somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাচার হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকা।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ডয়েচ ভেলে বাংলা ৬ আগষ্ট ২০২২ এ একটা চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ থেকে গত ১০ বছরে দেশের বাইরে পাচার হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকা। মিথ্যাই বলা যায়।
কারন ডয়েচ ভেলে বাংলা তাদের এই প্রচারনায় ব্যবহৃত ’গত দশ বছর' শব্দটি ব্যাবহার করেছে অর্থ্যাৎ ২০১৩- ২০২২ বলা হয়েছে।

অতচ মুল সংস্থাটির পেইজে গিয়ে দেখা গেল এই রিপোর্ট ৯ বছর আগের একটি পুরোনো রিপোর্ট।
২০০৬ থেকে ২০১৫ এই দশ বছরের। আর রিপোর্টটি ডয়েচ ভেলের দাবি অনুযায়ী শুধু বাংলাদেশের না। ১৪৮ টি দেশের, অর্থাৎ আমেরিকা ইউরোপ বাদে প্রায় সব দেশ। আমেরিকার মান সম্পন্ন সচ্ছতা না থাকাতে বাংলাদেশ সহ ১৪৮ টি দেশ চোর, তথা পৃথিবীর ৮০ ভাগ দেশ দেশের ব্যাংকিং ব্যাবস্থা অসচ্ছ চোর। (২০০৬ থেকে ২০১৫)
ডয়েচ ভেলে বাংলা অবস্য বলছে শুধু বাংলাদেশই ২০২২ এ চোর।
গ্লোবাল ফাইনানসিয়াল ইন্টিগ্রিটি সংস্থাটিও এমন আহামরি কেউ নয়, ২০০৬ এ জন্ম, ২০১৫র পর এই সংস্থাটি এরকম গবেষনা বা বড় এক্টিভিটি দেখা যায় না, দুএকটা লামছাম রিপোর্ট বাদে আর কিছু দেখা যায় না। বড়সর রিপোর্ট আর দেখা যায় নি

যেই সময়টা বিশ্বের ফাইনান্সিয়াল সংস্থা ও ব্যাঙ্কগুলোর কার্যক্রম পর্যাপ্ত ট্রান্সপ্যারেন্ট ছিলনা।
গ্লোবাল ফাইনানসিয়াল ইন্টিগ্রিটি সংস্থাটি রিসার্চ করে কর্পোরেট ট্রান্সপারেন্সি, মানি লন্ডারিং, কর ফাকি, ইত্যাদি নিয়ে গবেষনা করে। বিশ্বের কেনাকাটা এলসি, ওভার আন্ডার ইনভয়েসিং ইত্যাদি পর্যালচনা করে কম্পিউটার এনালাইসিস করে, অনুমান ভিত্তিক রিপোর্ট।
২০১৮ আইন করার পর চীন বাদে অন্যান্ন দেশে ওভার বা আন্ডার ইনভয়েসিং করে আমদানি রপ্তানি কেনাকাটা অসম্ভব। ইওরোপ বা সুইস ব্যাঙ্কে তো টোটালি অসম্ভব।

অর্থমন্ত্রী অবস্য বলেছেন
বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারে গ্লোবাল সংস্থাগুলো যে তথ্য দিয়ে থাকে, সেগুলো সঠিক নয়। এগুলোর কোনো যৌক্তিকতাও নেই। এ বিষয়ে তারা রিপোর্ট করেছে কিন্তু কখনো রিপোর্ট সমর্থক নথিপত্র দিতে পারেনি। অনুমানের ভিত্তিতে কথা বললে তো হবে না। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা টাকা পাচারের জন্য আইন করিনি। কেউ যাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বা টাকা বিদেশে পাচার না করে, সে জন্যও দেশে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে দেশে বৈধভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৫ হাজার জনগোষ্ঠী এখন বৈধভাবে সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করছেন। দেশেই টাকা বিনিয়োগ করছেন। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ায় এখন আর টাকা পাচার হয় না। বরং দেশেই বিনিয়োগ হয়। ’

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, এর পরও অর্থপাচারের তদন্তে দেশে একাধিক সংস্থা কাজ করছে। বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে মামলা করে থাকে। ৬৯ জনের মত পাচারকারি দুদকের মামলার আওতায় আছে, এখন অনেকেই জেলে আছে। সরকার অর্থপাচার রোধে সব সময় তৎপর আছে বলেও বিবিসিকে বলেন।

