কর্মগুণে একজন মানুষ মহৎ হয়ে উঠেন। মানুষের কল্যাণে দেশের স্বার্থে ধ্যানজ্ঞান, অর্জন সবকিছু উৎসর্গ করেন নিঃস্বার্থভাবে। করেন মানুষের উপকার, দেশের কল্যাণ। আজকে আমি এমনই একজন মানুষকে নিয়ে দুই লাইন লেখার সাহস করছি। তিনি সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় লাখের অধিক প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিভাবক বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মান্যবর কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক স্যার। দুই বছর সফলভাবে পার করেছেন।
যখন করোনা কমতে শুরু করে। অফিস আদালত ফুল টাইম কাজ শুরু হয়েছে। প্রচুর কাজ জমা পড়ে আছে। পাসপোর্ট আবেদন কারীদের ভিড়, সেই সাথে অনেক আলোচনা সমালোচনা। পুরাই এলোমেলো অবস্থা। তখনই আলোকবর্তিকা হিসেবে কনসাল জেনারেল
(এপ্রিল ২০২১) সালে করোনা সময়ে যোগদান করেন।
দূতাবাস বা কনস্যুলেটে প্রবাসীরা আসে বেশিরভাগ পাসপোর্ট সেবা নিতে। করোনা কারণে প্রচুর কাজ বাকি পড়ে আছে। পাসপোর্ট সেকশনের পরিবেশ খুবই খারাপ। জমা পড়ে থাকা কাজ গুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। কয়েকটি ডায়নামিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করে কয়েক মাসের মধ্যেই সাফল্য আসতে শুরু করে।
যেটি বিশেষভাবে কাজ করে, সকাল ৮ ঘটিকায় অফিসে কাজ শুরু করে স্যার নিজে কাউন্টারের সামনে প্রায় প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থেকে সেবা প্রত্যাশী প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিত করেছেন। এইভাবে জমা পড়ে থাকা কাজ সফলভাবে শেষ করছেন। ২০২২ সাল থেকে প্রবাসীরা সর্বোচ্চ দেড় মাসের মধ্যেই পাসপোর্ট হাতে পাওয়া শুরু করেন। আমি যেহেতু একটু বাহিরে ঘুরাঘুরি করি সাধারণ জনগণের বিভিন্ন ইউনিট বা প্রোগ্রাম গুলোতে। প্রবাসীদের মন্তব্য শুনে থাকি। কনস্যুলেট সেবায় তাঁরা মহাখুশি।
কনস্যুলেটে স্থাপিত ( টোল ফ্রি ) হটলাইন অপারেটর বলছে, চালু হওয়ার পর থেকে যে সকল অভিযোগ আসতো, ২০২৩ সালে এসে এখন এইরকম কোন অভিযোগ নেই বললে চলে।
স্যার, আপনার প্রতি অনেক অনেক শুভকামনা। আপনার সুস্থ ও সুন্দর জীবন কামনা করছি। জেদ্দা কনসুলেটে আপনার অবস্থান সুদীর্ঘ হোক। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হোক।
এই ফুল গাছে ফুল না আসা পর্যন্ত স্যার যেমন ফলোআপ করেছে । ঠিক একেইভাবে কনস্যুলেট অফিসের পরিবেশও হয়েছে ফুলের মতো । স্যারের পাশে দাঁড়িয়ে একটা ছবি তোলার ইচ্ছে আছে— কিন্তু এখনো সফল হয়নি ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:১৮