সামনে ভর্তি পরীক্ষা, শিয়াল (শিবির) থেকে দুরে থাকতে সাবধান করে দিন, মুরগী হতে নিষেধ করেন।
কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে, ভর্তি পরীক্ষা। যারা এবার এইচ.এস.সি পরীক্ষায় পাস করেছে তারা মেডিকেলে,প্রকৌশলে বা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার যুদ্ধে লিপ্ত হবে। আমি শুধু এসব ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মুরগী না হতে অনুরোধ জানাচ্ছি। কারনটা পরিস্কার, একটু অসচেতন হলেই শিয়ালের খপ্পরে পড়তে হবে। এই শিয়াল গুলো মুরগী ধরে খায় না, মাথা ওয়াশ করে।
শিবিরের পুরাতন ছাত্ররা কিভাবে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে সেটা নিশ্চয় অনেকেই জানেন। আজকে আমার মেধাবী প্রতিবেশী যে ভাইটি (যে হয়তো কিছুটা অস্বচ্ছলও বটে )কোন মেডিকেলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গেল, তাকে হয়তো তাদের মুরগী বানিয়ে ফেলবে। মুরগী ধরার কৌশলটাও চমৎকার, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে খোজ খবর নেওয়া, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া, লেখাপড়ায় সাহায্য করা ইত্যাদি। তাই ছেলেটির ভিতর স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা কৃতজ্ঞতা বোধ জাগে। ব্যাস্ মিশনের প্রথম ধাপ সাকসেসফুল। তারপর হয় মস্তিস্ক ধোলাই পর্ব। যে মেধাবী ভাইটিকে নিয়ে গর্ব করা যেতো, সে হয়ে উঠে তখন শিবির ক্যাডার, রাজাকারদের কান্ডারী, নেতাদের একটি হুকুম তালিম করার জন্য ব্যকুল হয়ে উঠে।
একটু সতর্ক হলেই কিন্তু আমরা আমাদের ভাই, আপনজন বা প্রতিবেশীকে শিয়ালের ক্ষপ্পর থেকে কিছু মানুষকে রক্ষা করতে পারি, যাদেরকে তারা মুরগী ভাবে। এইতো সামনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতি প্রক্রিয়া শুরু হবে, দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে আপনার ভূমিকা কতটুকু হওয়া উচিৎ ভেবে দেখবেন। তা না হলে আফসোস করবেন। তখন হয়তো নব্য সৃষ্ট শিবির ক্যাডারদের লিখনিতে এই ব্লগেই তাদেরকে ছাগু উপাধি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করতে চাইবে কেউ কেউ। আপনার দায়িত্ব কিন্তু এখনোই পালন করা উচিৎ।
রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ সেক্টর যেমন-সেনাবাহিনী, প্রশাসন, স্বাস্থ্য সেবা, ব্যংকিং খাত, শিক্ষা খাত প্রভৃতিতে তাদের অনুসারীদের প্রবেশ ঘটানো হয়েছে এবং হচ্ছে, যাতে কোন এক ভবিষ্যতে রাষ্ট্র যন্ত্র কব্জা করতে অসুবিধা না হয়। জামায়াত ভালো করেই জানে, জনগনের ভোটে তার কোন দিনই ক্ষমতায় যেতে পারবেনা, তাই তাদের দরকার আপনার আমার মেধাবী ভাইবোনদের। অতএব সাবধান।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




