শহরের শেষ প্রান্ত, পুরাতন বাড়ি।
স্যাতস্যাতে দেয়াল, ডাস্টবিনের জঞ্জাল।
অবিশ্রান্ত পথিক, দিশেহারা দৃষ্টি।
সেইখানে সেই জঞ্জালে একটি গাছের জন্ম।
গাছ নয় আগাছা।
ময়লার স্তুপ আর ধুলার পাহাড়,
এর মাঝে বেচে থাকা।
নিঃসঙ্গতা।
মাথা তুলবার তাড়া।
অন্ধকার।
কেউ দেখেনি, দেখবেনা।
আমি দেখেছি ...
তার খোলা চুল,
ঘুম ভাঙ্গা মুখ,
কাকের স্বচ্ছ চোখ,
সেই বর্ষায়, তোমাদের ব্যল্কুনিতে ....
বৃষ্টি ধরার চেষ্টা,
মুখ ভার করে থাকা,
অথবা তোমার হাতে ধোঁয়া ওঠা চা।
ফাগুনের আগুন লেগেছে ...
আমাতে লাগানি!
লতাগুল্মে ফাগুন আসেনা।
এ ফাগুনে আগুন নয়, আঙ্গার থাকে।
বাধ ভাঙ্গা জোছনায় ....
আমি তোমাদের জোছনার গল্প শুনি নি।
ওই নয়নে অবাক চোখে
সেই চাদ দেখিনি।
ছায়া দেখেছি, শুধু নিজের ছায়া।
একদিন এক হাইরাইজ বিল্ডিং এর নিচে
হারিয়ে যাই।
ধুলোয় মিশে যাই, এই শহরে।
শুধু বাতাসে ভেসে বেড়িয়েছি,
কেউ দেখেনি, কেউ না।