঠিক সিদ্ধান্তে সেই ৫ বিলিয়ন ডলার বর্তমানে ৪৫ বিলিয়ন।
বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের গ্র্যাজুয়েশন সুপারিশ পাওয়ায় অনেক কুশিলবদের গাজ্বালা শুরু হয়ে গেছে। একজন তো বলেই ফেলেছে কিছুদিন পরেই খাদ্যসংকট দুর্বিক্ষ শুরু হবে।
কিন্তু যাই হোক ফকিন্নি দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার দরকার আছে।
দেশ নানা সুযোগ সুবিধা হারালেও এখুনি সমস্যা হবে না হাতে সময় পাবে। ঔসধ শিল্পে ২০৪০ পর্যন্ত সময় পাবে। এবং অর্থনীতি ও দেসজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হবে না উদিয়মান বাংলাদেশের।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:০৫