চিহ্নিত এক শ্রেণীর লোক জাফর ইকবাল স্যারের বিরুদ্ধে লেগে আছে।
অদ্ভুত সব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। উনি কেন মুক্তিযুদ্ধে গেলেন না?
কথাটি কারা বলছে? চিহ্নিত জামাত-শিবির। ঘাতক আলবদরের ছানা পোনারা।
মানে শিবির চক্রকে জিজ্ঞেস অনুমতি নিয়ে তারপরে মুক্তিযুদ্ধে যেতে হবে । মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে তো শিবির রা ছিল!
আশ্চর্য কয়েক হাজার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেতে পেরেছে, কিন্তু শিবির চক্র বলছে ৭ কোটি মানুষ সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে হবে? না গেলে এজন্য ওত পেতে থাকে ওনার ঘাড়ে কোপ দিতে হবে।
জহির রায়হান সহ একাত্তরে নিহত বুদ্ধিজীবিগন বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার পক্ষে ঘাতকদের বিচারের জন্য মুখোশ উন্মোচনে যে কাজ গুলো করতেন জাফর ইকবাল স্যার অত্যন্ত নিষ্ঠা ও বিশ্বাসযোগ্যতার সাথেই সেসব কাজ করে যাচ্ছেন। এই সব কাজ স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য ভয়ানক বিপদের কারন। তাই ওনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে বিতর্কিত করে উপস্থাপনা করার একমাত্র কারণ। বিচলিত হওয়ার কিছু নেই, এসব কৌশল সম্মন্ধে মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের জনগণ ভালভাবেই অবগত আছেন। যার জন্য জাফর ইকবাল স্যার এগুলো নিয়ে ভাবেন না বা প্রতিক্রিয়া দেখান না যার জন্য উনি উনার কর্তব্যের কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন।
সপ্তম শ্রেণীর একটা বই। সাধারণ বিজ্ঞান বই। এই প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের জন্য বিজ্ঞান। এসব কোন কবিতা না কোন সাহিত্য না উপন্যাসও না। বিজ্ঞানের সাধারণ সূত্র মাধ্যাকর্ষণ সূত্র নিউটনের মাথায় আপেল পড়া, গ্যালিলিও, পড়ন্ত বস্তু, বিজ্ঞানের এসব মৌলিক সূত্র সারা পৃথিবীর বিজ্ঞান বইতে থাকতে হয়। থাকবে।
কিন্তু প্রথম আলোর লেজ ধরে সবাই এমন ভাবে বলছে যেন বিশাল কিছু চুরি হয়ে গেছে।
সবটা বই পড়ে কোন কিছুই খারাপ এলোমেলো লাগলো না। একটি ছোট ক্লাসের বিজ্ঞান বই লিখতে গিয়েও যদি সব কিছু নতুনভাবে গবেষণা করে লিখতে আবিষ্কার করে লিখতে হয় সেই চাওয়াটা হচ্ছে শুধু শুধু বিতর্ক তৈরি করার জন্য এটা একটা জামাতি পেইড প্রতিবেদন।
কোথাও তথ্যের কোন ভুল খুজে পায়নি।। আর ক্লাস সেভেন কেনো, ক্লাস টেন ইন্টারমিডিয়েটের বইতেও কোন রেফারেন্স থাকেনা। দরকারও হয় না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বাংলায় লেখা টেক্সটবুকগুলো গুলোও রেফারেন্সবিহীন।
এখন দেখা যাচ্ছে প্রথমআলোর ছাগল পালদের কথামতো সবকিছু আবার নতুন করে আবিষ্কার করে পেটেন্ট করে তারপর পাঠ্যপুস্তক লিখতে হবে।
ওরা দাবি করছে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে নিয়েছে।
বিদ্রুপাত্তক প্রবল আক্রশ নিয়ে বলছে 'চুরি করেছে'। আমার কথা হচ্ছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি পত্রিকা কি গ্যালিলিও নিউটনদের দাদা? সব বিজ্ঞানের নিউটন গ্যালিলিও সহ সব থিওরির মালিক? ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিন কার কাছ থেকে নিল? ওরা কি নিজেরাই এসব আবিষ্কার করছে? সপ্তম শ্রেণীর একটা অতি প্রাথমিক একটা বিজ্ঞান বই। বিজ্ঞানের প্রাথমিক জ্ঞান এটা আবার সূত্র উল্লেখ করা লাগে নাকি।
আজ সারাদিন প্রথম আলোর লেজ ধরে কিছু চিহ্নিত ডক্টর, প্রফেসর নামের গর্ধবগুলো স্যার কে হেয় করে সোশাল মিডিয়া সয়লাব করে ফেলেছে।
এইসব চিহ্নিত ডক্টর, প্রফেসরদের নুন্যতম জ্ঞ্যান নেই যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটি 'ওপেন সোর্স নলেজ সাইট' এবং এর জন্য রেফারেন্স দরকার হয় না।
আসলে উনি তো এ বই লিখেন নাই। উনি শুধু বইগুলো সম্পাদনা করেছেন। এখন বইটির একটি পাতার কিছু লেখা ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে নেওয়া হলেও হুবহুতো নেওয়া হয়নি অনুবাদ করে নেওয়া হয়েছে। একটা অনুবাদ ক্রস চেক করে দেখা কারো পক্ষেই কোনভাবেই অনুমান করা সম্ভব না।
করতে হবেই বা কেন? যদি ইংলিশটা নিতো তাইলে না হয় কিছু বলা যেত। ধিক্কার জানাই প্রথম আলোকে। প্রথম আলোর লেখককে।
জাফর ইকবাল স্যার আজকে ৭১ টিভি কে ফোনে বলেছেন তিনি দুঃখিত।
উনি সজ্জন মানুষ। তাই বলেছেন। আসলে দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