somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুরে এলাম নতুন বিভাগীয় শহর রংপুর - কি কি দেখলাম......পর্ব ০১

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২ তারিখ রাত ১১টায় রংপুরের গাড়িতে উঠে ভোরে পৌছে গেলাম। গাড়ি থেকে নামার সাথেসাথে বুঝলাম শীত কত প্রকার ও কি কি। উত্তারান্চেলর শীত বলে কথা। কাঁপতে কাঁপতে ২জনে রিকশায় করে গেলাম জেল রোডে ননাসের বাড়িতে। ওখানে আব্বা, আম্মু মানে আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়ি আগেই আসছেন। আম্মুর শরীর খারাপ ছিলো। রংপুরে উনি ডক্টর দেখাতে এসেছেন। আর আমরা লম্বা ছুটি পেলাম বলে ভাবলাম সবার সাথে দেখা করে আসি। ননাসের বাচ্চা দুটোকেও অনেকদিন দেখিনা। ওদেরও দেখতে মনচাচ্ছিল খুব।

যাওয়ার আগের দিন কোথায় কোথায় ঘুরবো জানার জন্য ব্লগে সাহায্য চেয়েছিলাম।
View this link
সবাই বেশ সাহায্যও করে ছিলো। অনেক ধন্যবাদ সবাইকে যারা আমাকে সাহায্য করেছিলেন।:):):)

সময়ের অভাবে সব মিলিয়ে মোটামুটি শহরটা আর আশেপাশের জায়গাগুলোই দেখতে পারলাম । তার কিছুটা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার আসলাম।



আগে রংপুর সম্পর্কে কিছু জেনে নেই। রংপুর নতুন বিভাগীয় শহর রংপুর। এই জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জনপদ।নামকরণের ক্ষেত্রে লোকমুখে প্রচলিত আছে যে পূর্বের ‘রঙ্গপুর’ থেকেই কালক্রমে এই নামটি এসেছে।ইতিহাস থেকে জানা যায় যে উপমহাদেশে ইংরেজরা নীলের চাষ শুরু করে। এই অঞ্চলে মাটি উর্বর হবার কারনে এখানে প্রচুর নীলের চাষ হত। সেই নীলকে স্থানীয় লোকজন রঙ্গ নামেই জানত। কালের বিবর্তনে সেই রঙ্গ থেকে রঙ্গপুর এবং তা থেকেই আজকের রংপুর।অপর একটি প্রচলিত ধারনা থেকে জানা যায় যে রংপুর জেলার পূর্বনাম রঙ্গপুর। প্রাগ জ্যোতিস্বর নরের পুত্র ভগদত্তের রঙ্গমহল এর নামকরন থেকে এই রঙ্গপুর নামটি আসে। রংপুর জেলার অপর নাম জঙ্গপুর । ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব থাকায় কেউ কেউ এই জেলাকে যমপুর বলেও ডাকত। তবে রংপুর জেলা সুদুর অতীত থেকে আন্দোলন প্রতিরোধের মূল ঘাঁটি ছিল। তাই জঙ্গপুর নামকেই রংপুরের আদি নাম হিসেবে ধরা হয়। জঙ্গ অর্থ যুদ্ধ, পুর অর্থ নগর বা শহর। গ্রাম থেকে আগত মানুষ প্রায়ই ইংরেজদের অত্যাচারে নিহত হত বা ম্যালেরিয়ায় মারা যেত। তাই সাধারণ মানুষ শহরে আসতে ভয় পেত। সুদুর অতীতে রংপুর জেলা যে রণভূমি ছিল তা সন্দেহাতীত ভাবেই বলা যায়। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগে এ জেলায় কৃষক আন্দোলন যে ভাবে বিকাশ লাভ করে ছিল তার কারণে রংপুরকে লাল রংপুর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। সুপ্রাচীনকাল থেকে এ জেলা গৌরবময় ও বৈচিত্রপূর্ণ ইতিহাসের অধিকারী। এ অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাগট, যমুনা, ধরলা প্রভৃতি নদ-নদী।
View this link


৩ তারিখ সারাদিন বাসায়ই ছিলাম। সবার সাথে মজা করে দিনটা কাটালাম। ৪ তারিখ দুলাভাইয়ের বাইক নিয়ে সকালে ২ জনে বের হলাম।



যাত্রা হলো শুরু

Click This Link

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ০ কি:মি





জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উল্টাপাশে আমার নামে বেকারি:P:P:P:P:P:P আপনারা আমার কথা বলে ফ্রি ফ্রি যা খুশি খেতে পারবেন। তবে **** শর্ত আছে ।

*পিঠে ছালা বেঁধে নিতে ভুলবেননা। :D:D:D
** আর কোন প্রকার ঝামেলার জন্য লেখক দায়ী নয়।;););););)






জেলা পরিষদের বাহির থেকে দেখুন। অনের আগের ভবন কিন্তু কত্ত সুন্দর!!!!!!!

এবার চলুন আস্তে আস্তে এর ভিতরে ঢুকে দেখি









Click This Link

Click This Link

Click This Link
এটা হলো এখানকার একটা বিখ্যাত স্কুল।


Click This Link

Click This Link

Click This Link
রাস্তার নাম এরশাদ মোড়

Click This Link
এরশাদ মোড় থেকে একটু সামনে গেলেই শাপলা চত্বর।


আজ এতটুকুই আগামী পর্বে থাকবে তাজহাট,পায়রাবন্দ ও ভিন্ন জগত...।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৯
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×