আমি মনে করি এই টপিকে বিস্তারিত কিছু বলার বা লিখার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ, আমরা ইতোমধ্যেই জানি বার্মায় কী ঘটছে আমাদের ভাই-বোনদের উপরে। লাশের পরে লাশ জমছে। সাগরে লাশ ভাসছে। যারা পালিয়ে আসছে, তারা নানাভাবে নানান বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে। শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে যারা কোনভাবে বাংলাদেশে আসতে পেরেছে, তাদের এখন কী দরকার জানেন? এই ভরা বৃষ্টির মৌসুমে মাথার উপরে একটি চালা, একটি বস্ত্র আর পেটে দরকার দু'বেলা অন্তত দু'মুঠো অন্ন।
আমরা তো আর কিছুই করার ক্ষমতা রাখি না (জানিনা জী জবাব দিবো আল্লাহকে।)
কিন্তু, চেষ্টা করলেই আমরা অন্তত কিছু রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের মাথার উপরে একটি চালা, একটি বস্ত্র এবং দু'বেলা দু'মুঠো অন্নের উপলক্ষ হতে পারি, ইনশাআল্লাহ।
যারা নিজেরাই সরাসরি সাহায্য করতে চান , তাদের জন্য--
শরনার্থী দের জন্য যারা টেকনাফ যেতে চান তারা দয়াকরে একটু খোজ খবর নিয়ে যাবেন। আর কয়েক গ্রুপ মিলে যাবেন তাহলে সুন্দরভাবে কাজ করতে পারবেন।
> যা বেশি প্রয়োজন বালিশ, লুংগি, টাকা, খাবার।
> যেই সব ক্যাম্প রেজিস্ট্রেশন করা নেই খোজ নিয়ে সেখানে গিয়ে খাবার দিতে পারেন। ল্যদা ক্যম্পে যেতে পারেন। এটা রেজিস্ট্রেশন করা না।
> বেশি ভাল হয় রাস্তায় পরে থাকা মানুশগুলোকে সাহায্য দিতে পারলে। যারা ক্যম্পে আছে তাদের বালিশ নেই। বালিশ দিতে পারেন।
> কাপড় দিতে পারেন। বেশিরভাগ মানুশ এক কাপড়ে বের হোয়েছে। লুংগি বেশি ভাল কারন ওরা ছেলে মেয়ে সবাই লুঙ্গী পরে।
> এরা যেই পয়েন্ট দিয়ে আসছে সেই পয়েন্ট এ দাড়িয়ে কিছু টাকা দিতে পারেন।কারন ওদের টাকা মায়ানমারের টাকা। ওটা এখানে কাজে লাগে না।ক্যাম্প এ যাবার টাকাটাও ওদের থাকে না।
যারা টাকা ভাঙায় তাদেরকে অনেক মানুশ ৫০,০০০ টাকায় বাংলাদেশি মুদ্রা ১,০০০ টাকা দেয়। অথচ ওদের ১৮,০০০ টাকায় ১০০০ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। একটু খেয়াল করে দিতে পারলে সবাই উপকৃত হবে।
তাদের সমস্যার কোন অন্ত নেই। তবে মূল সমস্যা বলা যায় ৩ টি।
১/ খাদ্য।
২/ পানি।
৩/ টয়লেট।
মসজিদে নলকূপ বসানোর কাজ করছেন শ্রমিক ভাইয়েরা...
উখিয়া থানার কুতুপালং এলাকার একটি মাদ্রাসা, একটি হেফজখানা এবং একটি মসজিদ রয়েছে। ছাত্র শিক্ষকসহ রয়েছে মোট ১৫০ জনেরও বেশি। সেখানেও পানি এবং বিদ্যুতের সমস্যা প্রকট। খাদ্য এবং টয়লেটের সমস্যা তো আছেই। আমাদের রোহিঙ্গা ভাই বোনদের জন্য দোয়া করবেন। তারা খুব খুব অসহায়। সরেজমিনে না দেখলে তা অনুভব করা সম্ভব না।
মৃত্যু'র ভয়ে সর্বস্ব খুইয়ে আজকে পালিয়ে আসা এ মা বোন গুলো ক'বেলার উপোস আল্লাহই জানে। কান্নায় কথা বলতে পারছিলেন না! ভয়াবহ অবস্থা!
বিকেলে রিজিকের ক'টা লোকমার ব্যবস্থা করেন
যারা আর্থিক সহায়তা দিতে চান, আমাদের গ্রুপে যোগ দান করুন প্লিজ। আরিফ আজাদ ভাই এর গ্রুপ লিংক
আরও বিস্তারিত তথ্য পাবেন এখানে-
আরিফ আজাদ ভাইএর ফেসবুক লিংক
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