আমার কথা হচ্ছে
বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার সম্পুর্ন অনুমান ভিত্তিক ভুয়া কথা, যার কোন প্রমান নেই, রেফারেন্স নেই।
বিশ্বে মোট টাকা পাচারের একটা অংশ অনুমান ভিত্তিক বাংলাদেশের বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশে থেকে সেভাবে টাকা পাচার হলে দেশের সম্পদ ৫০ গুন বৃদ্ধি পেত না, দেশের রিজার্ভ ৪ বিলিয়ন থেকে ৪৮ বিলিয়ন হোত না। বিএনপি আমলের মত স্থবির ৪ বিলিয়নই থাকতো।


ইদানিং সুইস ব্যাঙ্ক নিয়ে খুব কথা হছে।
সুইজারল্যান্ডের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নাথালী শৌহার্ড প্রতারনামূলক একটি বক্তব্য দিয়েছেন। তাহলো বাংলাদেশ সরকার সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা টাকার কোন তথ্য চায়নি।

প্রকৃত সত্য সুইস সরকার চাইলেও এটা দিতে পারবে না'
দিতে পারবে ব্যাঙ্কগুলো, তবে একাউন্ট হোল্ডারের অপরাধ প্রমান ছাড়া দিবে না প্রাইভেসি এবং ব্যবসায়িক গোপনীয়তার কথা বলে কখনোই সেসব দেয়না। সেটাও সুনির্দিষ্ট নাম ধাম করফাঁকির প্রমান মামলার কাগজপত্র দেয়া হলে বিবেচনা করা যেতে পারে।
রাষ্ট্রদূতের ভাবখানা এমন বাংলাদেশ চাইলেই তারা পাচারকারির নামধাম দিয়ে দিতো!

রাষ্ট্রদুত এতই যদি সাধু হন তাহলে ঘোষনা দিয়ে বলুক, বাংলাদেশ চাইলেই তারা সব বাংলাদেশী পাচারকারিদের নাম তথ্য দেবে। আসল কথা বছরের পর বছর ধরে তারা এভাবে সারাবিশ্বের অসাধু অর্থে তাদের নিজেদের রিজার্ভ আর কালো অর্থের ব্যবসা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রাখে।

পশ্চিমা বিশ্ব ২০০০ সালের দিকে বিশ্বব্যাপি ড্রাগ বিজনেস জঙ্গি সন্ত্রাসের ফান্ডিং বন্ধ করার জন্য গুরুতর সংগঠিত অপরাধ ও পুলিশ আইন 'অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইন ইত্যাদি ২০০০, ২০০১, ২০০৫ ও ২০১৮ চালু করার পর পৃথিবীর বেশীরভাগ দেশ ও ব্যাঙ্ক গুলো এই সব আইনে স্বাক্ষর দিয়েছে। বর্তমানে জেনুইন ভাউচার, জেনুইন এলসি ইনভয়েস ভেরিফাই না হওয়া পর্যন্ত কোন বিদেশী ব্যাঙ্কে ১ পয়শা রাখাও সম্ভব নয়। সুইস ব্যাঙ্কেও সম্ভব নয়। ২০০২ ও ২০১০ এর পর সুইস রাষ্ট্রদুত অবস্য সেদিন বলেছেন সুইস ব্যাংক অন্যান্ন ইয়োরোপিয় ব্যাঙ্কের মত আন্তর্জাতিক সব আইন নিয়ম প্রক্রিয়া মেনেই কাজ করে। সেখানে এখন আর কালো টাকা বা দুর্নীতির অর্থ রাখার কোনো ব্যাবস্থা নেই।

বাংলাদেশের অর্থনীতি ৫০ গুন বড় হয়েছে, ইওরোপে ব্যাবসা অনেক বেড়েছে, সুইস ব্যাঙ্ক কানাডা বা ইওরোপিয় ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা ট্রাঞ্জেকশান হয়ে থাকলে সেটা জেনুইন ব্যবসায়ীদের টাকা। কারন রিসেন্ট কয়েক বছরে ইওরোপে ব্যাবসা বহুগুন বেড়েছে
বর্তমানে সুইস ব্যাঙ্কে আগের মত যাচ্ছেতাই ভাবে টাকা জমা রাখা যায় না। শুধু সুইস ব্যাঙ্ক না, পর্যাপ্ত সাপোর্টিং পেপার ছাড়া বিশ্বের কোন ব্যাঙ্কেই ইভেন বাংলাদেশের ব্যাঙ্কেও টাকার বস্তা জমা দিতে পারবেন না।

