প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং নিয়ে লাফালাফি চলে।
বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সিরিয়ালে তালিকার শেষে থাকলেও আমেরিকা কানাডার ইত্যাদি উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বা প্রতিযোগিতামুলক স্কলারশীপ সহ পিএইচডিতে চান্স পেতে পরবর্তিতে চাকুরি পেতে কোন বেগ পেতে হয় না, কোথাও র্যাঙ্কিং নিয়ে বিন্দুমাত্র বৈসম্য দেখিনি।
ঢাবি বুয়েটের কথা বাদই দিলাম খুলনা চট্টগ্রামের মত মফস্বলের বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টরাও ভাল স্কোর করে আমেরিকা কানাডার ভাল ইউনিভারসিটিতে চান্স পাচ্ছে , হাজারে হাজারে। (আমার ছেলেও বুয়েট থেকে পাস করে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশীপ পেয়ে পিএইচডি করছে)
কথিত ফালতু র্যাঙ্কিংয়ে বা মেধা র্যাঙ্কিং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যলয় গুলো হাজারের নিচে থাকলেও আমেরিকা কানাডায় ভর্তিচ্ছু চান্স পাওয়ার তালিকা বাংলাদেশী শিক্ষার্থিরা ১৬তম। - সুত্র আমেরিকান দুতাবাস ওয়েবসাইট। বাংলাদেশী ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের জিআরই স্কোরও ভাল।
ভাল দেশী স্কোর নিয়ে যারা চান্স পাচ্ছে বেশিরভাগই পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের। বুয়েট ও কুয়েটের প্রায় 90 ভাগ ছাত্র ছাত্রী আবেদন করে আমেরিকা কানাডায় স্কলারশিপ পেয়ে যাচ্ছে। আমেরিকাতে যারা উচ্চশিক্ষা নিতে আসছে তারা বেশীর ভাগই পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। ২০২১ সালে ৮,৫০০ বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী শুধু আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, কানাডা ইউকে হিসেব করলে আরো হাজার হাজার। বেশিরভাগই অন্যান্ন দেশের সাথে প্রতিযোগিতামুলক পরিক্ষা দিয়ে স্কলারশিপ পেয়ে। সেখানে দেশের স্কোর আইএল্টিস বা জিআরই পরিক্ষার নম্বর বিবেচিত হয়েছে। দেশের শিক্ষার মান বিশ্ববিদ্যলয়ের মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন করে নি।
অনেকেই জানে না বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং হয় মুলত ছাত্র আকর্ষনের জন্য।
র্যাঙ্কিং এজেন্সি কখনো এসব দেশে এসে খোজ করে না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেচে যেই তথ্য সরবরাহ করে, সেগুলোই গৃহিত হয়, মুলত ওয়েভসাইট থেকেই তথ্য খুজে নেয়, যাদের সাই্টে বেশি রিসোর্স বেশি পিডিএফ আর্টিকেল সংগত কারনে সেসব বিশ্ববিদ্যালয় বেশি প্রাধান্য পায়, মার্কেটিং/এডভার্টাইজিং এজেন্সি দ্বারা লবিং করলে আরো বেশি প্রাধান্য পায়। খরচ আছে।
র্যাঙ্কিং প্রতিযোগিতামুলক হওয়ার মূল কারন স্টুডেন্ট আকর্ষণ করা।
উন্নতদেশের দুচারটি বাদে বেশীরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো পর্যাপ্ত ভর্তিচ্ছু স্টুডেন্ট পাওয়া যায় না, (অতি উচ্চ টিউশন ফির কারনে) বিজ্ঞাপন দিতে হয়, লাইব্রেরি, আর্টিকেল পাবলিশ ইত্যাদির ফিরিস্তি পরিবেশন করে র্যাঙ্কিং এজেন্সিগুলোর স্মরনাপন্ন হতে হয়। খরচ আছে।
ঢাবি বা বুয়েটকে ছাত্র আকর্ষন করতে খরচ করা লাগে না, বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলোর পেছনে দৌড়াতে হয় না, দরকারও হয় না। কারণ এক সিটের জন্যই শত শত এমনকি হাজার হাজার অপেক্ষমান।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২২ ভোর ৬:৫৬