somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ডা. মোহাম্মদ মোমিনুজ্জামান খান
আমি, নিতান্তই একজন সাধারণ বাংলাদেশি। এই ব্লগে আমি আমার গল্প বলি — আমার কথা, আমার ভাবনা, একজন সাধারণ মানুষের, যে তার আয়নায় অসাধারণ স্বপ্ন দেখে। চলুন, একসঙ্গে খুঁজে দেখি আমার আয়নার সেই প্রতিচ্ছবি, যেখানে আমি শুধু আমি নই, আমি আমার বাংলাদেশ।

পরিবর্তন কি একদিনে সূচিত হয়? ইতিহাসের আলোকে বাংলাদেশের সম্ভাবনা

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সূচনা: একদিনের বিপ্লব, নাকি শতাব্দীর প্রস্তুতি?

পরিবর্তন একটি শব্দ, যা কখনো নিঃশব্দে আসে, কখনো বা ঝড়ের মতো গর্জন করে। আমরা প্রায়ই শুনি ‘একদিনেই সব বদলে গেল’। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই পরিবর্তন কি সত্যিই একদিনে ঘটে? নাকি সেই ‘একদিন’ কেবল দৃশ্যমান বিস্ফোরণ, যার অন্তর্নিহিত প্রস্তুতি চলে বহু বছর ধরে, যার পেছনে লুকিয়ে থাকে দীর্ঘ সময়ের উদ্যোগ-আয়োজন, সংগ্রাম, আর অগণিত মানুষের নীরব অবদান? এই প্রশ্ন শুধু দার্শনিক নয়, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে গভীর। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন আরও জরুরি, কারণ আমরা একদিকে অতীতের রক্তাক্ত জাগরণ, অন্যদিকে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। বাংলাদেশের ইতিহাস এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমাদেরকে একটি সমৃদ্ধ পটভূমি দেয়। এই লেখায় আমরা আলোচনা করব, পরিবর্তনের প্রকৃতি কী, ইতিহাস আমাদের কী শিক্ষা দেয়, এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কীভাবে আমরা টেকসই পরিবর্তনের পথে এগোতে পারি।

ইতিহাসের পাঠ: পরিবর্তনের ছায়া দীর্ঘ হয়

পরিবর্তনের ইতিহাসে ‘একদিন’ কখনোই একক ঘটনা নয়। বরং তা বহুদিনের জমাট ক্ষোভ, আশা, ও প্রস্তুতির ফল। এটি একটি প্রক্রিয়া, যা সময়ের স্রোতে গড়ে ওঠে। ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা দেখতে পাই, বিশ্বের বড় বড় পরিবর্তন, তা ফরাসি বিপ্লব হোক, আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলন হোক, কিংবা আমাদের নিজেদের মুক্তিযুদ্ধ, কোনোটিই একদিনে ঘটেনি। এর পেছনে ছিল বছরের পর বছর ধরে জমে ওঠা অসন্তোষ, সামাজিক জাগরণ, এবং সঠিক সময়ে সঠিক নেতৃত্বের উত্থান।

উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথাই ধরা যাক। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি, কিন্তু এই স্বাধীনতা কি সত্যিই এক বছরের ফল? ২৬শে মার্চ ছিল প্রতীকী সূচনা মাত্র। কিন্তু তার আগে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), ছয় দফা আন্দোলন (১৯৬৬), ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, এবং ৭ই মার্চের ভাষণ, এই সবগুলোই ছিল সেই পরিবর্তনের ধাপ। প্রতিটি ধাপ ছিল প্রস্তুতির অংশ। প্রতিটি ঘটনা একটি ইটের মতো কাজ করেছে, যা শেষ পর্যন্ত একটি শক্ত ভিত গড়ে তুলেছে। তেমনি ১৭৮৯ সালে বাস্তিল দুর্গ পতনের দিনটিকে আমরা ফরাসি বিপ্লবের সূচনা হিসেবে দেখি। কিন্তু তার আগে ছিল বহু বছরের সামাজিক অসাম্য, অর্থনৈতিক সংকট, এবং বুদ্ধিবৃত্তিক আলোড়ন। আবার ২০১০-২০১২ সালের আরব বসন্তে তিউনিসিয়ার এক তরুণের আত্মাহুতি হয়তো আগুন জ্বালিয়েছিল, কিন্তু তার পেছনে ছিল দীর্ঘদিনের দমন-পীড়ন, বেকারত্ব, এবং রাজনৈতিক স্থবিরতা।

ইতিহাস আমাদের শেখায় যে পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, পরিকল্পনা, এবং সামষ্টিক প্রচেষ্টা। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো, পরিবর্তনের পেছনে থাকে মানুষের ইচ্ছাশক্তি। দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাপার্টহাইডের অবসান, ভারতের স্বাধীনতা, বা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্বের দূরদর্শিতা একত্রিত হয়ে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছে।

তবে ইতিহাস এও বলে যে পরিবর্তন সবসময় ইতিবাচক ফল বয়ে আনে না। ফরাসি বিপ্লবের পরে ফ্রান্সে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল, তা আমাদের শেখায় যে পরিবর্তনের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন যদি সুচিন্তিত না হয়, তবে তা নতুন সমস্যার জন্ম দিতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট, এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতা দেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল।

বাংলাদেশের বাস্তবতা: পরিবর্তনের পথ কোথায়?

বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। তৈরি পোশাক শিল্প, রেমিট্যান্স, এবং ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি খাত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই অগ্রগতির পাশাপাশি রয়েছে দারিদ্র্য, বৈষম্য, দুর্নীতি, এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন আরও প্রাসঙ্গিক। তাহলে আমাদের কি উপায়? কীভাবে আমরা টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত করতে পারি? আমরা কি অপেক্ষা করব সেই ‘একদিন’-এর জন্য, নাকি প্রতিদিনই গড়ব পরিবর্তনের ভিত্তি? এখানে কয়েকটি সম্ভাব্য উপায় সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:

১. শিক্ষা ও চিন্তার স্বাধীনতার প্রসার ও গুণগত উন্নতি
শিক্ষা ও চিন্তা হলো যেকোনো পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে শিক্ষার হার বেড়েছে, কিন্তু গুণগত শিক্ষার অভাব এখনো একটি বড় সমস্যা। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক দক্ষতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, এবং উদ্ভাবনী মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার প্রসার, স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, এবং শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নের উপর জোর দিতে হবে। পাশাপাশি পাঠ্যবইয়ের বাইরে চিন্তার চর্চা, বিতর্ক, সাহিত্য, ও ইতিহাস চর্চা, এবং শিক্ষায় নৈতিকতা ও সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির উপরও জোর দিতে হবে।

২. সুশাসন ও দুর্নীতি দমন
দুর্নীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে একটি বড় বাধা। সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, এবং আইনের শাসন জোরদার করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দুর্নীতি কমানো সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, ই-গভর্ন্যান্স ব্যবস্থার প্রসার ঘুষ ও অনিয়ম কমাতে সাহায্য করছে।

৩. পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন
জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় হুমকি। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে। সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস, এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে, পরিবেশবান্ধব শিল্প নীতি প্রণয়ন এবং জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

৪. তরুণদের ক্ষমতায়ন
বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তরুণ। এই তরুণ শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি, এবং প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর ইতোমধ্যে বিশ্বে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে। এই খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারলে তরুণরা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।

৫. সামাজিক সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন
নারীর ক্ষমতায়ন বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি বড় চালিকাশক্তি। তৈরি পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে, সামাজিক বৈষম্য কমাতে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

৬. সাংস্কৃতিক জাগরণ ও ঐতিহ্যের পুনরাবিষ্কার
পরিবর্তন শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিকও। ইতিহাসের আলোকে সাংস্কৃতিক বয়ান তৈরি করতে হবে। এর সাথে লোকসংস্কৃতি ও আধুনিকতার সংলাপ ও সমন্বয় জরুরী। কবিতা, চিত্রকলা, নাটক প্রভৃতি যা প্রশ্ন তোলে, আলো জ্বালে, সেগুলোকে যথাযোগ্য তুলে ধরার বিকল্প নাই। চিন্তার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে ঐতিহ্যের জাগরণ ছড়িয়ে দিতে হবে।

৭. রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক অংশগ্রহণ
আমরা প্রায়ই রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রাখি, যেন তা কেবল নেতাদের বিষয়। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রাণ হচ্ছে সচেতন নাগরিক। কাজেই স্থানীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ, তথ্যভিত্তিক মতামত গঠন এবং তরুণদের রাজনৈতিক শিক্ষা ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে হবে।

পরিবর্তনের মানচিত্র: প্রতিদিনের প্রস্তুতি

পরিবর্তন একদিনে ঘটবে না, কিন্তু প্রতিদিনের প্রস্তুতি ছাড়া সেই ‘একদিন’ কখনোই আসবে না। প্রতিদিনের ছোট ছোট প্রশ্ন, ‘কেন?’, ‘কীভাবে?’, ‘আমরা কী করতে পারি?’ এই প্রশ্নগুলোই ভবিষ্যতের ভিত্তি। প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজ, যেমন একটি বই পড়া, একটি বিতর্কে অংশ নেওয়া, একটি পোস্ট লেখা, কারো সাথে আলাপ করা, এই কাজগুলোই গড়ে তোলে বৃহৎ পরিবর্তনের কাঠামো।

পরিবর্তন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি শুধু সরকার বা নেতাদের দায়িত্ব নয়, আমাদের সকলের। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হন, তাহলে নিজেকে শিক্ষিত করুন এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। আপনি যদি একজন পেশাজীবী হন, তাহলে আপনার কাজের মাধ্যমে সততা ও দক্ষতা প্রদর্শন করুন। এবং আপনি যদি একজন নীতিনির্ধারক হন, তাহলে জনগণের কল্যাণে কাজ করুন। আর আপনি যদি নিজেকে কিছুই মনে না করেন, তাহলে একজন সাধারণ খেটে খাওয়া নাগরিক হিসেবে নিজের নাগরিক দায়িত্ব পালন করুন।

শেষ কথা: ইতিহাসের আয়নায় নিজেকে দেখা

ইতিহাস বলে, পরিবর্তন একদিনে সূচিত হয় না, পরিবর্তন কখনোই হঠাৎ ঘটে না। তা ধীরে ধীরে জমে ওঠে, কখনো দৃশ্যমান, কখনো অদৃশ্য। এটি একটি দীর্ঘ যাত্রা, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই ‘একদিন’ আমাদেরই তৈরি করতে হয়। ইতিহাস আমাদের শেখায়, ভবিষ্যৎ আমাদের ডাক দেয়। বাংলাদেশের জন্য উপায় একটাই — চিন্তা, অংশগ্রহণ, এবং প্রতিদিনের প্রস্তুতি।

বাংলাদেশের ইতিহাস আমাদের গর্বিত করে, কিন্তু এটি একই সঙ্গে আমাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। শিক্ষা, সুশাসন, পরিবেশ সুরক্ষা, তরুণদের ক্ষমতায়ন, সামাজিক সমতা, ঐতিহ্যের পুণর্জাগরণ এবং নাগরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি, যেখানে পরিবর্তন শুধু স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই যাত্রার অংশ হই, কারণ পরিবর্তন শুরু হয় আমাদের প্রত্যেকের ছোট ছোট পদক্ষেপ থেকেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:১৬
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×