কারন পশ্চিমা বিশ্ব ২০০০ সালের দিকে বিশ্বব্যাপি জঙ্গি সন্ত্রাস দমনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়, তার ভেতর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অন্যতম। আইনগুলো হচ্ছে
আইনগুলো হচ্ছেঃ

সন্ত্রাসবাদ আইন ২০০০
সন্ত্রাস দমন, অপরাধ ও সুরক্ষা আইন ২০০১
প্রসিড'স অব ক্রাইম অ্যাক্ট ২০০২
গুরুতর সংগঠিত অপরাধ ও পুলিশ আইন ২০০৫
নিষেধাজ্ঞা এবং অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইন ২০০০ ও ২০১৮

বাংলাদেশ সরকার ২০০২ সালে মানি লন্ডারিং আইন প্রণয়ন হয় যার নাম "মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ "।
কিন্তু পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয় নি। পরবর্তীতে, ২০০৯ এ আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও অধ্যাদেশ রহিত করে "মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২" নামে নতুন একটি আইন পাশ হয়। এটি পশ্চিমা বিশ্বের আইনের সাথে সংগতি রেখে ২৮টি সম্পৃক্ত অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থ ও সম্পত্তি অর্জন বা স্থানান্তরের উদ্দেশে উল্লেখিত সম্পৃক্ত অপরাধ সংগঠন বা এর সাথে জড়িত কার্যক্রম মানিলন্ডারিং হিসেবে বিবেচিত হবে।


ছবি সুত্র - টেক শহর


তবে বাংলাদেশ বা বিশ্বে এখনও যে টাকা যে পাচার হয় না, সেটাও না।
বর্তমানে পাচার করা অবৈধ টাকা রাখা হয় বিভিন্ন দেশের কয়েকটি অফশোর ব্যাঙ্কে যারা মানি লন্ডারিং আইন স্বাক্ষর করে নি।
তবে রিসেন্টলি ২০১৬ তে দক্ষ ইনভেষ্টিগেটিভ সাংবাদিকরা সারা বিশ্বে যারা যারা অপকর্ম করেছে সব পাচারকারিদের নাম প্রকাশ করে দিয়েছে। লাখ লাখ পাচারকারির নাম ঠিকানা সব পরিচয় প্রকাশ করেছে।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক গ্লোবাল ফাইনানসিয়াল ইন্টিগ্রিটি সংস্থাটির রিপোর্ট প্রকাশিত হলে, আরেকটি ওয়াশিংটন ভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস’ চোর ধরার কাজ শুরু করে দেয়।
১১৭টি দেশের ৬ শতাধিক ইনভেষ্টিগেটিভ সাংবাদিক বছরব্যাপি আরো ১৪টি উৎস / ব্যাঙ্ক / ব্যাঙ্কের আইনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি থেকে চুরি/হ্যাকিং/ গোয়েন্দাগিরি করে টাকা পাচারের কোটির উপরে নথিপত্র ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। এবং ২০১৬ তে পানামা পেপার্স, রিপোর্ট বের করে সারা পৃথিবীতে আলোড়ন শৃষ্টি করে।
২০১৬ তে পানামা পেপার্স, পরে ২০১৮তে প্যারাডাইস পেপারস ও ২০১৯এ প্যান্ডরা পেপার্স।
অর্থ পাচার করেছে প্রত্যেকের নাম পৃথিবীর সব দেশের লাখ লাখ পাচারকারিদের নাম ঠিকানা প্রকাশিত হয়েছে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস’ (আইসিআইজে) ২০১৬ তে ‘পানামা পেপারস’ নামে নথি প্রকাশ করে আলোড়ন শৃষ্টি করেছিল। কাজ এখনো চলছে।

জার্মান পত্রিকা সুচডয়েচে সাইটুংয় সহ ১১৭টি দেশের ৬ শতাধিক ইনভেষ্টিগেটিভ সাংবাদিক বছরব্যাপি আরো ১৪টি উৎস থেকে টাকা পাচারের কোটির উপরে নথিপত্র ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছেন। পৃথিবীর সব দেশের লাখ লাখ পাচারকারিদের নাম পাওয়া যায়।

