somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৯১৩ সালে বাঙালির সুখস্মৃতি নিয়ে ২০১৩ সালের শুভেচ্ছা :D

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সবার আগে নববর্ষের শুভেচ্ছা। ২০১৩ সালের ‘তেরো’ সংখ্যাটি নিয়ে কেউ যেন আমাদেরকে অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তায় না ফেলে এজন্যই এই পোস্ট। কারণ, একশো বছর পূর্বে ১৯১৩ সালটি ছিলো বাঙালির ঐতিহাসিক বিজয়ের বছর। বাঙালির জন্য বাঙলা ভাষার জন্য। সেবিষয়ে বলার আগে বলছি, ভবিষ্যৎবাণীর কার্যকারীতা নিয়ে।

“আগামি দিন সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করার চেয়ে বরং নিজেই তা ঘটিয়ে ফেলা উত্তম” (এক্সপ্রাইজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্টাতা পিটার ডায়ম্যান্ডিস)।
অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, পেশাদার ভবিষ্যদ্বক্তাদের চেয়ে নিজের অনুমানই অনেক সময় ঠিক হয়ে যায়। সামনের বছরে কী হবে এসব নিয়ে চিন্তিত না হয়ে নিজের চরকায় তেল দেওয়াই হবে উত্তম পন্থা। তা না হলে ১৩ নম্বরের ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে নানান জনে নানান কথা শুনিয়ে দেবে আপনাকে। সংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের অভাব নেই সমাজে। ২০১৩ সাল নিয়ে আশাবাদি হবার প্রচেষ্টায় চলুন দেখি একশ’ বছর আগে অর্থাৎ ১৯১৩ সালে এই বাঙলায় কী হয়েছিলো।



১৯১৩ সালের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলা সাহিত্যের দু’জন দ্বিকপালের নাম। তাঁরা দু’জনই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের সাথে জড়িয়ে আছেন। এঁদের একজন বর্তমান জাতীয় সংগীতের রচয়িতা এবং অন্যজনের রচিত দেশাত্ববোধক গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছিলো দেশ স্বাধীনের পূর্ব পর্যন্ত। প্রথম জন হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং দ্বিতীয় জন হলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।

১৯১৩ সালে (নভেম্বর) গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। দু’বছর আগে ১৯১০ সালে গ্রন্থটি বাংলায় প্রকাশ পায় এবং ১৯১২ সালে কবি নিজেই তা ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। ইংরেজি গীতাঞ্জলী এরঃধহলধষর: ঝড়হম ঙভভবৎরহম’র ভূমিকা লেখেন কবি ডাব্লিউ বি ইয়েটস এবং তা যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত হলে সমগ্র ইউরোপে সাড়া পড়ে যায়।

১৯১৩ সালে (মে) মৃত্যুবরণ করেন বাংলা দেশাত্মবোধক কাব্যসঙ্গীতের অন্যতম রচয়িতা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। তাঁর রচিত “ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদেরই বসুন্ধরা” কালকালান্তরে বাঙালির হৃদয়ের গান হয়ে থাকবে। স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত স্বদেশী আন্দোলনে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবেই প্রচরিত হয়ে আসছিলো। দেশ স্বাধীন হবার পর গর্বিত বাঙালি রবীন্দ্রনাথের কবিতাটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচন করে, কিন্তু দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গানটি এখনও বাংলাদেশের দ্বিতীয় জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে সমাদৃত। কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ১৮৬৩ সালে (জুলাই) তৎকালীন ভারতের নদীয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

বিশ্বইতিহাসে ১৯১৩ সালের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘটনা:
রাজা হরিশচন্দ্র - চলচ্চিত্রটি (মে ৩) প্রকাশের মাধ্যমে ভারতীয় চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু।
নরওয়ে’র নারীরা ভোটাধিকার লাভ করেন।
চুরি-যাওয়া বিখ্যাত চিত্র ‘মোনা লিসা’ (লিওনার্দো দ্য ভিন্চি’র অমর সৃষ্টি) পুনরায় পাওয়া যায়।

নতুন বছরটি আমাদের জন্য নিয়ে আসুক পরিপূর্ণতা সুখ ও অগ্রগতি! শুভ নববর্ষ!!


সূত্র: বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যক্তিগত অধ্যয়ন।
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×