
তাকে দুতাবাস কোন চান্সই দেয় নি।
আজ সন্ধ্যায় এমরান আহম্মদ (বর্খাস্ত ডিএজি) স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার জন্য গেছিলেন।
এমরান পরিবার নিয়ে মার্কিন দূতাবাসে অবস্থান নেওয়ার পর ডেইলি স্টারকে একটি খুদে বার্তা পাঠান।
তাতে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি মার্কিন দূতাবাসে আজকে পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। বাইরে পুলিশ। আজকে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে...। আমার ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার ভালোবাসার প্রতিদান দেয় জেল দিয়ে। আমার আমেরিকার কোনো ভিসা নেই। স্রেফ ৩টা ব্যাগে এক কাপড়ে আমার ৩ মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়ে দুতাবাসে বসে আছি।
বাস্তবতা হচ্ছে এই সাহেবকে দুতাবাসে ঢুকতেই দেয়া হয় নি।
দুতাবাস ভবনের বাইরে গেইটের কাছে সিকিউরিটি রুমে বসিয়ে রাখা হয়। খুদে বার্তা পেয়ে সাংবাদিকরা আসার আগেই পুলিশ ডেকে পোটলা বোস্কা সহ পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে প্রথম আলো যা লিখেছে -
এমরানের স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে মার্কিন দূতাবাসে অবস্থানের খবর প্রকাশের পর গণমাধ্যমকর্মীরা দ্রুত সেখানে ছুটে যান। সেখানে থাকা অন্যান্নরা জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে দূতাবাসের বাইরে থেকে একটি গাড়ি আসে। সেই গাড়িতে পুলিশের সাথে পরিবারসহ দূতাবাস ছেড়ে যান এমরান।
রাত সাড়ে আটটার দিকে এমরান আহম্মদের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তিনি বলেন, বাসায় যাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশ রয়েছে।
এমরান আহম্মদ বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তাই মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর কোনো ক্ষতি হবে না, সে বিষয়ে আশ্বস্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
তাঁর বিষয়ে জানতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়। তখন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কাছে আপনাদের জানানোর মতো কোনো তথ্য নেই।’
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