এইসব তালিকায় বাংলাদেশী বেশকিছু জনের নাম পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশের বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, তার স্ত্রী নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, ছেলে তাফসির আউয়াল ও তাবিথ আউয়ালসহ বেশ কয়েক ডজন বাংলাদেশির নাম পাওয়া যায়। ১-২ জনের মত আওয়ামীলীগ ব্যাবসায়ী নেতা ও এম্পির নামও পাওয়া যায়।
বাংলাদেশী পাকিস্তানপন্থিদের নবী ইমরান খানের নামও উঠে এসেছে সেক্রেটারি কাম বান্ধবীর নামে টাকা রেখে। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুল রহমান আল সৌদ, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের এক ছেলে এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। নেওয়াজের ভাই শাহাবাজও আছে। কিছু পাকিস্তানি রাজনীতিবিদের নামও। নামে বেনামে আছে এরদোয়ান পুটিনের নামও। খুব সৎ বলে পরিচিত কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর নামও আছে।
হাসিনার নাম দূরে থাক এক-দুজন বাদে কোন বড় আওয়ামীলীগ নেতার বা নেতার কাছের মানুষের নাম নেই। কিন্তু বিএনপির বড় নেতারা আছে।
লন্ডনে তারেক জিয়ার যাবতীয় চোরাই অর্থ রাখা হত তালিকায় থাকা আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের মাধ্যমে

এর আগে ২০১২-১৩ সালে সিংগাপুরের একটি ব্যাংকে তারেকের টাকা খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর একাউন্ট থেকে ২১ কোটি টাকা ফেরত আনে দুদক।

পাচারকারি বাংলাদেশি আওয়ামীলীগ বিএনপি যে যাই করুক প্রত্যেকের নামে মামলা করেছে দুদক,
যারা পলাতক নয় প্রত্যেকে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে দুদকে।
দুদক মোট ৬০ ব্যক্তির অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে ১৮টি দেশে চিঠি দিয়েছিলো। তার মধ্যে ৩০ জনের ব্যাপারে তথ্য পায়। তাদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যরাও আছেন। কিন্তু সেই তালিকা ধরে তদন্তের অগ্রগতির খবর পাওয়া যাচেছনা। ১৮ টি দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ক্যানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, সিংগাপুর, আরব আমিরাত, অষ্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার নাম রয়েছে।

এজাবত পাচারকারি যাদের যাদের নাম এসেছে -

পানামা পেপারস প্যারাডাইস পেপারস ও প্যান্ডরা পেপার্স। কেলেঙ্কারিতে যেসব নাম ও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের তারা হলেন,



ঢাকা থেকে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেন
আবদুল আওয়াল মিন্টু, (বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান)।
নাসরিন ফাতেমা আওয়াল,
তাবিথ আওয়াল,
তাফসির আওয়াল,
তাজওয়ার মোঃ আওয়াল,
কাজী জাফরউল্লাহ (প্রাক্তন সাংসদ ২০০১ আওয়ামীলীগ)
স্ত্রী নীলুফার জাফরুল্লাহ
চৌধুরী ফয়সাল,
আহমেদ সমির,
ব্রুমার অ্যান্ড পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড,
মুসা বিন শমসের,
ফজলে এলাহী,
কে এইচ আসাদুল ইসলাম,
জুলফিকার আহমেদ,
ইমরান রহমান,
এরিক জনসন অ্যান্ড্রিস উইলসন ডব্লিউএমজি লিমিটেড,
ফারহান ইয়াকুবুর রহমান,
আমানুল্লাহ ছাগলা, পদ্মা টেক্সটাইল।
মাহতবা রহমান,
শাহনাজ হুদা রাজ্জাক।

চট্টগ্রাম থেকে মোহাম্মদ এ আওয়াল
মোহাম্মদ মালেক
এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে
তাজুল ইসলাম তাজুল
ফারুক পালওয়ান

প্রবাসীও আছে।

মুঘল ফরিদা, নিউইয়র্ক
শহীদ উল্লাহ, টেক্সাস। (পলাতক, তার ওস্তাদ মানব পাচারকারি সাইফুল্লা জেলে)
মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, মস্কো
মাহমুদ হোসেন, আয়ারল্যান্ড
গ্লোবাল এডুকেশন সিস্টেম। আয়ারল্যান্ড
মোহাম্মদ রেজাউল হক, মাল্টা

