আমার শ্রান্ত মনের ক্লান্ত ভাবনায় হঠাৎ করে একটি শব্দ একটু অন্যরকম ভাবনার জন্ম দিলো। আমার কাছে যেনো মনে হলো এই শব্দটি নিভৃতে আমাদের মননে সব সময় পীড়া দিচ্ছে আজন্ম। শিরোণামে লিখা এই শব্দটি জন্ম থেকেই জানিনা কেনো আমাকে পীড়া দিচ্ছে অন্তরীক্ষে।
শৈশবেই প্রথম নিজের মধ্যে বোধ জাগে তাই,যতদূর মনে পড়ে তখন থেকেই ঐ শব্দটি পেছনে লাগে আমার। পাশের বাড়ীর ছেলেটির নাটাই ভর্ত্তি সূতা আর রঙ্গীন ঘুড়ী দেখে মনের মধ্যে আফসোস জাগে ইস্ আমার বাবা যদি ওর বাবার মতো অনেক টাকার মালিক হতো, স্কুল টিফিনে পাউরুটি খেয়ে খেয়ে আফসোস হতো ইস্ 'দানিয়েল'এর মতো যদি আমার মা'ও রুপালী কাগজ মুড়ে সান্ডউইচ কিংবা বারগার পাঠাতো, শৈশবে আরো কত কি?
কৈশরে আফসোস টা অন্য মাত্রা নেয়, না পাওয়ার কষ্ট যেনো ঐ শব্দের মাধ্যমে প্রতিধ্বনিত হতো বারবার। ইস্ আমার কেনো এখনো গুফ উঠেনা, এসবের মাঝেই যৌবন আসে,যৌবনে শব্দটির যন্ত্রণার মাত্র বৃদ্ধি পায় বহুগুন। ক্লাসের সুন্দরী ছাত্রীটি কেনো আমার দিকে তাকায় না? ইস্ ও যদি আমার প্রেমিকা হতো, আমার মনে হয়না এমন কেউ আছেন যারা একবারের জন্য হলেও বন্ধুর প্রেমিকাকে দেখে আফসোস মেশানো নিশ্বাস ছাড়েননি। যাইহোক এমন হাজারো আফসোসে জীবন কাটিয়ে এখন মধ্য বয়সে।
বিলেত আসার তেরো দিনের মাথায় বাবা'কে হারাই, ইস্ বাবাটা এত তাড়াতাড়ি মরে না গেলেই পারতো, আফসোস হয় কেনো আসলাম ১/১৩৬-এর দেশে (১পাউন্ড=১৩৬ টাকা)
গ্রুপ থিয়েটার-এর মোহে যৌবন বিলিয়ে এখন জনপদে থিয়েটারের অবলুপ্তি দেখে আফসোস হয়, ইস্ যদি আরেকটু মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করতাম। দেশদ্রোহী জামায়াতের উথ্বান দেখে আফেসোস হয় (!)
আফসোস হয় নতুন গাড়ি, নতুন বাড়ি, নতুন বউ দেখে, এখন ভাবি মৃত্যুর সময় কি থাহলে শুধু আফসোস নিয়েই মরবো?
আমার এই লিখা যিনি পড়ছেন তাকে বলছি, আফসোসের সংখ্যা জীবনে কত তা না গুনে আমাদের আগামীতে যেনো আর এই শব্দের তাড়নায় না পড়তে হয় সে ভাবনা কি বলবেন? খুবই খেলো এই লিখা টা "আমার ব্লগে'' ছাপা হবে এটা নিশ্চিত কারন আমার মতো আবোল-তাবোল লেখকের লিখা অন্নান্য বাংলা ব্লগে ছাপানো হয়না, সেখানোও আফসোস, ইস্ আমার যদি একটা ব্লগ থাকতো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