আরো বিভিন্ন নাম পাওয়া গেছে
কফিল এইচ এস মুয়িদ,
পেসিনা স্টেফানো,
রুডি বেঞ্জামিন,
ইউসুফ রায়হান রেজা,
ইশরাক আহমেদ,
নভেরা চৌধুরী,
ফরহাদ গণি,
মেহবুব চৌধুরী,
বিলকিস ফাতিমা জেসমিন,
রজার বার্ব,
আবুল বাসার,
জাইন ওমর,
বেনজির আহমেদ,
আফজালুর রহমান,
সুধীর মল্লিক,
জীবন কুমার সরকার,
নিজাম এম সেলিম,
মোকসেদুল ইসলাম,
মোতাজ্জেরুল ইসলাম
সেলিমুজ্জামান।
এদের মধ্যে আফজালুর রহমান ও মোতাজ্জেরুল ইসলামের নাম দুবার আছে বা ভিন্ন ব্যাক্তিও হতে পারে।

পরে কিছু নাম ও প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়।

নিহাদ কবির, ইন্দিরা রোড.
সাইদুল হুদা চৌধুরী,
ইসলাম মঞ্জুরুল, ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রি কেমিক্যাল কোম্পানি
মোহাম্মদ ভাই, গুলশান. (আজিজ মোহাম্মদ ভাই)
সাকিনা মিরালী, মুনরেকার সার্ভিসেস করপোরেশন
অনিতা রানী ভৌমিক, চকবাজার
ওয়াল্টার পোলাক, ফ্লিন্ট এন্টারপ্রাইজেস এসএ.আর্জেন্টিনার পাশাপাশি বাংলাদেশ
ডেনিয়েল আর্নেস্তো আইউবাত্তি। কুডেল লিমিটেড রাশিয়া ও বাংলাদেশ

শুধু প্রতিষ্ঠানের নাম যা পাওয়া গেছে -

ইউনোকল বাংলাদেশ এক্সপ্লোরেশন লিমিটেড,
ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক সেভেন লিমিটেড,
ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক ফাইভ লিমিটেড,
ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক টেন লিমিটেড,
ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লকস থার্টিন অ্যান্ড ফোর্টিন লিমিটেড,
ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক টুয়েলভ লিমিটেড,
বার্লিংটন রিসোর্সেস বাংলাদেশ লিমিটেড,
ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশ-বারমুডা লিমিটেড,
টেরা বাংলাদেশ ফান্ড লিমিটেড,
আনিসুর রহমান অ্যান্ড কোং
ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
ইসলামিক সলিডারিটি শিপিং কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সাকা চৌ পরিবার)
বাংলাদেশ টেক্সটাইল এজেন্সিজ লিমিটেড।
বাংলাদেশ বিমান ইনকরপোরেশন, (বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নয়)


তবে বাংলাদেশে দুদক ও বিচার বিভাগ থেমে নেই।
পাচারকারিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমান করা দেশেই কঠিন, বিদেশেও কোন দেশ এখনো তেমন কাউকে শাস্তি দিতে পারেনি,
তবে দুদক ৬৯ জনকে দৌড়ের উপর রেখেছে। ভারতে একজনকে তথ্য দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে।



পানামা, প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা ৬৯ বাংলাদেশির তথ্য হাইকোর্টে দাখিল
পানামা ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে নাম আসা ৬৯ বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। The Business Standard
27 January, 2022, পরবর্তি রোববার এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।


বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পক্ষ থেকে ওই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক হলফনামা আকারে হাইকোর্টে অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামসহ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
আগামী রোববার এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বিএফআইইউ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, অর্থপাচারের বিষয়ে তারা দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং অনুসন্ধান করে গত ৫ বছরে দুদক, সিআইডি, পুলিশ এনবিআরসহ অন্যান্য সংস্থাকে মোট ৪ হাজার ৫০৭ টি 'ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট' সরবরাহ করেছে। এগুলোর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৮৭ টি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৬৭ টি, ২০১৮-২০১৯ এ ৫৫৩টি, ২০১৭-১৮ এ ১ হাজার ১৯৭টি এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪০৩টি রিপোর্ট সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো এসব সংস্থার নেওয়া আইন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছে।

আপডেট হবে। ধন্যবাদ।



সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
১৯টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×